Category Archives: দক্ষিণবঙ্গ

Tarapith: গরমে তারাপীঠ যেতে ভয় পাচ্ছেন! এসি রুমে বিরাট ছাড় চলছে সব হোটেলে! ভাড়া কত জেনে নিন

বীরভূম: বীরভূমের তারাপীঠ সিদ্ধপীঠ নামে পরিচিত। বহু তন্ত্রসাধক এখানে নিজেদের তন্ত্র সাধনা করতেন তারাপীঠ মহাশ্মশানে আসেন। আর এই কারণেই তারাপীঠ সিদ্ধপীঠ তন্ত্রপীঠ নামে পরিচিত। এখন প্রত্যেকদিন বহু পর্যটক দূর দূরান্ত থেকে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য ছুটে আসেন। বিশেষ করে তারাপীঠ মন্দিরে ভাদ্র মাসের কৌশিকী আমাবস্যায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। এ ছাড়াও রথযাত্রায় ফলহারিনী আমাবস্যা বিভিন্ন সময় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়।

সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্য খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছেছে এই তারাপীঠ। বিশেষত তারাপীঠ মন্দিরে এই গরমের ছুটিতে হাজার হাজার পর্যটক এবং ভক্তদের আনাগোনা লেগে থাকে। তবে এই বছর বৈশাখ মাসে প্রথম থেকেই তীব্র দাবদাহ শুরু হয়েছে বীরভূমে। দুপুর ১১’টার পর আর কেউ তেমন বাড়ির বাইরে বের হতে চাইছেন না।

আরও পড়ুনঃ ওষুধ নয়, এই গাছ সাক্ষাৎ ‘হাসপাতাল’! জেদি পুরনো হাড়-গাঁটের ব্যথা ৭ দিনে ভ্যানিশ! রোধ করে টাক পড়া, শুধু জানুন সঠিক ব্যবহার

আজ বীরভূমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। মূলত এই গরমেও তারাপীঠে ভিড় থাকে। তবে এই বছর অন্যান্য বছর তুলনায় অনেকটাই দাবদাহ বেশী। ফলে বেড়াতে গেলে এসি হোটেল থাকা ছাড়া একেবারেই অসম্ভব। অনেকেই মনে করছেন এই গরমে তারাপীঠ এলে হোটেলের এসি রুমের ভাড়া অনেকটাই বেশি হবে। সেই কারণে অনেকেই আসতে চাইছেন না।

তবে জানেন কী আপনার এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল! তারাপীঠ হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সুনীল গিরি জানান, এ বছর এত গরম হওয়ার কারণে আগত পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে প্রায় প্রত্যেকটি হোটেলে এসি রুমে 30% করে ছাড় দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য বেশ কিছু নতুনত্ব সুবিধা নিয়ে এসেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। দু-তিন দিন ধরে অতিরিক্ত গরমের কারণে তারাপীঠে পর্যটক অনেকটাই কম থাকলেও আগামী দিনে আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হলে পর্যটকদের সংখ্যা আগের মতো হবে।

এ দিকে তারাপীঠ মন্দির কমিটির সেক্রেটারি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান,  অতিরিক্ত গরমের জন্য বেশ কয়েকদিন থেকে পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কম রয়েছে। তারাপীঠে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে তারাপীঠ মন্দির কমিটি বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গোটা মন্দির চত্বরে ত্রিপল টানানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেউ যদি অসুস্থ হয়ে যায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন তারাপীঠ মন্দির কমিটি।

সৌভিক রায়

Newtown Disha Eye Hospital: নিউটাউনে গড়ে উঠছে দিশার মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, সুখবর চক্ষুরোগীদের জন্য

Disha Eye Hospital : সামর্থ্যের মধ্যে সর্বসাধারণের জন্য চোখের চিকিৎসা – এই মন্ত্র নিয়েই গড়ে উঠেছে দিশা আই হসপিটালস। ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্যের নিজের হাতে গড়ে তোলা এই আই হসপিটাল আজ পশ্চিমবঙ্গের সেরা চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির একটি। সারা রাজ্যে দিশার ১৮টি হসপিটাল রয়েছে। বছরে দেড় লক্ষেরও বেশি আই সার্জারি হয় এখানে। অন্তত ১১ লক্ষ রোগী সারা বছর এখানে চিকিৎসার জন্য আসেন। চক্ষু চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্য। All India Ophthalmological Society-র প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলেছেন ২০১৫-১৬ সালে। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দুটি টার্মে AIOS-এর Editor Proceedings এবং ২০১০-১১ সালে AIOS-এর Ethics Committee-র Chairman-এর পদে ছিলেন তিনি। ক্যাটারাক্ট সার্জারি এবং আই-কেয়ার হসপিটাল ম্যানেজমেন্টে ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্যের জুড়ি মেলা ভার। সদ্য পেশায় যোগ দেওয়া চক্ষু চিকিৎসকদের কাছে ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্য একজন শিক্ষাগুরু। সূক্ষতার সঙ্গে Cataract Surgery and ফেকোয় পারদর্শী ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্য বহু ছাত্রছাত্রীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন। ভারতীয় চিকিৎসাক্ষেত্রে Group Practice model-এর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্যের তত্ত্বাবধানে দিশা আই হসপিটালস চোখের চিকিৎসাকে সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছে। গত ২৫ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষকে কম খরচে অত্যাধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করেছে এই হসপিটাল। তবে আই হসপিটালসের পর এবার সামগ্রিক চিকিৎসায় পা রাখার পালা। নিউটাউনে ৩ একর জমিতে গড়ে উঠছে দিশার ৬০০ শয্যা-বিশিষ্ট Multi-specialty Hospital। এবছরই হাসপাতাল তৈরির কাজ শেষ হতে চলেছে। পূর্ব ভারতে চিকিৎসাক্ষেত্রে দিশা আই হসপিটালস এবং ডক্টর দেবাশিস ভট্টাচার্যের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে পেরে গর্বিত নিউজ 18 বাংলা।

আবার সেই ‘রাজমিস্ত্রি কাণ্ড’! এমন ঘটনা ঘটালেন গৃহবধূ, ভাবনা-চিন্তার বাইরে

মুর্শিদাবাদ: প্রেম বড় মধূর। আবার তা যদি হয় পরকীয়া! তা হলে তো আর কথাই নেই।

রাজমিস্ত্রির প্রেমে পাগল গৃহবধূ। নিজের আট বছরের সন্তানকে রেখে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেল মা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার শ্যামপুরের বাসিন্দা এক গৃহবধূ এমন কাণ্ড ঘটালেন।

সেই গৃহবধূর ১০ বছর আগে বিয়ে হয় কাটোয়া থানার আলমপুরের এক যুবকের সঙ্গে। কিন্তু বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করাতে গিয়ে ওই গৃহবধূর সঙ্গে সালার থানার পিলখুণ্ডী গ্রামের যুবকের পরিচয় হয়।

আরও পড়ুন- বিপুল জনসংযোগ! ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে জনসংযোগ করলেন পার্থ ভৌমিক…

পিলখুন্ডি গ্রামের যুবক গৃহবধূর বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে এসে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে গৃহবধূর সঙ্গে। তার পর থেকেই চলে গদগদ প্রেমের সম্পর্ক।

রাজমিস্ত্রি যুবকের সঙ্গে প্রেমের টানেই বাড়ি ছেড়ে হঠাৎই পালিয়ে যায় গৃহবধূ। এর পর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে খোঁজাখুজি শুরু করে। স্বামীকে আইন অনুযায়ী ডির্ভোস না দিয়ে অন্য যুবকের সঙ্গে গৃহবধূ পালিয়ে যেতেই হতবাক হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।

আরও পড়ুন- এত গুণী মানুষ থাকেন এখানে, প্রতি ঘরে তৈরি হচ্ছে কাঠের পুতুল, প্রাণ পাচ্ছে নতুন

পরিবারের এক সদস্য জানান, আমাদের বাড়ির বউ যে এই রকম ঘটনা করে বসবে তা ভাবতে পারিনি। আট বছরের সন্তান রেখে রাজমিস্ত্রির প্রেমে পাগল হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেল। আমরা ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

কৌশিক অধিকারী

Lok Sabha Election 2024: লালেদের পছন্দ যখন সবুজ! ভোট প্রচারে এসে অভিনব বার্তা বাম কর্মীদের

নদিয়া: লালেদেরও পছন্দ সবুজ! তাই বৃক্ষরোপনের মধ্যে দিয়ে পরিবেশের বার্তা দিয়ে বাম প্রার্থী প্রাক্তন সাংসদ অলকেশ দাসের ভোট প্রচার প্রখর রোদ্রে। রাজ্যের একমাত্র বাম পরিচালিত পুরসভা নদিয়ার তাহেরপুর।

আর সেখানে ভোট প্রচার যে অন্য আর পাঁচটা সাধারণ জায়গা থেকে একটু আলাদাভাবে এটাই স্বাভাবিক।আর মাত্র দিন কয়েক পরই ভোট বামফ্রন্ট মনোনীত ও জাতীয় কংগ্রেস সমর্থিত সি.পি.আই(এম) রানাঘাট লোকসভার প্রার্থী অলকেশ দাসের ভোট প্রচার শুরু সারা তাহেরপুর জুড়ে।

আজ সকাল ৮ টা থেকে তাহেরপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে শুরু করলেন ভোট প্রচারের কর্মসূচি। তাহেরপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত চলল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী অলকেশ দাস এবং নদিয়া জেলা কমিটির সদস্য সুপ্রিয় রায় ও তাহেরপুর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও কর্মীবৃন্দরা।

 

এদিন স্থানীয় এলাকাতে গাছ লাগিয়ে প্রচারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। প্রচারের ফাঁকে ফাঁকে বেশ কিছু এলাকায় ক্লাব সামাজিক সমস্যা পরিবেশ কর্মীদের গাছের চারা উপহার দিয়ে তা বড় করে তোলার অনুরোধ জানান।

যদিও বর্ষা না আসতেই প্রখর রোদে গাছ লাগানো সম্পর্কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি প্রার্থী সাংসদ জগন্নাথ সরকার, তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণিপুর অধিকারীও বাঁচানো সম্পর্কে কটাক্ষ করেছেন। তবে অলকেশ দাসের মতে এটা প্রতীকি, তবে রাজ্যে শাসকদলের তৃণমূল প্রার্থী কিংবা কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির প্রার্থী বিরোধিতা করতেই পারেন তবে পরিবেশের কথা নিয়ে একটি শব্দ ব্যবহার করেন না কখনও।

বর্তমানে গাছ লাগানো হচ্ছে ঠিকই তবে তা ছবিতে অথচ অতীতের বামফ্রন্ট ক্ষমতায় থাকার সময় প্রচুর পরিমাণে লাগানো গাছ এ রাজ্যে তৃণমূল কেটে উড়িয়ে সাফ করে দিচ্ছে অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংস্থা দের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ করলেও তা বাস্তবের মাটিতে পৌঁছাচ্ছে না।

মৈনাক দেবনাথ

Purulia News: পৌরসভার নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের মধ্যেই এ কী মিলল,  অবাক ঝালদাবাসী!

পুরুলিয়া: জেলা পুরুলিয়ার চারটি মহকুমার মধ্যে অন্যতম ঝালদা মহকুমা। ঝালদা পৌরসভার অন্তর্গত এই মহকুমা। ঝালদা শহরের সমস্ত কিছু নজরদারির দায়িত্ব রয়েছে ঝালদা পৌরসভার উপরে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে পৌরসভার নাকের ডগায় হচ্ছে অদ্ভুত কার্যকলাপ। পৌরসভার নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের কাছে জমছে কাশির সিরাপের পাহাড়। অথচ এই বিষয়ে নজর নেই পৌর প্রশাসনের। রীতিমত ক্ষোভ জন্মাচ্ছে এলাকার মানুষদের মনে।

এ বিষয়ে শহরের এক বাসিন্দা বলেন , যে পরিমাণ কাশির সিরাপের বোতলের পাহাড় জমা হয়েছে তা দীর্ঘদিনের। পৌর প্রধান ও পৌর প্রশাসনের উচিত ছিল বিষয়টির ওপর নজর দেওয়া। ‌ যুবসমাজ ধীরে ধীরে বেপথে চলে যাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বদের ও পৌরসভার উচিত বিষয়টির উপর নজর দেওয়া।

এ বিষয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর বিপ্লব কয়েল বলেন , এ বিষয়টি এর আগেও কানে এসেছে । পুলিশ মাঝের মধ্যে এই এলাকায় হানাও দিয়েছে। কিন্তু তাতে অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। পৌরসভা ও প্রশাসন যদি বিষয়টির উপর কড়া পদক্ষেপ না করে তাহলে আগামী প্রজন্ম ধ্বংসের মুখে চলে যাবে।

এ বিষয়ে উপ পৌরপ্রধান সুদীপ কর্মকার বলেন , এর আগেও আমাদের কাছেই খবরটি এসেছিল। তবে এগুলো দীর্ঘদিনের আগের জমানো বোতল। সেই সময় পৌরসভায় ঢোকার জন্য কোন গেট ছিল না। তবে বর্তমানে গেট লাগানোর পর যে কেউ পৌরসভায় ঢুকতে পারে না। ঝালদার যুবসমাজ যেভাবে নেশার দিকে এগোচ্ছে আমরা শক্ত হাতে মোকাবিলার চেষ্টা করব।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

১০ জেলায় চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা, উত্তরে বৃষ্টির পূর্বাভাস

তীব্র গরম। নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। বৈশাখের অর্ধেক সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও বৃষ্টির কোনও আশা দেখছে না দক্ষিণবঙ্গ গরমের চোটে কাটাতে হচ্ছে নিদ্রাহীন রাত। দিনভর থাকতে হচ্ছে ঘরবন্দী। মেঘমুক্ত আকাশে দেখে আসছে বিরক্তি।

অতি তীব্র তাপপ্রবাহের চরম সতর্কবার্তা দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায়। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়া এই সাত জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে।

অতি তীব্র তাপপ্রবাহের চরম সতর্কবার্তা দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায়। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়া এই সাত জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে।

Weather Update Today: মে মাস পর্যন্ত চলবে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ, আরও ভয়াবহ গরমে জ্বলবে দক্ষিণবঙ্গের জেলার পর জেলা, দেখুন আবহাওয়ার ভিডিও

৫০ বছরের রেকর্ডের ঘাড়ে নিশ্বাস কলকাতার। এপ্রিল মাস জুড়েই দাবদাহের সতর্কবার্তা আবহাওয়া দফতরের। তীব্র তাপপ্রবাহের চরম সতর্কবার্তা। দেখুন ভিডিও।

Lakshmir Bhandar: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ নিয়ে অভিনব প্রচার তৃণমূলের!

অভিনব কায়দায় ভোটের প্রচারে সাড়া ফেলল ইন্দাস। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারের সমাজিক প্রকল্পগুলিকে হাতিয়ার করে প্রতিকী প্রচার করল তৃণমূল কংগ্রেস। বাঁকুড়া জেলার সব ব্লককেই ভোট প্রচারের অভিনবত্বে টেক্কা দিল ইন্দাস ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। মা লক্ষ্মীর সাজে হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে হাঁটলেন মহিলারা।

মা লক্ষ্মী সেজে গৃহকর্ত্রীর দরজায় গিয়ে রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুফল বোঝালেন মহিলা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। শুক্রবার বাঁকুড়ার ইন্দাসের ভোট প্রচারে করিশুন্ডা অঞ্চলে একটি মহামিছিল ছিল। সেখানে এমন অভিনব দৃশ্য দেখা গেল। এছাড়াও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে অনেক মিছিলে পা মেলান।

Lok Sabha Election 2024: সত্যিকারের শহর হতে চায় কোলাঘাট

পূর্ব মেদিনীপুর: ভোট এলেই কোলাঘাট কবে পুরসভা হবে সেই প্রশ্নটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। লোকসভা নির্বাচনের সময় এবারেও যথারীতি সেই প্রশ্নটা উঠছে। কোলাঘাটবাসীর প্রশ্ন আর কবে আধা শহর থেকে শহর হবে তাঁদের বাসভূমি।

দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচনের পর্ব। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দুটি লোকসভার আসন। একটি তমলুক, অন্যটি কাঁথি। জেলার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোট রয়েছে পঞ্চম দফায়, ২৫ মে। তার আগে কোলাঘাটকে শহরের মর্যাদা দেওয়া নিয়ে ওঠা প্রশ্ন ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলিকে।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রবেশদ্বার কোলাঘাট। রূপনারায়ণ নদের তীরে অবস্থিত কোলাঘাট আধা শহর। দীর্ঘ বাম জমানার কাল থেকেই কোলাঘাট ও মেচেদা নিয়ে একটি পুরসভা গড়ে ওঠার কথা বারবার উঠলেও কোনও না কোনও কারণে এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি। প্রতিবার ভোট এলেই কোলাঘাটকে পুরসভার মর্যাদা দেওয়ার কথা বলা হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। এই প্রতিশ্রুতি সেই বাম জমানার কাল থেকেই চলে আসছে। কিন্তু রাজ্যের শাসন ক্ষমতা তৃণমূলের হাতে বেশি সময় ধরে থাকলেও কোলাঘাটের ভবিষ্যৎ বদলায়নি না।

আর‌ও পড়ুন: এক মাসের জন্য এই কলেজেই ঘরবন্দি থাকবে বালুরঘাটবাসীর মতামত

কোলাঘাটের সাধারণ মানুষের বক্তব্য এটি আদতে শহর হলেও প্রশাসনিক স্বীকৃতি অধরা। এখনও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যেই থেকে গিয়েছে কোলাঘাট। ফলে কোলাঘাটের নিকাশি-নালা থেকে রাস্তাঘাট কিছুই শহরের মত অতটা উন্নত নয়। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাট জলে ডুবে যায়। কলকাতা থেকে কোলাঘাটের দূরত্ব কম হ‌ওয়ায় দিন দিন এখানে মানুষের বসবাস বাড়ছে। গড়ে উঠছে কমপ্লেক্স। রাস্তাঘাটে জঞ্জালের পরিমাণও বাড়ছে। আর সময় যত এগোচ্ছে কোলাঘাট শহরের মর্যাদা বা পুরসভার মর্যাদা না পাওয়ায় সমস্যা তত বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এখনও পর্যন্ত পাঁচটি পুরসভা আছে। এখন দেখার সেই তালিকায় কোলাঘাটের নাম কবে যুক্ত হয়।

সৈকত শী

Surulia Mini Zoo: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান! বেঙ্গল সাফারি থেকে পুরুলিয়া আসছে ‘জ্যাকি’, সুরুলিয়া মিনি জু-তে এবার চিতাবাঘ

পুরুলিয়া: রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে জেলা পুরুলিয়া অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে। এই জেলায় রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। এই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। জেলা পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে সঙ্গে এই জেলার অন্যতম আকর্ষণ মিনি-জু।

পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে সুরুলিয়া ডিয়ার পার্কে গড়ে উঠেছে এই মিনি-জু। সারা বছরই এখানে বহু মানুষ ভিড় জমান। শুধু জেলা পুরুলিয়া নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান থেকেও অনেকেই এই জু-তে বেড়াতে আসেন। আর এবার এই সুরুলিয়া মিনি জু-তেই মিলবে চিতা বাঘের দর্শন। তার জন্য আর মাত্র কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন: দেশের সবথেকে দরিদ্র রাজ্য কোনটি জানেন? পশ্চিমবঙ্গের নাম কত নম্বরে রয়েছে বলুন তো! এক নজরে তালিকা

এই সুরুলিয়া মিনি জু-তে আরও বেশি করে পর্যটক টানতেই বেঙ্গল সাফারি থেকে চিতাবাঘ জ্যাকিকে নিয়ে আসছে কংসাবতী উত্তর বনবিভাগ। চিতাবাঘ নিয়ে আসার বিষয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকি জু-তে জ্যাকিকে রাখার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র সবুজ সংকেতের অপেক্ষা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এই মুহূর্তে দিতে চাইছে না কংসাবতী উত্তর বনবিভাগ। কারণ পুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতাবাঘের অপেক্ষা দীর্ঘদিনের। তাই তো একেবারেই নির্ঝঞ্ঝাটে শিলিগুড়ির সালুগাড়ার বেঙ্গল সাফারি থেকে জ্যাকিকে নিয়ে আসাই অন্যতম লক্ষ্য পুরুলিয়া মিনি জু কর্তৃপক্ষের।

ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী ঘুরে গিয়েছেন সুরুলিয়া মিনি-জু। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ”সুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতাবাঘ খুব শীঘ্রই আসবে। সমস্ত কিছু চূড়ান্ত করতে একটু সময় লাগছে। কিন্তু খুব বেশি দিন আর অপেক্ষা করতে হবে না। এই চিড়িয়াখানার শোভা বাড়াতে চিতাবাঘ দ্রুত নিয়ে আসা হবে।”

সুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতা বাঘের জন্য এনক্লোজার বহুদিন আগেই তৈরি ছিল। কিন্তু চিতা বাঘ না থাকার কারণে সেই এনক্লোজারে ঝোপঝাড় তৈরি হয়ে যায়। সেই এনক্লোজার কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে চিতাবাঘের থাকার উপযোগী করার জন্য। এনক্লোজারের মধ্যেই রয়েছে চিতাবাঘের জলকেলির জন্য ওয়ালো পুল। সেই সঙ্গে জল খাওয়ার ব্যবস্থা। দু’টি আচ্ছাদন। চিতাবাঘ মগডালে বসে তাই কৃত্রিমভাবে গাছের ডালও তৈরি করা হয়েছে। এই চিতা বাঘ বা লেপার্ড দর্শনে দর্শকদের যাতে কোনও রকম ঝুঁকি না হয়, তাই দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এনক্লোজারের জাল। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈদ্যুতিক তারের ফেন্সিং। এনক্লোজারের ভেতরেই রয়েছে ক্রল, চিকিৎসার জন্য স্কুইজ কেজ। এছাড়া চারটি নাইট সেল্টার। পুরুষ চিতা বাঘ ‘জ্যাকি’-র যাতে নতুন পরিবেশে মন খারাপ না হয় তাই আগামী দিনে তার সঙ্গীকেও নিয়ে আসা হবে। জ্যাকির আগমনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এবার পুরুলিয়ার মানুষেরাও চিতা বাঘ দেখতে পারবে সামনে থেকে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি