Bankura News: বাঁকুড়ার “রাম”-দের আয়োজিত রামনবমী আড়ম্বরহীন, কিন্তু ভক্তিতে মোড়া

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার রামপাড়াতে পালিত হল রামনবমী। বাঁকুড়া জেলার আঁচুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত, পশ্চিম সানাবাঁধ গ্রামের রাম পাড়ায় সাত মুখোপাধ্যায় পরিবারের বাস। এই সাত পরিবারের ৪০-৪৫ জন পুরুষ সদস্যের নাম শুরু হয় “রাম” দিয়ে। রামচরণ, রামশরণ, রামরঞ্জন কিংবা রামানন্দ মুখোপাধ্যায়। নামের শুরু “রাম” দিয়েই।

পরিবারে পুত্রের জন্ম হলে তার নাম রাখা হয় রাম দিয়েই। নাম একবার ব্যবহার হয়ে গেলে পরবর্তীতে সেই নাম আর ব্যবহার করা হয় না। বাঁকুড়ার সঙ্গে ৭৮০ কিলোমিটার দূরে অযোধ্যার বিশেষ যোগসূত্র। সেই যোগ সূত্র এবং রামের প্রতি এত নিবেদিত প্রাণ হওয়ার কারণেই রাম পাড়ার ঐতিহাসিক রাম মন্দিরে বিশেষ পুজো।

আসল বিষয় জানতে পারলে অবাক হবেন। অযোধ্যা থেকে কর্মসূত্রে রামশরণ মুখোপাধ্যায় এসেছিলেন বাঁকুড়ার এই গ্রামে। ওঁর হাতেই আনুমানিক ২৫০ থেকে ৩০০ বছর আগে শালগ্রাম শীলার নিরাকার রাম প্রতিষ্ঠা পায় এই মন্দিরেই। বর্তমানে সাত মুখোপাধ্যায় পরিবার প্রত্যেকেই রামের সেবায়েত। পালায় পালায় দিনে তিন বার করে রামের পুজো করেন। বুধবার পালিত হল রামনবমী। নিত্য সেবার পাশাপাশি এ দিনও একেবারে কোনও রকম আড়ম্বর কিংবা জাঁকজমক ছাড়া ভক্তি সহযোগে শ্রী রামচন্দ্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন এই পাড়ার “রামেরা”।

রামরঞ্জন মুখোপাধ্যায় জানান, কোনও রকম রাজনৈতিক যোগসাজস নেই এই পাড়ার সঙ্গে। রামের এই মন্দির, সাত মুখোপাধ্যায় পরিবারের ইতিহাস এবং তাদের ঐতিহ্য এর পুরোটাই রাম পাড়ার নিজস্ব প্রচেষ্টাতে। সারা দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রামনবমী। বাঁকুড়াতেও তার ব্যতিক্রম নয়। শ্রীরামচন্দ্রের ভক্তিতে মানুষের ঢল নেমেছে রাস্তায়। তবে বাঁকুড়ার রামপাড়ার “রামেদের” আয়োজিত রামনবমী এক শান্তিপূর্ণ বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী