বাবার প্রথম স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ আছে; দাবি অমর সিং চমকিলার ছেলের

Amar Singh Chamkila: বাবার প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ আছে; দাবি চমকিলা-অমরজ্যোতের ছেলের

মুম্বই: সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘অমর সিং চমকিলা’। ইমতিয়াজ আলি পরিচালিত এই বায়োগ্রাফিক্যাল ড্রামা ফিল্মে ফুটে উঠেছে পঞ্জাবের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী অমর সিং চমকিলার জীবনের গল্প। এখানেই শেষ নয়, এই ছবিতে পরিচালক তুলে ধরেছেন অমর সিং চমকিলার দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর পর্বও।

নেটফ্লিক্সের এই ছবিটিতে অমর সিং চমকিলার চরিত্রটি দুর্দান্ত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন গায়ক-অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জ। আর তাঁর স্ত্রী অমরজ্যোতের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী পরিণতি চোপড়া। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, অমরজ্যোত কিন্তু অমর সিং চমকিলার প্রথম স্ত্রী নন। ওই সঙ্গীতশিল্পীর প্রথম স্ত্রীর নাম গুরমেইল কৌর। আর দুই স্ত্রীর সঙ্গেই সন্তান রয়েছে জনপ্রিয় ওই গায়কের। প্রথম স্ত্রী গুরমেইলের রয়েছে দুই কন্যা – আমনদীপ কৌর এবং কমলদীপ কৌর। অন্যদিকে আবার দ্বিতীয় স্ত্রী অমরজোতের রয়েছে এক পুত্র – জয়মান চমকিলা। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে অমর সিং চমকিলা এবং অমরজ্যোতের পুত্র জয়মান জানান যে, বাবার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর এখনও যোগাযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: চোখের সামনে ৮ মাসের মেয়ের মৃত্যু! ফের বাবা হবেন সারেগামাপা-র সেই কাবো, দ্বিতীয়বার সন্তানের আশা বিধ্বস্ত দম্পতির

একটি পঞ্জাবি কন্টেন্ট প্ল্যাটফর্মে গত বছর জয়মান জানিয়েছিলেন যে, “চমকিলার প্রথম পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানদের সঙ্গে আমার এখনও যোগাযোগ রয়েছে। তাঁর প্রথম স্ত্রীর দিক থেকে আমার দুই দিদিও রয়েছেন, আমনদীপ এবং কমলদীপ। বড় জনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। আর কমল এই বছরেই (২০২৩) বিয়ে করছেন।”

তিনি আরও বলেছিলেন যে, “আমি যখনই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাই, তখনই তিনি আমায় ভাল ভাবেই অভ্যর্থনা জানান। প্রথম থেকে বিষয়টা এরকমই ছিল। এটা তাঁরও ভুল নয় কিংবা আমাদেরও (বাচ্চাদের) ভুল নয়।”
এরপর জয়মানের কাছে চমকিলাকে হারানোর প্রসঙ্গেও জানতে চাওয়া হয়। জবাবে চমকিলা-অমরজ্যোতের পুত্র বলেন, কখনও কখনও আমরা সেই প্রসঙ্গে কথা বলি। মাঝেমধ্যেই উনি (গুরমেইল) বলেন, “আজ যদি তোমার বাবা থাকতেন, তাহলে আমাদের এমন অবস্থা হত না। তিনি খুবই কঠোর পরিশ্রম করতেন। তবে মানুষের কুনজরের প্রভাব পড়েছিল তাঁর উপর। বাবার প্রচুর শত্রু তৈরি হয়েছিল। আমি আমার দিদিদের সঙ্গে যতটা সম্ভব নিজেদের দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করি।”

জয়মান চমকিলাও নিজের বাবা এবং দিদিদের পদাঙ্কই অনুসরণ করেছেন। আসলে তিনিও পেশায় গায়ক। মা-বাবার মৃত্যুর পর জয়মানকে বড় হয়েছেন তাঁর দিদা-দাদুর কাছে। প্রতি বছর চমকিলার মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার জন্য জয়মান এবং তাঁর দিদিরা মিলে একটি মেলার আয়োজন করেন। যেখানে তাঁরা চমকিলার ভক্ত এবং অন্যান্য শিল্পীদেরও আমন্ত্রণ জানান।