প্রয়াত ‘ঈশ্বর কণা’র স্রষ্টা পিটার হিগস, বাড়িতেই চিরনিদ্রায় নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী

Nobel laureate Peter Higgs Death: চলে গেলেন ‘ঈশ্বর কণা’র স্রষ্টা! বাড়িতেই চিরঘুমে নোবেলজয়ী ৯৪ বছরের বিজ্ঞানী পিটার হিগস

লন্ডন: ৯৪ বছর বয়সে প্রয়াত নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী পিটার হিগস। ঈশ্বর কণার স্রষ্টা হিসেবেই গোটা বিশ্ব তাঁকে চেনে। বিগ ব্যাংয়ের পর মহাবিশ্ব কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই রহস্য ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। হিগস-বোসন তত্ত্বের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।

এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, “সোমবার ৮ এপ্রিল অসুস্থতার জেরে বাড়িতেই মৃত্যু হয় বিজ্ঞানী পিটার হিগসের”। হিগস ছিলেন এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে “মহান শিক্ষক, পরামর্শদাতা এবং তরুণ প্রজন্মের বিজ্ঞানীদের অনুপ্রেরণা” বলে বর্ণনা করেছে। সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, “হিগসের পরিবার অনুরোধ করেছে যে আপাতত মিডিয়া এবং জনসাধারণ যেন তাঁদের গোপনীয়তাকে সম্মান করে”।

আরও পড়ুন: সারারাত এসি চালু রাখলে কী ঘটছে জানেন কি! ভয়ের কথা শোনালেন বিশেষজ্ঞ, এসি-র বিল কমানোর সেরা উপায় জেনে নিন এখনই

এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর পিটার ম্যাথিসন বলেন, “হিগস একজন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব এবং অসাধারণ বিজ্ঞানী। তাঁর দৃষ্টি এবং কল্পনা বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করেছে। হাজার হাজার বিজ্ঞানী তাঁর কাজে অনুপ্রাণিত হন। আগামী প্রজন্ম তাঁর উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে”।

১৯৬৪ সালে বিজ্ঞানী পিটার হিগস একটি নতুন মৌলের অস্তিত্বের কথা জানান। গোটা বিশ্বে হইচই পড়ে যায়। এই নতুন মৌলের নাম দেওয়া হয় ‘হিগস-বোসন কণা’। তবে লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে সেই উপাদানের নিশ্চয়তা পেতে সময় লেগেছিল ৫০ বছর। উপ-পরমাণু কণা কীভাবে পদার্থ তৈরি করে, পদার্থ কীভাবে ভর পায়, তা নিয়ে কাজ করেছিলেন হিগস। হিগসের এই তত্ত্বই মহাবিশ্বে কীভাবে ভর তৈরি হয়েছিল, তা বুঝতে সাহায্য করেছিল।

এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, তাদের গ্রাউন্ডব্রেকিং ১৯৬৪ পেপারে দেখানো হয়েছে, কীভাবে হিগস-বোসন নামে পরিচিত “একটি নতুন উপপারমাণবিক কণার অস্তিত্বের মাধ্যমে মৌলিক কণাগুলি ভর অর্জন করছে”। তিনি এবং বেলজিয়ান পদার্থবিজ্ঞানী ফ্রাঙ্কোইস এঙ্গলার্ট ১৯৬৪ সালে হিগস-বোসন তত্ত্বের জন্য ২০১৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। পরবর্তীকালে, ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ-এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে পরিচালিত পরীক্ষাগুলি প্রায় অর্ধশতাব্দী পরে সেই তত্ত্বকেই প্রমাণ করে। হিগস ছিলেন রয়্যাল সোসাইটির সম্মানিত সদস্য। তিনি ২০১২ সালে হিগস সেন্টার ফর থিওরেটিক্যাল ফিজিক্স প্রতিষ্ঠা করেন।