আগুনে পুড়ে ছাই দোকান ঘর

Fire News: বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই সর্বস্ব, এক লহমায় সব শেষ…! বন্ধ রুজি রোজগারের পথ, বুকফাটা কান্না সর্বহারা দোকানদারদের

হলদিয়া:  রাতের অন্ধকারে বিধ্বংসী আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। রুজি রোজগারের পথ বন্ধ। সংসার চলবে কী করে সেই দুশ্চিন্তায় সর্বহারা দোকানদারেরা। শুক্রবার মধ্যরাতে হলদিয়ার দুর্গাচক সুপার মার্কেটের সামনে ফুটপাতের ওপর থাকা পরপর কয়েকটি দোকানে আগুন লেগে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। আর এই ঘটনা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় হলদিয়া জুড়ে। হলদিয়া মেচেদা রাজ্য সড়কের পাশে সুপার মার্কেটের সামনে ফুটপাতে থাকা বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে প্রায় দশটি দোকান ঘর। তাতেই সর্বস্বান্ত হয়েছে দোকানগুলির মালিকেরা।

পড়াশোনার পর জোটেনি চাকরি, বাধ্য হয়ে রোজগার করতে ফুটপাতে ব্যবসা শুরু করেন কেউ। দীর্ঘ বছর ধরেই চলছিল ঠিকঠাক। এই ব্যবসার জন্যই হয়েছে সংসার। সংসারের যাবতীয় খরচ চলত ফুটপাতের উপর থেকেই দোকানের আয়ে। ছেলেমেয়ে স্ত্রী বাবা-মাকে নিয়ে সংসার দিব্যি চলছিল। কিন্তু শুক্রবার রাতের বিভীষিকার পর কার্যত দিশেহারা হয়েছে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দোকানের মালিকেরা। কারও ছিল জামা কাপড়ের, কারও ফাস্টফুড আবার কারও ফুল দোকান। সব মিলিয়ে দশটি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে বিধ্বংসী আগুনে। রুটি রুজির একমাত্র অবলম্বন খুইয়ে পথে বসল ওই দোকানগুলির মালিকেরা।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

বিধ্বংসী আগুনে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া ফাস্টফুড দোকানের মালিক জানান, পড়াশোনার পর চাকরি জোটেনি। রোজগারের পথ খুঁজে নিতে ফুটপাতেই ফাস্টফুডের দোকান শুরু করেন। ফাস্টফুডের দোকানের আয় থেকেই দিব্যি চলছিল সংসার ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ। কিন্তু রাতের আগুন কেড়ে নিয়েছে মুখের গ্রাস। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ কিভাবে চলবে তা ভেবে পাচ্ছেন না তারা। দোকানের আয় থেকে চিকিৎসার খরচ সংসার খরচের পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চলত। কিন্তু আগুনের সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়েছে দোকান। পুড়ে ছাই হয়েছে দোকানের জিনিসপত্র। নতুন করে দোকান পাতার সামর্থ্যটুকু নেই।’

মধ্যরাতের বিধ্বংসী আগুন পথে বসিয়েছে প্রায় দশটি পরিবারকে। পরিবারের খরচ চলবে কীভাবে সেই ভেবে ঘুম উড়েছে পুড়ে যাওয়া দোকানদারদের। তাদের আবেদন সরকার যদি সহানুভূতিশীল হয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ায় তাহলে নতুনভাবে আবারও একবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে সামিল হতে পারবে ওই দোকানদারেরা।

সৈকত শী