দিঘার সমু্দ্র সৈকতে দুই মহিলা কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ৷ ফাইল ছবি

Digha: রাতে দিঘার নির্জন সৈকতে দুই মহিলা পুলিশের কুকীর্তি! মারাত্মক অভিযোগ পাঁচ পড়ুয়ার

পঙ্কজ দাশরথী, দিঘা: দিঘায় বেড়াতে আসা স্নাতকোত্তর বিভাগের ৫ পড়ুয়াকে শাসিয়ে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করার অভিযোগ দুই মহিলা পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে৷ কর্তব্যরত অবস্থায় এই কাণ্ড ঘটিয়ে বিপাকে পড়েছেন দুই মহিলা কনস্টেবল। অভিযোগকারী পড়ুয়াদের মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি ভিডিও-তে পুলিশের উইনার্স দলের কালো পোশাক গায়ে রীতিমতো জুলুম চালাতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটে দিঘার সমুদ্র সৈকতে। যদিও ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ১৮ বাংলা৷

অভিযুক্ত ওই দুই মহিলা পুলিশকর্মী দিঘা ও দিঘা মোহনা থানায় কর্মরত। মঙ্গলবার রাতে সৈকতে টহল দেওয়ার দায়িত্বে উইনার্স দলে এই দু’জন ছাড়াও ছিলেন আরও দুই মহিলা পুলিশ কর্মী। কিন্তু অভিযোগ উঠছে মূলত দু জনের বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রমাণও পুলিশের কাছে জমা করেছেন হেনস্থার শিকার পড়ুয়ারা। ফোন- পে তে টাকা নেওয়ার তথ্য আর একটি ভিডিও জমা দিয়েছেন তাঁরা। যে ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, ছাত্রীদের কথা বলতে না দিয়ে ছাত্রদের ভয় দেখিয়ে ফোন-পে’র মাধ্যমে টাকা আদায় করছেন ওই দুই মহিলা পুলিশকর্মী।

আরও পড়ুন: কুয়োয় পড়ল বিড়াল, বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল পাঁচ জনের! মহারাষ্ট্রে মর্মান্তিক পরিণতি

রাজ্য জুড়েই মহিলাদের নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জেলায় জেলায় মহিলা পুলিশকর্মীদের নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষিত উইনার্স বাহিনী তৈরি করা হয়৷ এবার সেই বাহিনীর দুই সদস্যের বিরুদ্ধে দিঘার মতো পর্যটনকেন্দ্রে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল৷
অভিযোগ, অভিজিৎ দাস নামের এক ব্যক্তির ফোন-পে নম্বরে ১ হাজার টাকা ট্রান্সফার করতে বাধ্য করা হয় ওই ছাত্রছাত্রীদের। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই অভিজিৎ ভূপতিনগরের জুখিয়ার বাসিন্দা। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত এক মহিলা কনস্টেবলেরপরিচিত তিনি।

অভিযোগকারী পড়ুয়াদের মধ্যে দুই ছাত্রীর বাড়ি হেঁড়িয়া এবং চণ্ডীপুরে। বাকি ৩ ছাত্রের বাড়ি ঘাটাল, বাগনান ও তমলুকে। প্রত্যেকেই এমএসসি পড়ুয়া। মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষে তাঁরা ৫ জনে মিলে চলে আসেন দিঘায়। অভিযোগ, রাতে ফাঁকা সৈকতে তাঁদের বসে থাকতে দেখে এসে পৌঁছায় উইনার্স দল। তাঁদের অভিযোগ, ধমক-চমক দিয়ে থানায় নিয়ে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ওই দুই মহিলা পুলিশকর্মী। স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা ঘাবড়ে যান ওই পাঁচ পড়ুয়া৷ থানায় যেতে না চাইলে টাকার রফায় আসতে বলা হয় তাঁদের। তারপর ফোন-পে’র মাধ্যমে টাকা নিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

বাড়ির লোকজনের পরমার্শ মতো এরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ লেখান পড়ুয়ারা। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দুই মহিলা কনস্টেবল। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক বাঁধতেই বুধবার অভিজিৎ দাসের থেকে এক হাজার টাকা ফেরত এসেছে বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী পড়ুয়ারা। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।