Tag Archives: Rajya Sabha

Rajya Sabha election: রাজ্যসভা নিয়ে চিন্তা দূর হল বিজেপি-র, সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফিরে পেল এনডিএ

নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফিরে পেল এনডিএ। মঙ্গলবার প্রকাশিত হওয়া রাজ্যসভার শূন্যপদের ফলাফলের পর রাজ্যসভায় এনডিএ-এর আসন সংখ্যা দাঁড়াল ১১২।

রাজ্যসভার সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৯ আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ফলে রাজ্যসভায় বিজেপির আসন দাঁড়াল ৯৬। এনডিএ-এর সহযোগীরা জিতেছেন আরও দুই আসনে। পাশাপাশি, উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিজেপি সমর্থিত এক নির্দল প্রার্থী এবং বিজেপির সমর্থনে জিতে আসা ৬ সাংসদ।

আরও পড়ুন: বুধবার বিজেপির ডাকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ, ঘোষণা করলেন সুকান্ত মজুমদার

প্রসঙ্গত, ২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় এখনও খালি জম্মু-কাশ্মীরের চারটি আসন এবং চার মনোনীত সাংসদের আসন। ফলে রাজ্যসভায় সাংসদ সংখ্যা এখন ২৩৭। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৯টি আসন।

রাজ্যসভার এই উপনির্বাচনে তেলেঙ্গানা থেকে জয়ী হয়েছে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি। বিরোধীদের আসন যার ফলে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫-তে। ফের সংসদে ফিরতে চলেছেন অভিষেক মনু সিংভি। তেলেঙ্গানা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় জয়ী হয়েছেন তিনি৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের সমর্থনে রাজ্যসভা সাংসদ হিসেবে তাঁর মেয়াদ শেষ হবার পর হিমাচল প্রদেশে রাজ্যসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মনু সিংভি। কিন্তু ক্রস ভোটিংয়ের কারণে হিমাচলে হেরে যান তিনি।

কংগ্রেসের কে কেশব রাও রাজ্যসভার আসন ছেড়ে লোকসভায় জেতার পর সেই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন অভিষেক মনু সিংভি। এ ছাড়াও ত্রিপুরা, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র ,অসম, হরিয়ানা এবং বিহার থেকে বিজেপি তথা এনডিএ-র একাধিক সাংসদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন।

রাজস্থানে রণকৌশলের ভুলে রাজ্যসভার একটি আসন হারাল কংগ্রেস। রাজস্থান থেকে রাজ্যসভার সাংসদ থাকা সত্ত্বেও কেরল থেকে লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করে জয়ী হন কংগ্রেসের কে সি বেণুগোপাল। বেণুগোপালের ছেড়ে যাওয়া আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবনীত সিং বিট্টু। যার ফলে সংখ্যার নিরিখে রাজ্যসভায় আরো সুসংহত হল এনডিএ।

Jaya Bachchan: ‘তাহলে নিজের নামটা বদলে ফেলুন’, উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়ের পরামর্শে বেজায় চটলেন জয়া বচ্চন; নাম বিতর্ক নিয়ে তারপর যা বললেন…

নয়া দিল্লিঃ দিন কয়েক আগেই রাজ্যসভায় ‘জয়া অমিতাভ বচ্চন’ নাম ডাকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। রীতিমতো রেগে গিয়েছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। অথচ তার দিন কয়েকের মধ্যেই বদলে গেল চিত্রটা। আসলে রাজ্যসভায় সম্প্রতি ‘জয়া অমিভাভ বচ্চন’ বলেই নিজের পরিচয় দিয়েছেন তিনি। আর এতেই রীতিমতো হাসিতে ফেটে পড়েন রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়।

আরও পড়ুনঃ সাময়িক ভাবে চালু হলেও ফের বন্ধ বিমান পরিষেবা! ভারত থেকে বাংলাদেশে ফ্লাইট চালাবে না কোন ২ সংস্থা?

এদিকে সোমবার ফের জয়া বচ্চনের পুরো নাম ধরে ডাকেন চেয়ারপার্সন। আর এতেই তীব্র আপত্তি প্রকাশ করেন জয়া। এমনকী তাঁর কাছ থেকে এই কাজের ব্যাখ্যাও চেয়েছেন অভিনেত্রী। এএনআই-এর শেয়ার করা ভিডিও-তে জয়াকে বলতে শোনা যায়, “সংসদ ভবনে ‘নতুন নাটক’ শুরু হয়েছে।”
এরপরেই উপরাষ্ট্রপতি ধনখড় ব্যাখ্যা করে বলেন যে, নির্বাচন শংসাপত্রে নাম পরিবর্তন করার উপায় রয়েছে কিন্তু। তাঁর কথায়, “নির্বাচন শংসাপত্রে যে নাম থাকে আর যে নাম এখানে দাখিল করা হয়, এই দুটোর মধ্যে পরিবর্তন আনা যায়। তেমনই এক প্রক্রিয়া রয়েছে। ১৯৮৯ সালে আমি নিজেই সেই প্রক্রিয়ার সুবিধা নিয়েছি।”

এর জবাবে জয়া বচ্চন বলেন, “না স্যার। আমি খুবই গর্বিত। আমি আমার নামের জন্য অত্যন্ত গর্ববোধ করি। এমনকী আমার স্বামী এবং তাঁর কৃতিত্বের জন্যও গর্বিত আমি। এই উল্লেখযোগ্য বিষয়টি কখনওই মুছে ফেলা যাবে না। তাই চিন্তা করবেন না। এই নাটক আপনারা শুরু করেছেন – এমনটা আগে কিন্তু ছিল না।”

প্রসঙ্গত গত সপ্তাহেই রাজ্যসভায় উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝেই ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং যখন জয়াকে ‘শ্রীমতী জয়া অমিতাভ বচ্চন’ বলে সম্বোধন করেন, তখনই তীব্র আপত্তি জানান অভিনেত্রী। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, তাঁর পরিচয় স্বাধীন। হরিবংশ তাঁকে নিজের বক্তব্য রাখার জন্য নির্দেশ দিলে জয়া বলেন, “স্যার, শুধু জয়া বচ্চন বললেই যথেষ্ট হত।” এরপর জয়াকে বলা হয় যে, তাঁর এই নামটাই অফিসিয়াল ভাবে রেজিস্টার্ড রয়েছে। আর এটা শোনার পরে এই বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেত্রী।

BJP equation in Rajya Sabha: রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল বিজেপি! কতটা বিপাকে পড়বে মোদি সরকার, কী বলছে অঙ্ক?

নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাল বিজেপি৷ শনিবার রাজ্যসভার চার সাংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যসভায় বিজেপির শক্তি কমে দাঁড়াল ৮৬৷

যে চার সাংসদের মেয়াদ শনিবার শেষ হয়েছে তাঁরা হলেন রাকেশ সিনহা, রাম শাকাল, সোনাল মানসিং এবং মহেশ জেঠমালানি৷ এই চার সাংসদকেই শাসক দলের পরামর্শে মনোনীত করেছিলেন রাষ্ট্রপতি৷ পরবর্তী সময়ে রাজ্যসভায় বিভিন্ন ইস্যুতে এনডিএ সরকারকেই সমর্থন জানিয়েছেন তাঁরা৷

এই চার সাংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৮৬৷ এনডিএ-র সাংসদ সংখ্যা দাঁড়াল ১০১৷ রাজ্যসভায় মোট সদস্য সংখ্যা ২৪৫৷ বর্তংমানে অবশ্য রাজ্যসভায় ২২৫ জন সাংসদ রয়েছেন৷ ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৩ জন সাংসদের সমর্থন৷ অর্থাৎ, এনডিএ-র হাতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে ১২ জন সাংসদ কম রয়েছেন রাজ্যসভায়৷

আরও পড়ুন: এনডিএ-২, ইন্ডিয়া-১০! সাত রাজ্যে উপনির্বাচনে একপেশে দাপট বিরোধীদের, ধাক্কা বিজেপির

অন্য বিরোধী শিবির ইন্ডিয়া ব্লকের হাতে রয়েছে ৮৭ জন সাংসদ৷ এর মধ্যে কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ২৬, তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ১৩ জন সাংসদ৷ পাশাপাশি ডিএমকে, আপ-এর হাতে রয়েছে দশ জন করে সাংসদ৷

অন্যদিকে বিআরএস-এর মতো কিছু দল রয়েছে যারা বিজেপি অথবা কংগ্রেস, কোনও দলের সঙ্গেই নেই৷ এ ছাড়াও কয়েকজন নির্দল সাংসদও রয়েছেন৷

বর্তমান সমীকরণের ফলে রাজ্যসভায় কোনও বিল পাস করানোর জন্য বিজেপির অন্তত ১৩টি ভোট প্রয়োজন৷ এর জন্য বিজেপির প্রধান ভরসা হতে পারে জগন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং এআইডিএমকে৷ ওয়াইএসআর কংগ্রেসের হাতে রয়েছেন ১১ জন সাংসদ এবং এআইডিএমকে-র হাতে রয়েছে চারজন সাংসদ৷ অতীতে এই দুই দলই বিজেপির জোট সঙ্গী থাকলেও গত ডিসেম্বর মাসেই লোকসভা নির্বাচনের আগে এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে তারা৷

জগন রেড্ডি অবশ্য এর আগে বিজেপিকে বিভিন্ন বিল পাসের ক্ষেত্রে ইস্যু ভিত্তিক সমর্থন দিয়েছে৷ ফলে জগনের দলের ১১ সাংসদের সমর্থন পাওয়া বিজেপির নিশ্চিত৷ অতীতে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মতোই বিজেপিকে ইস্যু ভিত্তিক সমর্থন দিয়েছে নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল বা বিজেডি৷ কিন্তু সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তাদের ওড়িশায় ক্ষমতাচ্যুত করার পর এনডিএ-কে তারা আর সমর্থন করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন নবীন পট্টনায়েক৷

এর পরেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সমস্যা হলে মনোনীত সদস্যদের সমর্থন চাইতে পারে বিজেপি৷ সাধারণত এই মনোনীত সদস্যরা শাসক দলকেই সমর্থন করে থাকেন৷ এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় ২০টি আসন ফাঁকা রয়েছে৷ তার মধ্যে ১১ জন সাংসদ বিভিন্ন রাজ্য থেকে নির্বাচিত হয়ে আসবেন৷ এর মধ্যে দুটি করে আসন ফাঁকা রয়েছে মহারাষ্ট্র, অসম এবং বিহারে৷ একটি করে আসন ফাঁকা রয়েছে হরিয়ানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং ত্রিপুরায়৷ এর মধ্যে অসম, বিহার, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ত্রিপুরা থেকে সাতটি আসনে নিশ্চিত জয় পাওয়ার মতো বিধায়ক সংখ্যা রয়েছে বিজেপির হাতে৷ সঙ্গী দলগুলির বিধায়কদের পুরো সমর্থন পেলে মহারাষ্ট্র থেকেও দুটি আসনই জিততে পারে বিজেপি৷

বিজেপি যদি এই ৯টি আসনেই জেতে এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থন পায়, সেক্ষেত্রে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের মতো সংখ্যা পেয়ে যাবে৷ এ ছা়ড়াও জম্মু কাশ্মীর থেকে রাজ্যসভার চারটি আসন ফাঁকা রয়েছে৷ জম্মু কাশ্মীরেও কয়েক মাসের মধ্যে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ তেলঙ্গানা থেকে রাজ্যসভার আসনটি সম্ভবত কংগ্রেসই জিতে নেবে৷ সেক্ষেত্রে রাজ্যসভাতেও বিরোধী দলনেতার পদটির জন্য দাবি জানানোর মতো সংখ্যা চলে আসবে কংগ্রেসের হাতে৷

Mamata Bala Thakur: ‘হরি-গুরুচাঁদের নাম সংসদে নিতে পারলাম না…’ রাজ্যসভায় মমতাবালা ঠাকুরের শপথ গ্রহণ ঘিরে চাপানউতোর

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরকে তাঁর আরাধ্য দেবতাদের নাম নিতে বাধা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন তিনি ধারাবাহিকভাবে বিরোধীতা করেছেন, তাই বড় পদ পেয়েছেন এমন অভিযোগ উঠে এসেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের গলা থেকে।

তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করছে, বিজেপির বাংলা-বিরোধী মানসিকতার বদল নেই।  সংসদে আয়োজিত শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা ঠাকুরকে, মতুয়া সম্প্রদায়ের দুই প্রাণ পুরুষ ও পরম আরাধ্য শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন বনগাঁর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, ভারতের ইতিহাসে এই দিনটি একটি ‘কালো দিন’ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন– বেলা বাড়লেই বাড়বে গরম, আজ রাজ্যের কোন কোন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস? জেনে নিন

বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘ভারতের ইতিহাসে আজ একটি কালো দিন। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা ভারতের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় আমাদের সাংসদ মমতা ঠাকুরকে তাঁর শপথ গ্রহণ করার সময় মতুয়া সমাজের ঈশ্বরতুল্য দুই আরাধ্যের নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেন। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও জগদীপ ধনখড় বিজেপির হয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপচেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। মমতা ঠাকুর দ্বিতীয়বার শপথবাক্য পাঠ করতে বাধ্য হন এবং তাঁকে তাঁর আরাধ্য-দ্বয়ের নাম নিতে বাধা দেওয়া হয়।’’

আরও পড়ুন– ৮ বছরের প্রেম, ক্রিকেটারকে বিয়ের পর বলিউডকে বিদায় জানান অভিনেত্রী, তিনি এখন কেমন আছেন জানেন?

বিশ্বজিৎ উল্লেখ করেছেন, কীভাবে বাংলায় ভোট প্রচারে আসা বিজেপি বারবার বাংলার মহাপুরুষদের অসম্মান করেছে। তিনি বলেন, ‘‘গত নির্বাচনগুলির সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পর্যন্ত ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে মতুয়াদের দেব-দর্শনে এসেছিলেন। আর এখন এই ঘটনা ঘটল। শান্তনু ঠাকুরের মদতে ওরা সমগ্র মতুয়া সম্প্রদায়কেই শেষ করে দিতে চাইছে। এই ঘটনা শুধুমাত্র মমতা ঠাকুরের অপমান নয়, সমগ্র মতুয়া সমাজের অপমান এবং আমরা সকলে একজোট হয়ে এর যোগ্য জবাব দেব।’’ যদিও বিজেপি শিবির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নিয়মানুযায়ী সব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা ৷

Jaya Bachchan: ঐশ্বর্যকে ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের জের? সংসদে মেজাজ হারিয়ে যা করে বসলেন জয়া বচ্চন…

#নয়াদিল্লি: পানামা কেলেঙ্কারি (Panama Papers Case) মামলায় সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অফিসে হাজিরা দেন বচ্চন পরিবারের গৃহবধূ ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। আর একইদিনে সংসদে আচমকা মেজাজ হারালেন জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। মেজাজ এতটাই হারালেন যে দিয়ে বসলেন অভিশাপ। “বিজেপির খারাপ দিন শুরু হতে চলেছে”, এই বলেই রাজ্যসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র অভিশাপ দেন ক্ষুব্ধ জয়া।

আরও পড়ুন:ঐশ্বর্যকে তলব করল ইডি! পানামা পেপার কাণ্ড ঘিরে ফের বিতর্কে বচ্চন পরিবার

আরও পড়ুন: দুটি মন ভালোবাসাকে পেল আরও কাছাকাছি! সবাইকে সাক্ষী রেখেই বিয়ে Kolkata-Hyderabad-এর যুবকের…

রাজ্যসভায় মাদক (সংশোধনী) বিলের বিষয়ে আলোচনা চলছিল। সেই সময়ই ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সপা সাংসদ জয়া বচ্চন। আর তা করতে গিয়েই বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে তরজায় জড়িয়ে পড়েন অমিতাভ-পত্নী। স্পিকারের কাছে জানতে চান, তাঁরা কীভাবে ব্যক্তিগত বিষয় এবং ঐশ্বর্যের নাম নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন? এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান জয়া বচ্চন। খুব শিগগিরই বিজেপির খারাপ সময় শুরু হতে চলেছে বলে অভিশাপও দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ‘মোসাক ফনসেকা’ নামের সংস্থাটি থেকে ‘পানামা পেপার্স’ ফাঁস হয়েছিল। ওই কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে বিশ্বের প্রায় ৫০টি দেশের শতাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির। অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ভারতের নাগরিক। পানামা কাণ্ডের (Panama Papers Case) তদন্ত করতে একটি আন্তর্জাতিক স্তরে গঠন করা হয়েছে একটি ‘টাস্ক ফোর্স’। সেখানে রয়েছেন ভারতীয় তদন্তকারীরাও।

আরও পড়ুন: সংসদে জোরদার ব্যাটিং তৃণমূলের! হাটে হাড়ি ভাঙলেন অভিষেক, জহর সরকারের প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র…

এই মামলাতেই সোমবার ইডির দপ্তরে হাজিরা দেন ঐশ্বর্য। শোনা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ইডি সূত্রের খবর, এর আগেও বার দু’য়েক ঐশ্বর্যকে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে দু’বারই বচ্চন পরিবারের বধূ তদন্তকারীদের চিঠি দিয়ে নিষ্কৃতির আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন গ্রহণও করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কিন্তু সোমবার আর তা হয়নি।

আরও পড়ুন: আপনার নামের আদ্যক্ষর কি এই চারটির একটি? শিগগিরই জীবনে আসতে চলেছে এই বিরাট পরিবর্তন!

প্রসঙ্গত, এর আগে জুলাই মাসেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করেন, পানামা পেপার্স মামলা থেকে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নাম তুলে নেওয়ার জন্য শাহবাজ শরিফ নাকি ইমরানকে ১০০০ কোটি টাকা ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন ৷ নওয়াজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট ৷ প্রধানমন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয় শরিফকে ৷ দু বছর পর ফের ফাঁস হয় পানামা পেপার্সের নথি ৷

TMC nominates Sushmita Dev in Rajya Sabha: সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় মনোনীত করল তৃণমূল, নেপথ্য এই দুই কারণ

#কলকাতা: কয়েকদিন আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন৷ সেই সুস্মিতা দেবকেই এবার রাজ্যসভায় প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC nominates Sushmita Dev in Rajya Sabha)৷ যোগদানের পরই সুস্মিতাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে ত্রিপুরায় পাঠিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ এবার তাঁকে রাজ্যসভায় প্রার্থী তৃণমূল বুঝিয়ে দিল, অভিজ্ঞ এই নেত্রীকেযথাযথ গুরুত্ব দিতে চায় দল৷

আগামী ৪ অক্টোবর গোটা দেশে পাঁচটি রাজ্যে রাজ্যসভার (Rajya Sabha By Election) ছ’ টি আসনে উপনির্বাচন রয়েছে৷ তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি আসন রয়েছে৷ মানস ভুঁইয়া সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভার একটি আসন খালি হয়েছে৷ সেই আসনেই সুস্মিতা দেবকে (Sushmita Dev) প্রার্থী করল তৃণমূল৷ পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা৷

তৃণমূলের তরফে সুস্মিতা দেবকে (Sushmita Dev) রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়ার কথা জানিয়ে ট্যুইট করা হয়েছে তৃণমূলের (TMC) তরফে৷ সেখানে লেখা হয়েছে, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টিভঙ্গিই হল মহিলাদের ক্ষমতায়ণ এবং তাঁদের রাজনীতিতে আরও বেশি করে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, তাহলেই আমাদের সমাজ আরও অনেক কিছু পেতে সাহায্য করবে৷’

আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় পা রাখবেন অভিষেক? চাপানউতোরের মধ্যেই উত্তেজনায় ফুটছে ত্রিপুরা

রাজ্যসভায় মনোনয়ন পেয়ে সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev) বলেছেন, ‘আমি উচ্ছ্বসিত এবং মমতাদি ও অভিষেকের কাছে কৃতজ্ঞ৷ আমি এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য কি না জানি না, কিন্তু আমার দলের দৃষ্টিভঙ্গিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত৷’

তৃণমূলের অন্দরের খবর, মূলত দু’টি কারণে সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল৷  সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সুস্মিতার অভিজ্ঞতাকে সংসদীয় রাজনীতির পাশাপাশি সংগঠনেও ব্যবহার করতে চায় তৃণমূল৷ এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন সুস্মিতা৷ সুস্মিতার বাবা সন্তোষমোহন দেব ত্রিপুরার সাংসদ ছিলেন৷ সেই কারণেই ত্রিপুরাকে হাতের তালুর মতো চেনেন সুস্মিতা দেব৷ তাঁর প্রতি ত্রিপুরার মানুষের আলাদা আবেগও রয়েছে৷ সেই কারণেই ত্রিপুরায় সুস্মিতাকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে দল৷

আরও পড়ুন: ভবানীপুরের লড়াই ফেরাচ্ছে সেই উত্তাপ, এবারের ফলে শাপমুক্তি চাইছে নন্দীগ্রাম

গোটা উত্তর পূর্ব ভারতেই নিজেদের সংগঠন গড়ে তুলতে সুস্মিতাকে ব্যবহার করতে চায় তৃণমূল৷ পাশাপাশি মহিলা ভোটারদের মন জয়েও সুস্মিতাকে সংসদে পাঠানো হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর৷ এই মুহূর্তে সংখ্যার নিরিখে সুস্মিতা দেবের জয় একরকম নিশ্চিত৷ তবে এই আসনে বিজেপি প্রার্থী দেয় নাকি জহর সরকারের মতো সুস্মিতা দেবও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় যান, সেটাই দেখার৷