Category Archives: বাঁকুড়া

Weekly Market: গরুর হাটে জিন্স প্যান্টের দেদার বিক্রি! এই রঙিন সাপ্তাহিক বাজার যেন অন্য পৃথিবী

বাঁকুড়া: ‘কুমোর পাড়ার গরুর গাড়ি বোঝাই করা কলসি হাঁড়ি’…

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতার মত এই হাটে কলসি-হাঁড়ি তো আছেই, তার সঙ্গে গবাদিপশু বোঝাই করে প্রতি সোমবার নিয়ে আসা হয় বাঁকুড়ার এই বিশেষ হাটে। শুনুক পাহাড়ির পশুর হাট একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন হাট। এই প্রাচীন গ্রামীণ হাটে আপনি পেয়ে যাবেন হিরে থেকে জিরে সবকিছু। বাঁকুড়ার সবচেয়ে বড় পশুর হাট বলেই গণ্য করা হয় এটাকে। গবাদি পশু, ভেড়া, হাঁস, মুরগি, ছাগল বেচা-কেনা হয় এই হাটে। প্রতি সপ্তাহের সোমবার দূর দূরান্ত থেকে বাঁকুড়ার শুনুক পাহাড়িতে জমা হন হাজার হাজার মানুষ। এমন একটি রঙিন সাপ্তাহিক হাট দেখার ইচ্ছা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু কীভাবে আসবেন এখানে?

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল জেলা, এমন দৃশ্য আগে দেখা যায়নি…

বাঁকুড়া-১ ব্লকের আন্দারথোল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শুনুক পাহাড়ি গ্রামের পঞ্চায়েত অফিসের ঠিক উল্টো দিকে বিরাট মাঠে বসে এই হাট। গত ৫৩ বছর ধরে এই হাট বসছে। বাঁকুড়া শহর থেকে বাঁকুড়া-খাতড়া সড়ক ধরে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে রাস্তার বাম পাশে নজরে পড়তে বাধ্য এই হাট। বাসে অথবা গাড়িতে করে অনায়েসেই চলে আসতে পারবেন এখানে। সোমবার সকাল ৭ টা থেকে বসে যায় হাট, চলে দুপুর ২-৩ টে পর্যন্ত। এখানে পশু ছাড়াও পেয়ে যাবেন গয়নাগাটি থেকে শুরু করে বাড়ির রন্ধনশালার প্রয়োজনীয় মসলা, সবকিছু।

গ্রামের কৃষকরা এখানে শাক সবজি, ফলমূল সাজিয়ে বসে বিক্রি করেন। রয়েছে বাঁকুড়ার গামছা থেকে আধুনিক জিন্সের প্যান্ট এবং জামা কাপড়। এছাড়াও শস্য বীজ, তৈল বীজ, ভেষজ দ্রব্যাদি এবং ঝুড়ি থেকে ঝাঁটা কিংবা কাঠের খাটিয়া অথবা রং-বেরঙের মসলা, সবই যেন হাতের নাগালের মধ্যেই। রং এবং ফ্লেভারের এক অপূর্ব মিশ্রণ এই হাট।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Bankura News: “তৃণমূল ছক্কার পর ছক্কা হাঁকাচ্ছে” গোলসিতে বললেন সুজাতা

বাঁকুড়া: হাতে লক্ষ্মীর ঘট। যে ঘটে ছোটবেলায় দু এক টাকা করে জমাতেন অনেকেই। সেই ঘট হাতে সুজাতা মণ্ডলের প্রচারে অংশ নিলেন মহিলারা। বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল গলসি ২ নম্বর ব্লক ও ভুঁড়ি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মহিলা কর্মীদের নিয়ে আলোচনা সভা সারলেন। এই সভাতেই দেখা গেল হাতে লক্ষ্মীর ঘট নিয়ে মহিলাদের।

বুধবার পুজো সেরে শুরু হয় প্রচার। মহিলাদের সাড়া পেয়ে প্রার্থী বলেছেন, “কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করছি না। রোদে গরমে যেভাবে মহিলারা এসেছেন, তাতে আমি নিশ্চিত তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে।

আরও পড়ুন: ধরা পড়ল বিরাট জালিয়াতি, ভোটে জিততে এমন কুকীর্তি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার!

তাছাড়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দ্বিগুন করে দেওয়া একটা মাস্টারস্ট্রোক বলেও দাবি করেন সুজাতা। তাঁর দাবি, ‘তৃণমূল বলের পর বল ছক্কা হাঁকাচ্ছে।’ সৌমিত্র এবং সুজাতাকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক তরজা। একে অপরকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখতেও শোনা যাচ্ছে দুই প্রার্থীকে। তবে রাজনৈতিক কটাক্ষের চেয়েও প্রচারের নতুনত্ব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বলেই দেখা যাচ্ছে।

সুজাতা মণ্ডলের  নতুন নতুন প্রচার ধারা নজর কাড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রায় প্রতিদিনই। চতুর্থ দফার নির্বাচনের পর পঞ্চম দফা আর তার পরই ২৫ মে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর লোকসভায় চূড়ান্ত নির্বাচন। হাতে সময় কম থাকায় তাই প্রচারে আরও সময় দিচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী৷

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Bankura News: স্কুলে আসছিলনা ছাত্ররা, তাই যা করলেন শিক্ষক ও গ্রামবাসীরা….

বাঁকুড়া: বাঁকুড়া জেলার অন্তর্গত রাণীবাঁধ উত্তর চক্রের দেউলী নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়। এটি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,এখানে মূলত আদিবাসী, কুর্মি,মাঝি সহ অনগ্রসর সম্প্রদায়ের বাস। বিদ্যালয়টিতে মোট 4 জন শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন। বর্তমান ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা 97 জন। বিদ্যালয়টি 1946 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখন একটা নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে পাবলিক স্কুলে শিশুদের পড়ানোর। আজ পাবলিক স্কুলের চিতাকর্ষক ইনফ্রাস্ট্রাকচারে মোহিত গ্রাম থেকে শহর। ফলে গ্রামের দিকেও বিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা দিনকে দিন কমে যাচ্ছে, সেই কথা মাথায় রেখে বিদ্যালয়টিকে বিভিন্ন চিত্র অংকনের মাধ্যমে বিদ্যালয়টিকে আকৃষ্ট কর করা হয়েছে।

ফলও হাতে নাতে পেয়েছেন শিক্ষকরা,এই বছর থেকেই পাবলিক স্কুলে যাওয়ার প্রবনতা যেমন কিছুটা কমেছে,ঠিক তেমনই পাশাপাশি বিদ্যালয় থেকেও এই স্কুলে এসে শিশুরা অ্যাডমিশন নিচ্ছে। বিগত কয়েক বছর ধরে ধাপে ধাপেই স্কুলকে রঙিন করার কাজ চালিয়ে যাওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে গ্রামবাসীরা সকলে মিলে আলোচনা করে, বিদ্যালয়টিকে রঙিন করে সাজিয়ে তোলার যে খরচ তা জোগাড় করা শুরু করেন। অনুদানের মাধ্যমে এবং গ্রামবাসী,শিক্ষক শিক্ষিকা সর্বোপরি ছাত্র ছাত্রীদের প্রচেষ্টায় নবরূপ ধারণ করেছে দেউলী নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়, রানীবাঁধ।

আরও পড়ুন :পরীক্ষার আগেও লুকিয়ে লুকিয়ে করত এই কাজ! উচ্চ মাধ্যমিকে পঞ্চম অঙ্কিতের অজানা গল্প জানলে চমকে উঠবেন

শিক্ষক আছে ছাত্র নেই। আবার ছাত্রছাত্রী রয়েছে কিন্তু শিক্ষকের সংখ্যা কম। এই সমস্যা লেগেই রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তবে আকর্ষণীয় পাবলিক স্কুলের দিকে ঝুঁকছেন অভিভাবকরা। ফাঁকা পড়ে থাকছে সরকারি স্কুল।

আরও পড়ুন : হাজার হাজার টাকার ক্ষতির হাত থেকে মুক্তি! থাকবে না জলের সমস্যা, কী ভাবে জানেন

সেই কারণেই প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের, দেউলী নিম্ন বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজের হাতে তুলে নিলেন সমস্যার সমাধানের নিদান। কার্যত কিছুটা সফল হয়েছেন তারা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এলাকার বাচ্চাদের আবারও স্কুলমুখী করা সম্ভব হয়েছে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

TMC Sujata Mondal: বাঁকুড়ার প্রচারে সব নজর সন্তোষে, কে তিনি? যার সঙ্গে দেখা করলেন সুজাতা মণ্ডল

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় ভোট ২৫ মে। তার আগে বিষ্ণুপুর লোকসভার ফুলিয়ারা অঞ্চলের ঘুমুট গ্রামে সন্তোষ নামক এক বিশেষভাবে সক্ষম সক্রিয় দলীয় কর্মীর সঙ্গে বেশ মানবিক আলাপচারিতা করতে দেখা গেল বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে।

কে এই সন্তোষ? কেনই বা ফুল হাতে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সুজাতা মণ্ডলকে? দলের আর পাঁচটা কর্মীর মতোই, দলের সক্রিয় এক কর্মী সন্তোষ। সূত্রের খবর অনুযায়ী সন্তোষ পেয়েছেন এটি বিশেষ গাড়ি, সঙ্গে পাচ্ছেন ‘প্রতিবন্দী ভাতা’।

আরও পড়ুনঃ এক কল্যাণে রক্ষে নেই, সঙ্গে আরও দুই! শ্রীরামপুর লোকসভায় ৩ কল্যাণের লড়াই

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল সাক্ষাৎ করছেন সন্তোষ নামে এক দলীয় কর্মীর সঙ্গে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিশেষভাবে সক্ষম সন্তোষের উদ্দেশ্যে প্রার্থী বলছেন, “মাকে প্রণাম করো। তোমরা রয়েছ বলেই দল বেঁচে আছে। খুব ভাল থেকো, শরীর ভাল রাখো।

চতুর্থ দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ বার অপেক্ষা পঞ্চম দফা এবং অবশেষে ২৫ মে। নির্বাচনকে সামনে রেখে, প্রতিটি হেভিওয়েট প্রার্থী সেরে ফেলছেন নির্বাচনী প্রচার। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল নজর কেড়েছেন জনগণের প্রতি তার সাবলীল আচরণের ফলে, সঙ্গে নিত্য নতুন প্রচার কৌশল তো রয়েছেই।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Lok Sabha Elections 2024: ভাত, ডাল মাছের ঝোল, শেষ পাতে চাটনি, দই! প্রচারে এসে পাত পেড়ে খেলেন তৃণমূল প্রার্থী

বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুর লোকসভার জয়পুরের মাটি থেকেই জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হয়েছিলেন সুজাতা মন্ডল। তাই জয়পুর তার খুব কাছের জায়গা বলেই মনে করছেন এ বারের লোকসভা নির্বাচনের বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী। সেই কারণেই জয়পুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কিছুটা নস্টালজিক তৃণমূল প্রার্থী। এছাড়াও আসন পেড়ে ময়নাপুর অঞ্চলের একটি তফসিলি পরিবারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন।

মাটির বাড়িতে পাত পেড়ে, ভাত, ডাল, দই, চাটনি এবং মাছের ঝোল দিয়ে চলে আহার। খাবার খেতে খেতেই প্রশংসা করেছেন তৃণমূল প্রার্থী।নিত্যনতুন প্রচার। নাচ, গান , পুজো থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া। কিছুই বাদ নেই। মানুষের সঙ্গে বেশ একাত্মভাবে মিশে যাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী, এমনটাই মনে করছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে মহিলা এবং বয়স্কদের মধ্যে একটি বিশেষ জনপ্রিয়তা লক্ষ করা যাচ্ছে সুজাতা মণ্ডলের।

চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনের পরের দিন। নিজের এলাকার অঞ্চলে প্রচারে বেরিয়ে আরো একটি একাত্মবোধের ছবির সাক্ষী থাকল সকলে।চতুর্থ দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এ বার অপেক্ষা পঞ্চম দফা এবং অবশেষে ২৫মে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে, প্রতিটি হেভিওয়েট প্রার্থী সেরে ফেলছেন নির্বাচনী প্রচার। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর লোকসভা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল নজর কেড়েছেন জনগণের প্রতি তার সাবলীল আচরণের ফলে, সঙ্গে নিত্য নতুন প্রচার তো রয়েছেই।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Loksabha Election 2024: চা বিক্রেতাকে বিজেপি প্রার্থী সুভাষের চিঠি! কী লেখা রয়েছে সেই চিঠিতে? জানুন

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া: “মাননীয় চা দোকানের কর্তা মহাশয়। আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আপনি অনেক কঠোর পরিশ্রম করে মানুষকে চা খাইয়ে তাঁর মেজাজে আনন্দ দিচ্ছেন।” বাঁকুড়া লোকসভার বিজেপি প্রার্থী ডঃ সুভাষ সরকার, এই চিঠি লিখলেন একটি চা বিক্রেতাকে। সমাজের সব ধরনের জীবিকার মানুষকেই নিজের হাতে লেখা চিঠি দিলেন বাঁকুড়া লোকসভার বিজেপি প্রার্থী।

নিজের হাতে লেখা চিঠির মাধ্যমে একটি মৌলিক প্রচার সেরেছেন সুভাষ সরকার। পোস্টকার্ড, কিংবা হাতে করে চিঠি লেখার দিন পেরিয়েছে। মুঠোফোনের আড়ালে চকিতে পৌঁছে যাচ্ছে বার্তা। তবে ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় নির্বাচনের আগে বিজেপি প্রার্থীর এই প্রচার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে বলা ভুল হবে না।

আরও পড়ুন : ভুলেও এঁচোড় খাবেন না! জানুন কারা এঁচোড় মুখে তুললেই সর্বনাশ! সতর্ক থাকুন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে

বাঁকুড়ার লালবাজারে রাস্তায় হেঁটে ঘুরে ঘুরে বিজেপি প্রার্থী বিতরণ করলেন চিঠি। স্থানীয় চা বিক্রেতা তারাপদ গড়াই বলেন, প্রার্থীর হাতে লেখা চিঠি পাবেন বলে তিনি ভাবতেই পারেননি। এছাড়াও স্থানীয় চায়ের দোকানগুলিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কম বয়সে চায়ের দোকানে কাজ করার কাহিনী তুলে ধরেন সুভাষ সরকার। চা বিক্রেতা তারাপদ গড়াই বলেন, “বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছি না আজ চার বছর হল। আমার ছেলেরা আমায় দেখে না।”

চিঠি লিখে ভোটের প্রচার। এ যেন এক অভিনবত্ব। সুভাষ সরকারের লেখা চিঠিতে নির্বাচনী প্রচারের বার্তা পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। এছাড়াও মাইক, সাউন্ড এবং হইহল্লার জমানায় হাতে লেখা চিঠি যে অন্যরকম বার্তা বহন করে সেটা অকপটেই স্বীকার করছেন বিশ্লেষকরা।

Weather update: দু’ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের ছ’জেলায় বৃষ্টি-সহ ঝড়ের সতর্কবার্তা, সঙ্গে চার জেলায় ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী

কলকাতা: আগামী দু’তিন ঘণ্টার মধ্যে আসতে চলেছে ঝড়, সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যের সাত জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃষ্টি এবং ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে সাত জেলায়। রয়েছে কালবৈশাখীর সতর্কবার্তাও।

আরও খবর: দু’ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের ছ’জেলায় বৃষ্টি-সহ ঝড়ের সতর্কবার্তা, সঙ্গে চার জেলায় ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী

রাজ্যের পাঁচ জেলা- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং পূর্ব বর্ধমান আগামী দুই-তিন ঘণ্টার মধ্যেই আসতে চলেছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়। এই পাঁচ জেলার জন্য কমলা সতর্কতা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ঝড়ের সঙ্গেই আসতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি। তাই এই পাঁচ জেলার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস।

আরও খবর: সাসপেন্ড ঋষভ পন্থ! প্লে-অফের জন্য ‘বিরাট’ ম্যাচে শাস্তি পন্থের, কী করেছেন?

আগামী দুই-তিন ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মুর্শিদাবাদেও। বৃষ্টির সঙ্গেই ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। আপাতত মুর্শিদাবাদে হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে মুর্শিদাবাদে।

রাজ্যের চার জেলায় কালবৈশাখীর সতর্কতাও জারি করেছে হাওয়া অফিস। আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের চার জেলায় তাণ্ডব চালাতে পারে কালবৈশাখী। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং হুগলি জেলায় ধেয়ে আসতে পারে কালবৈশাখী। ৬০ কিমি বেগে ধেয়ে আসতে পারে ঝড়, সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে এই চার জেলা।

Bankura News: হাতে জোড়া আম, খুন্তি হাতে বিরোধীদের ‘ভেজে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি সুজাতার

বাঁকুড়া: ভোট প্রচারে সুজাতা মণ্ডল, এক গৃহস্থের বাড়িতে ভাজলেন মাছ! ৪ জুনের পর মাছ ভাজার মতো কড়াভাবে বিরোধীদের ভেজে দেওয়ার একটা হুঁশিয়ারি সুজাতা মণ্ডলের! আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন, তারপরেই বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। প্রচারে অভিনবত্ব আনার চেষ্টা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের।

বিষ্ণুপুরের বিধায়ক এবং বিষ্ণুপুরের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডে বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ভোট প্রচার করলেন। ভোট প্রচারের মধ্যে হঠাৎ করেই এক গৃহবধূকে মাছ ভাজতে দেখে খুন্তি হাতে নিয়ে মাছ ভাজা শুরু করে দেন তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা। এমন কি, কর্মীদের দিয়ে গাছ থেকে কাঁচা আম পারলেন সুজাতা। দুটি আম হাতে নিয়ে জোড়া ফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন এলাকার মানুষের কাছে।

আরও পড়ুন: মা-স্ত্রীকে খুন, তিন সন্তানকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা! উত্তরপ্রদেশে নিজের বাড়িতেই হত্যালীলা যুবকের

বিষ্ণুপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর প্রচারে উঠে এল ছবি। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে বেড়িয়ে, বয়স্ক মানুষদের সঙ্গে আলাপচারিতা করতে দেখা গেল প্রার্থীকে। তারপর বিশেষ ভাবে সক্ষম এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন প্রার্থী।

আর মাত্র ১৫ দিন। তারপর ভোটের উৎসব শুরু হবে বাঁকুড়া জেলাতে। হাতে স্বল্প সময় থাকার কারণে, প্রতিটি হেভিওয়েট প্রার্থী শুরু করেছেন জোরদার প্রচার। যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Bankura News: হাজার হাজার টাকার ক্ষতির হাত থেকে মুক্তি! থাকবে না জলের সমস্যা, কী ভাবে জানেন

DPSS অর্থাৎ 'ড্রাইরান প্রোটেকশন সেন্সিং সিস্টেম' নামের একটি প্রযুক্তি ডেভেলপ করেছেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা বিপুল কুণ্ডু। পাম্পে জল না উঠলে, নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে পাম্প। পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
DPSS অর্থাৎ ‘ড্রাইরান প্রোটেকশন সেন্সিং সিস্টেম’ নামের একটি প্রযুক্তি ডেভেলপ করেছেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা বিপুল কুণ্ডু। পাম্পে জল না উঠলে, নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে পাম্প। পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে মাটির নীচে জলের স্তর নেমে গিয়ে পাম্পে এক মিনিট ৩০ সেকেন্ড জল না উঠলে, DPSS প্রযুক্তি পাম্পটিকে নিজে থেকেই বন্ধ করে দেবে। ফলে মোটা টাকার আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবেন পাম্পের মালিক।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে মাটির নীচে জলের স্তর নেমে গিয়ে পাম্পে এক মিনিট ৩০ সেকেন্ড জল না উঠলে, DPSS প্রযুক্তি পাম্পটিকে নিজে থেকেই বন্ধ করে দেবে। ফলে মোটা টাকার আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবেন পাম্পের মালিক।
বেঁচে যাবে হাজার হাজার টাকা! বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় গরমে জলের সমস্যা থেকে নিমেষে মুক্তি।
বেঁচে যাবে হাজার হাজার টাকা! বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় গরমে জলের সমস্যা থেকে নিমেষে মুক্তি।
বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় গরম পড়লেই জলের সমস্যা নতুন কিছু নয়। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, যে গরম না পড়লেও মাটির তলায় জল পাম্পে করে উপরে তুলতে কালঘাম ছুটে যায় মানুষের। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বেঁচেছেন বাঁকুড়ার বাসিন্দারা৷
বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় গরম পড়লেই জলের সমস্যা নতুন কিছু নয়। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, যে গরম না পড়লেও মাটির তলায় জল পাম্পে করে উপরে তুলতে কালঘাম ছুটে যায় মানুষের। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বেঁচেছেন বাঁকুড়ার বাসিন্দারা৷
বিপুল কুণ্ডু জানান ,প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রযুক্তি বাঁকুড়ার প্রায় ১০০টিরও বেশি পাম্পে বসিয়েছেন তিনি.
বিপুল কুণ্ডু জানান ,প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রযুক্তি বাঁকুড়ার প্রায় ১০০টিরও বেশি পাম্পে বসিয়েছেন তিনি.
সেন্সর গুলি ট্যাঙ্কির মধ্যে জলের লেয়ার বুঝে প্রায় নিজে থেকেই বন্ধ করে দেবে পাম্প, এবং বন্ধ হবে জলের অপচয়।
সেন্সর গুলি ট্যাঙ্কির মধ্যে জলের লেয়ার বুঝে প্রায় নিজে থেকেই বন্ধ করে দেবে পাম্প, এবং বন্ধ হবে জলের অপচয়।

Lok Sabha Election 2024: সুজাতার চমক নারীশক্তি, এবার কী করলেন তৃণমূল প্রার্থী?

বাঁকুড়া: নাচের সঙ্গে সুজাতা মণ্ডলের যেন একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। প্রতিদিনের প্রচারে একবার হলেও চোখে পড়বে বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থীর নিজের আনমনেই নেচে ওঠার দৃশ্য। মানুষও যথেষ্ট উপভোগ করছে এই প্রচার। বৃহস্পতিবার ইন্দাস ব্লকের শাসপুর অঞ্চলে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন সুজাতা। তার মধ্যেই চোখে পড়ল অবাক দৃশ্য।

উৎসাহিত মহিলাদের ভিড় থেকে একটি শিশুকে কোলে নিলেন তৃণমূল প্রার্থী। তারপর কোলে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ গানের ছন্দে নাচলেন তিনি। এরপর মাইক হাতে বেশ লম্বা রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেন তৃণমূল প্রার্থী। বক্তব্যে বার বার উঠে এসেছে নারী শক্তি এবং মহিলাদের কথা।

আরও পড়ুন: বিদ‍্যুতের চমক, ঘনঘন পড়ছে বাজ, মোবাইল ফোন কি একেবারে বন্ধ করে দেওয়া উচিত? ইন্টারনেট চালু রাখলে কী হবে?

ইন্দাস ব্লকের শাসপুর অঞ্চলে মহিলারা ভিড় করে প্রচার দেখছিলেন। তাঁদের মধ্যেই কেউ কেউ আবার নেচেও উঠলেন গানের ছন্দে। প্রার্থীকে মালাও পরিয়ে দিলেন এক বৃদ্ধা। সব মিলিয়ে রঙিন প্রচারেই কাটল বৃহস্পতিবার। চুল কাটা, দুহাত তুলে নাচা, রাধিকা সেজে খোল করতাল বাজানো কিংবা গান গাওয়া, কোনওটাই বাদ দেননি সুজাতা মন্ডল। একের পর এক মৌলিক প্রচার ধারা।


লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভায় নারী শক্তিকে সামনে রেখে চলছে তৃণমূলের প্রচার। এবং এই প্রচারের মূল কাণ্ডারী মহিলা প্রার্থী হলেন সুজাতা মন্ডল। সেই কারণে মহিলাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছেন এই প্রার্থী। তবে ভোটের ঢেউ বুঝতে অপেক্ষা করতে হবে ২৫ মে পর্যন্ত।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী