নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হলেও নির্বাচনী বন্ডের পক্ষেই সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ একই সঙ্গে তিনি দাবি করলেন, নির্বাচনী বন্ড বাতিল করা নিয়ে ভবিষ্যতে সবাইকেই আক্ষেপ করতে হবে৷ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলির হাতে আসার টাকার উৎস সহজেই জানা যেত৷
মোদি বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দলকেই তো নির্বাচনে খরচ করতে হয়৷ আমার যে দলে আছি, তাদেরও করতে হয়৷ আমাদের দেশে তো দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার নিয়ে বহ আলোচনা চলেছে৷ নির্বাচনে যে টাকা খরচ হয়, তা তো মানুষেরই টাকা৷ আমি শুধু চেয়েছিলাম আমরা এমন ব্যবস্থা আনি যেখানে নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ হয়৷ সেই কারণেই আমরা একটা উপায় বের করেছিলাম৷ আমি বলথি না সেটাই একমাত্র পথ, কিন্তু আমরা একটা রাস্তা দেখিয়েছিলাম৷’
#WATCH | On Opposition leaders, including Rahul Gandhi’s, charge on electoral bonds and whether this was a bad decision, PM says, “…If there were no electoral bonds, who would have had the power to find out where the money came from and where it went? This is the success story… pic.twitter.com/Z3h28r5oXr
— ANI (@ANI) April 15, 2024
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, নির্বাচনী বন্ড চালু হয়েছিল বলেই কে, কবে, কোন দলকে কত টাকা দিয়েছে, সেই তথ্য সহজেই সামনে চলে আসছে৷ মোদির কথায়, ‘আমি এই কারণেই বলছি, বিরোধীরা যদি সৎ ভাবে চিন্তা করে তাহলে নির্বাচনী বন্ড বাতিল হওয়া নিয়ে আক্ষেপ করতেই হবে৷’
আরও পড়ুন: ‘আমার একটা বড় প্ল্যান রয়েছে, ভয় পাবেন না’, লোকসভা ভোট জমিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদি!
প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন,’ এখন যাঁরা নির্বাচনী বন্ডের সমালোচনা করছে, সংসদে যখন নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত বিল পাস হয়েছিল, তখন তারাই এই বিলকে সমর্থন করেছিলেন৷’ নরেন্দ্র মোদির দাবি, নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতেই তিনি নগদে চাঁদা দেওয়ার পরিমাণ কমিয়ে ২০ হাজার থেকে ২৫০০ করেছিলেন৷ নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার কমাতেই তাঁর সরকার ১০০০ এবং ২০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী৷
বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে নরেন্দ্র মোদি আরও দাবি করেন, ‘যে তিন হাজারটি সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান দিয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ২৬টির বিরুদ্ধেই ইডি-র অভিযান চলেছে৷ এই ২৬টির মধ্যে আবার ১৬টি সংস্থা এমন রয়েছে, যারা ইডি অভিযান শুরু হওয়ার পরে নির্বাচনী বন্ড কিনেছে৷ এই ১৬টি সংস্থা যে পরিমাণ অনুদান দিয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ অনুদান হিসেবে বিজেপি-র তহবিলে এসেছে৷ বাকি ৬৩ শতাংশ অনুদান পেয়েছে বিরোধীদলগুলি৷’ ফলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয়ে সংস্থাগুলি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে টাকা তুলছে বলে বিরোধীদের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলেও দাবি করেছেন নরেন্দ্র মোদি৷