কলকাতা SSC Salary: SSC-তে চাকরি খোয়ালেন ২৫হাজার ৭৫৩ জন, কিন্তু বেতন ফেরত দেবেন কতজন? জানুন আসল সংখ্যা Gallery April 22, 2024 Bangla Digital Desk কলকাতা: লোকসভা ভোটের মধ্যেই তোলপাড় ফেলা রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ SSC মামলার রায় ঘোষণা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। পুরো প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে বলেছে আদালত। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে ওই চাকরিপ্রাপকদের বেতন ফেরত দিতে হবে। দিতে হবে সুদও। মেয়াদ-উত্তীর্ণ চাকরি প্রাপকদের বছরে ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে বলেছে আদালত। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কাদের কাদের বেতন ফেরত দিতে হবে? পুরো প্যানেলে যত জন ছিলেন, অর্থাৎ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনকেই কি বেতন ফেরত দিতে হবে? না। এক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্ট তিনটি ক্যাটাগরি নির্ধারন করে দিয়েছে। প্রথমত, যারা ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়েছেন, দ্বিতীয়ত, প্যানেলের বাইরে যাঁদের নাম রয়েছে। এবং তৃতীয়ত, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর শূন্যপদ তৈরি করে যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর এই তিনটি ক্যাটাগরি মিলিয়ে মোট সংখ্যাটা হল ৫৫৩৭ জন। এই ৫৫৩৭ জনকেই ফেরত দিতে হবে বেতন। এ বিষয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, জনগণের টাকায় বেতন পেয়েছেন ওই চাকরিপ্রাপকেরা। তাই বেতন তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সুদও দিতে হবে। বেতনের পুরো টাকা তাঁরা ফিরিয়েছেন কি না, তা আদালতে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। সোমবার এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি। আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। তদন্তের প্রয়োজনে সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়ে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এসএসসির উত্তরপত্রও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে বলেছে আদালত। জনসাধারণ যাতে উত্তরপত্র দেখতে পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সব চাকরি বাতিল করলেও এক জনের চাকরি যায়নি। সোমা দাস নামের ক্যান্সার আক্রান্ত এক চাকরিপ্রাপকের নিয়োগ মানবিক কারণে বাতিল করা হয়নি।