রাজ্যসভায় মমতা ঠাকুরের শপথ গ্রহণ ঘিরে চাপানউতোর

Mamata Bala Thakur: ‘হরি-গুরুচাঁদের নাম সংসদে নিতে পারলাম না…’ রাজ্যসভায় মমতাবালা ঠাকুরের শপথ গ্রহণ ঘিরে চাপানউতোর

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরকে তাঁর আরাধ্য দেবতাদের নাম নিতে বাধা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন তিনি ধারাবাহিকভাবে বিরোধীতা করেছেন, তাই বড় পদ পেয়েছেন এমন অভিযোগ উঠে এসেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের গলা থেকে।

তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করছে, বিজেপির বাংলা-বিরোধী মানসিকতার বদল নেই।  সংসদে আয়োজিত শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুরকে, মতুয়া সম্প্রদায়ের দুই প্রাণ পুরুষ ও পরম আরাধ্য শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, ভারতের ইতিহাসে এই দিনটি একটি ‘কালো দিন’ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন– বেলা বাড়লেই বাড়বে গরম, আজ রাজ্যের কোন কোন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস? জেনে নিন

বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘ভারতের ইতিহাসে আজ একটি কালো দিন। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা ভারতের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় আমাদের সাংসদ মমতা ঠাকুরকে তাঁর শপথ গ্রহণ করার সময় মতুয়া সমাজের ঈশ্বরতুল্য দুই আরাধ্যের নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেন। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও জগদীপ ধনখড় বিজেপির হয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। মমতা ঠাকুর দ্বিতীয়বার শপথবাক্য পাঠ করতে বাধ্য হন এবং তাঁকে তাঁর আরাধ্য-দ্বয়ের নাম নিতে বাধা দেওয়া হয়।’’

আরও পড়ুন– ৮ বছরের প্রেম, ক্রিকেটারকে বিয়ের পর বলিউডকে বিদায় জানান অভিনেত্রী, তিনি এখন কেমন আছেন জানেন?

বিশ্বজিৎ উল্লেখ করেছেন, কীভাবে বাংলায় ভোট প্রচারে আসা বিজেপি বারবার বাংলার মহাপুরুষদের অসম্মান করেছে। তিনি বলেন, ‘‘গত নির্বাচনগুলির সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে মতুয়াদের দেব-দর্শনে এসেছিলেন। আর এখন এই ঘটনা ঘটল। শান্তনু ঠাকুরের মদতে ওরা সমগ্র মতুয়া সম্প্রদায়কেই শেষ করে দিতে চাইছে। এই ঘটনা শুধুমাত্র মমতা ঠাকুরের অপমান নয়, সমগ্র মতুয়া সমাজের অপমান এবং আমরা সকলে একজোট হয়ে এর যোগ্য জবাব দেব।’’ যদিও বিজেপি শিবির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নিয়মানুযায়ী সব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা ৷