প্রত্যেকেই জীবনের সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির জন্য ঈশ্বরের উপাসনা করেন। পুজো করার জন্য আমরা বাড়িতে নির্দিষ্ট একটি সিংহাসন বা উপাসনাস্থলও তৈরি করে থাকি, কারণ প্রত্যেকের বাড়িতে আলাদা করে ঠাকুরঘর করার মতো জায়গা থাকে না৷অনেক সময়েই আমরা দেখি, নিয়মিত নিষ্ঠাভরে পুজার্চনা করা সত্ত্বেও সংসারে সবসময়েই ঝগড়া অশান্তি লেগে থাকে৷ পিছু ছাড়ে না আর্থিক অভাবও৷ বাস্তু বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এর প্রধান কারণ হতে পারে বাড়ির ঠাকুর রাখার জায়গার বাস্তুগত ত্রুটি। বাস্তু পরামর্শদাতা দিব্যা ছাবরা আমাদের জানাচ্ছেন, বাড়িতে একটানা আর্থিক সমস্যা ও কলহ বিবাদের পিছনে ঠাকুরঘরের সঙ্গে জড়িত কোন বাস্তুগত ত্রুটি কারণ হতে পারে। কোন ৫টি জিনিস রয়েছে, যা কখনওই ঠাকুরের জায়গায় রাখা উচিত নয়৷পিতামাতার ছবি: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পূর্বপুরুষ বা পিতৃপুরুষের ছবি বাড়ির ঠাকুরের কাছে বা বাড়ির ঠাকুরঘরে রাখা কখনওই উচিত নয়। ঠাকুর দেবতার ছবির সঙ্গে পিতৃপুরুষের ছবি রাখলে বাড়িতে অশান্তি হয় এবং ভগবানও ক্রুদ্ধ হন।ছেঁড়া ছবি: যদি আপনার কাছে কোনও ভগবানের মূর্তি না থাকে এবং যদি পুজোস্থলে কোনও ছবি রেখে উপাসনা করেন, তাহলে খেয়াল রাখবেন সেই ছবি যেন কখনওই পুরনো বা ছেঁড়া না হয়। বাড়ির মন্দিরে ঈশ্বরের ছেঁড়া ছবি বা ছেঁড়া ধর্মীয় বই রাখলেও সংসারে নেতিবাচক শক্তি বাড়ে। এমন পরিবারে সবসময় দুঃখ দুর্দশা ঘিরে থাকে। ঠাকুরকে নিবেদন করা শুকনো ফুলও সবসময় সরিয়ে ফেলা উচিত৷ছেঁড়া ছবি: যদি আপনার কাছে কোনও ভগবানের মূর্তি না থাকে এবং যদি পুজোস্থলে কোনও ছবি রেখে উপাসনা করেন, তাহলে খেয়াল রাখবেন সেই ছবি যেন কখনওই পুরনো বা ছেঁড়া না হয়। বাড়ির মন্দিরে ঈশ্বরের ছেঁড়া ছবি বা ছেঁড়া ধর্মীয় বই রাখলেও সংসারে নেতিবাচক শক্তি বাড়ে। এমন পরিবারে সবসময় দুঃখ দুর্দশা ঘিরে থাকে। ঠাকুরকে নিবেদন করা শুকনো ফুলও সবসময় সরিয়ে ফেলা উচিত৷একাধিক শঙ্খ: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে ঠাকুরের জায়গায় একটির বেশি শঙ্খ রাখা উচিত নয়। একটি জলশঙ্খ এবং অপরটি নাদ শঙ্খ হলে অসুবিধা নেই৷ কিন্তু, বাজানোর শঙ্খ যাতে একের বেশি কখনওই না থাকে৷ভাঙা মূর্তি: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কখনও বাড়ির মন্দিরে শিবের রুদ্রমূর্তি স্থাপন করবেন না৷ কোনও ভাঙা মূর্তিও ঠাকুরের জায়গায় রাখবেন না। এমন মূর্তি পূজা করলে ঘরে আর্থিক টানাটানি বাড়ে।পুজোর সামগ্রী: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, পুজোর সময় ব্যবহৃত পুজোর সামগ্রী বাড়ির মন্দিরে রাখা উচিত নয়। এছাড়াও, মন্দির প্রতিদিন পরিষ্কার করা উচিত। ঘরের মন্দির অপরিচ্ছন্ন বা নোংরা থাকলে ঘরে কখনও সুখ শান্তি আসে না।
