Tag Archives: SSC

SSC Scam: SSC কাণ্ডে আসলে অযোগ্য প্রার্থী কতজন? ৫২৫০ নাকি ৮৮৬১? আদালতে যা জানাল কমিশন, চমকে উঠবেন

নয়াদিল্লি: গত ২২ এপ্রিল এসএসসি কাণ্ডে ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল, মঙ্গলবারই তার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ যার অর্থ, আপাতত প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকছে৷ তবে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল সেই শিক্ষকদের মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে ভবিষ্যতে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হলে তাঁদের হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ফেরত দিতে হবে৷ আর এরই পরিপ্রেক্ষিতেই উঠে এসেছে, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে কতজন অযোগ্য প্রার্থী আছেন? এসএসসি ইতিমধ্যেই ৫২৫০ জনের বেআইনি নিয়োগের কথা বলেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-কে উদ্ধৃত করে এসএসসি জানিয়েছে, ২০১৬ সালে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে ৮৮৬১টি। আর এই সংখ্যা আলাদা হওয়া নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা। অযোগ্যদের আসল সংখ্যা কত, তা নিয়ে দ্বিধায় অনেকেই।

বুধবার অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অযোগ্য বলে চিহ্নিত চাকরি প্রাপকদেরও আপাতত ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে না৷ আগামী ১৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি৷ ওই দিনই এই মামলার চূড়ান্ত রায়দান করবে শীর্ষ আদালত৷

আরও পড়ুন: আপাতত চাকরি বহাল ২৬ হাজার শিক্ষকের, জুলাই মাসে চূড়ান্ত শুনানি! বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

সুপ্রিম কোর্ট বুধবার নির্দেশ দিতে গিয়ে জানিয়েছে, এসএসসি যদি যোগ্য অযোগ্যদের বিভাজন করতে পারে, তাহলে গোটা প্যানেল বাতিল ন্যায্য নয়৷ পাশাপাশি, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে তার অভিঘাত অনস্বীকার্য বলেও স্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের মধ্যেই বড় ধাক্কা বিজেপির, হরিয়ানায় সঙ্কটে নায়েব সিং সরকার

মঙ্গলবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সরকারি পদাধিকারিকদের প্রয়োজনে হেফাজতে নিতে হবে সিবিআই-কে৷ শীর্ষ আদালত এ দিন জানিয়েছে, সিবিআই এসএসসি সমস্ত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তবে অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশিত তদন্তে কাউকে গ্রেফতার করা যাবেনা। তিন মাসের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

নির্দেশ দেওয়ার আগে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন , এখানে আমরা সবাই বিচার ব্যবস্থার অঙ্গ। ফলে আমাদের সেই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে শুনানি সম্ভব হচ্ছে না।’

কলকাতা হাইকোর্ট প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার পরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং রাজ্য সরকার৷ এ দিন শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতে এসএসসি-র আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৬ সালের ওই প্যানেলের মধ্যে ১৯ হাজার নিয়োগই বৈধ ছিল৷ তার স্বপক্ষে যাবতীয় তথ্য এসএসসির হাতে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন এসএসসি-র আইনজীবী৷

ফলে কয়েক হাজার অবৈধ নিয়োগের জন্য কেন যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হবে, শীর্ষ আদালতে সেই প্রশ্ন তোলে এসএসসি৷ একই সঙ্গে এসএসসি-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের হয়ে কোনও সওয়াল এসএসসি আদালতে করবে না৷ এসএসসি দাবি করে, নাইসা-র থেকে পাওয়া তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷

এ দিনের শুনানির আগে শীর্ষ আদালত এসএসসি-র কাছে জানতে চেয়েছিল, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের পৃথকীকরণ সম্ভব কি না৷ এসএসসি-র পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছিল, তাদেরকাছে সেই তথ্য রয়েছে৷ সেই মতো এ দিন শীর্ষ আদালতে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা হলফনামা আকারে জমা দেয় এসএসসি৷

এ দিন শুনানি পর্বে বার বারই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকার এবং এসএসসি-কে৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ক্ষোভের সঙ্গে মন্তব্য করে, ‘এমনিতেই সরকারি চাকরি খুব কম৷ তার উপরে সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও দুর্নীতি হলে মানুষের ভরসা উঠে যাবে৷ প্রচুর গরিব মানুষ সরকারি চাকরির দিকে তাকিয়ে থাকেন৷’

Supreme court order in SSC case: আপাতত চাকরি বহাল ২৬ হাজার শিক্ষকের, জুলাই মাসে চূড়ান্ত শুনানি! বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষকের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্ট গত ২২ এপ্রিল দিয়েছিল, তার উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট৷ যার অর্থ, আপাতত প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকছে৷ তবে বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছিল সেই শিক্ষকদের মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে ভবিষ্যতে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হলে তাঁদের হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক ফেরত দিতে হবে৷

এমন কি, অযোগ্য বলে চিহ্নিত চাকরি প্রাপকদেরও আপাতত ১২ শতাংশ সুদ সহ বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে না৷ আগামী ১৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি৷ ওই দিনই এই মামলার চূড়ান্ত রায়দান করবে শীর্ষ আদালত৷

সুপ্রিম কোর্ট এ দিন নির্দেশ দিতে গিয়ে জানিয়েছে, এসএসসি যদি যোগ্য অযোগ্যদের বিভাজন করতে পারে, তাহলে গোটা প্যানেল বাতিল ন্যায্য নয়৷ পাশাপাশি, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে তার অভিঘাত অনস্বীকার্য বলেও স্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ 

কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সরকারি পদাধিকারিকদের প্রয়োজনে হেফাজতে নিতে হবে সিবিআই-কে৷ শীর্ষ আদালত এ দিন জানিয়েছে, সিবিআই এসএসসি সমস্ত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। তবে অতিরিক্ত শূন্যপদ নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশিত তদন্তে কাউকে গ্রেফতার করা যাবেনা। তিন মাসের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

নির্দেশ দেওয়ার আগে এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন , এখানে আমরা সবাই বিচার ব্যবস্থার অঙ্গ। ফলে আমাদের সেই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে শুনানি সম্ভব হচ্ছে না।’

কলকাতা হাইকোর্ট প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়ার পরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং রাজ্য সরকার৷ এ দিন শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালতে এসএসসি-র আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৬ সালের ওই প্যানেলের মধ্যে ১৯ হাজার নিয়োগই বৈধ ছিল৷ তার স্বপক্ষে যাবতীয় তথ্য এসএসসির হাতে রয়েছে বলেও দাবি করেছেন এসএসসি-র আইনজীবী৷

আরও পড়ুন: আইসিইউ-তে ভর্তি স্ত্রী, হাসপাতালের বেডেই নৃশংস কাণ্ড স্বামীর! কারণ শুনলে শিউরে উঠতে হয়

ফলে কয়েক হাজার অবৈধ নিয়োগের জন্য কেন যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাতিল হবে, শীর্ষ আদালতে সেই প্রশ্ন তোলে এসএসসি৷ একই সঙ্গে এসএসসি-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের হয়ে কোনও সওয়াল এসএসসি আদালতে করবে না৷ এসএসসি দাবি করে, নাইসা-র থেকে পাওয়া তথ্যের উপরে ভিত্তি করেই অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷

এ দিনের শুনানির আগে শীর্ষ আদালত এসএসসি-র কাছে জানতে চেয়েছিল, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের পৃথকীকরণ সম্ভব কি না৷ এসএসসি-র পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়েছিল, তাদেরকাছে সেই তথ্য রয়েছে৷ সেই মতো এ দিন শীর্ষ আদালতে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা হলফনামা আকারে জমা দেয় এসএসসি৷

এ দিন শুনানি পর্বে বার বারই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকার এবং এসএসসি-কে৷ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ক্ষোভের সঙ্গে মন্তব্য করে, ‘এমনিতেই সরকারি চাকরি খুব কম৷ তার উপরে সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও দুর্নীতি হলে মানুষের ভরসা উঠে যাবে৷ প্রচুর গরিব মানুষ সরকারি চাকরির দিকে তাকিয়ে থাকেন৷’

SSC 2016 Recruitment: চাকরিহারা শিক্ষকদের জন্য বড় খবর! আদালতে যোগ্য প্রার্থীদের সংখ্যা জানাল এসএসসি

২০১৬ এসএসসি দূর্নীতি মামলার জেরে চাকরি গিয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের৷ সেই নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মামলা৷ সেখানে রাজ্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসির তরফ থেকে আবেদন করা হয়৷
২০১৬ এসএসসি দূর্নীতি মামলার জেরে চাকরি গিয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের৷ সেই নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল মামলা৷ সেখানে রাজ্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসির তরফ থেকে আবেদন করা হয়৷
এ বার সেই প্রেক্ষিতে আদালতে এসএসসির আবেদন জানালেন এক অবাক করা তথ্য৷ আদালতের প্রশ্নের জবাবে জানানো হল,নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১৯ হাজার যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন৷ এর পাশাপাশি, হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছেন, রাজ্যের মোট শিক্ষকদের ছ’ভাগের এক ভাগের চাকরি বাতিল হয়েছে, যা অসুবিধার৷
এ বার সেই প্রেক্ষিতে আদালতে এসএসসির আবেদন জানালেন এক অবাক করা তথ্য৷ আদালতের প্রশ্নের জবাবে জানানো হল,নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় ১৯ হাজার যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন৷ এর পাশাপাশি, হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছেন, রাজ্যের মোট শিক্ষকদের ছ’ভাগের এক ভাগের চাকরি বাতিল হয়েছে, যা অসুবিধার৷
এর আগে আদালতে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, রাজ্য নিয়োগের শূন্যপদ তৈরি করে, এসএসসি নিয়োগ করে৷ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম থাকলে সেটা এসএসসি বিস্তারিত জানাতে পারবে৷
এর আগে আদালতে রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, রাজ্য নিয়োগের শূন্যপদ তৈরি করে, এসএসসি নিয়োগ করে৷ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম থাকলে সেটা এসএসসি বিস্তারিত জানাতে পারবে৷
তবে এর পরেই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যকে শূন্যপদ তৈরি করতে হল কেন? ২০১৬ সালের নিয়োগে কেন ২০২২ সালে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে হবে৷ প্রশ্নের মুখে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের শূন্যপদ তৈরির তো কোনও প্রশ্নই নেই৷
তবে এর পরেই প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যকে শূন্যপদ তৈরি করতে হল কেন? ২০১৬ সালের নিয়োগে কেন ২০২২ সালে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে হবে৷ প্রশ্নের মুখে থাকা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের শূন্যপদ তৈরির তো কোনও প্রশ্নই নেই৷
রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল বিভিন্ন শিক্ষকদের চাকরি যাওয়ার নির্দেশের ফলে৷ কিন্তু সেই নির্দেশ নিয়ে সরব হয়েছিলেন সেই শিক্ষকদের৷ সুপ্রিম কোর্টে সেই নিয়ে মামলা গড়ায়৷ যদিও এখনও স্পষ্ট কোনও নির্দেশ আসেনি৷
রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল বিভিন্ন শিক্ষকদের চাকরি যাওয়ার নির্দেশের ফলে৷ কিন্তু সেই নির্দেশ নিয়ে সরব হয়েছিলেন সেই শিক্ষকদের৷ সুপ্রিম কোর্টে সেই নিয়ে মামলা গড়ায়৷ যদিও এখনও স্পষ্ট কোনও নির্দেশ আসেনি৷

SSC: প্রধানমন্ত্রীর বড় ঘোষণা, SSC নিয়ে বড় পদক্ষেপ রাজ্য বিজেপির! বেছে নেওয়া হল ৬ জনকে

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা মতো এবার ‘যোগ্য’ এসএসসি প্রার্থীদের পাশে দাঁড়াতে আইনি কমিটি গঠন করল বিজেপি। এসএসসি যোগ্য চাকরিহারাদের আইনি সাহায্য দেওয়ার জন্যই এই কমিটি গড়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। ৬ আইনজীবীকে নিয়ে এই লিগ্যাল অ্যাসিস্টান্স কমিটি গঠন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পরপরই। যে কোনও যোগ্য চাকরিহারাদের আইনি সহায়তা দেবে এই কমিটি।

এই কমিটিতে আছেন আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায়, আইনজীবী সহশ্রাংশু ভট্টাচার্য, আইনজীবী সুকান্ত চক্রবর্তী, আইনজীবী তিলক মিত্র, আইনজীবী কৌস্তভ দাস ও আইনজীবী রাহুল সরকার।

আরও পড়ুন: কুণালের বিদ্রোহে বিপদ, সমঝোতার পথে তৃণমূল! বৈঠক শেষে গান গাইলেন তৃণমূল নেতা

প্রসঙ্গত, দিন দুই আগেই পূর্ব বর্ধমানের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদি আশ্বাস দেন, ‘‘শিক্ষক দুর্নীতিতে অনেক নির্দোষও আছেন। তার মধ্যে যাঁরা চাকরির যোগ্য। আমরা নেক-ইমানদার লোকদের কীভাবে সাহায্য করতে পারি তার জন্য একটি লিগাল সেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম তৈরি করব।’’

মোদির কথায়, ‘‘বিজেপি ইমানদারদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকবে। ইমানদার শিক্ষকদের চাকরি যাতে পায়, তার জন্য লড়াই করবে বিজেপি। যাঁরা ইমানদার তাঁদের ন্যায় দিতে রাজ্য বিজেপি লড়বে। এটা মোদির গ্যারান্টি৷’’ এরপরই আইনজীবীদের নিয়ে কমিটি গঠন করল রাজ্য বিজেপি।

SSC রায়ে ১১ জনের চাকরি গিয়েছে, সাড়ে পাঁচ হাজার পড়ুয়ার স্কুলে এখন মোটে ৩০ জন শিক্ষক!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর। এই এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হল কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুল। এটি জেলার‌ও অন্যতম নামকরা স্কুল। পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। কিন্তু আগে থেকেই সেই অনুপাতে স্কুলের স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিল না। পার্শ্বশিক্ষক এবং স্থায়ী শিক্ষক মিলিয়ে সংখ্যাটা ছিল ৫৫ জন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট নিয়োগে দুর্নীতির কারণে ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়ায় এখানকার ১১ জন শিক্ষক চাকরি খুইয়েছেন। ফলে তাঁরা আর স্কুলে আসছেন না। এতে ক্লাস করাই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৫৫ জন শিক্ষক থেকে প্রথমে ১৪ জন কমে যায়। এরপর আবারও এই স্কুলের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা কমেছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কুল বর্তমানে মাত্র ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়ে চলছে। সেখানে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। বোঝাই যাচ্ছে এতে পড়াশোনা কার্যত লাটে ওঠার জোগাড় হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: দুর্গা-কালী-শিব তিন দেবতার নামে জয়ধ্বনি দিয়ে বাংলায় বক্তব্য শুরু মোদির

এই বিষয়ে মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের চন্দন মাইতি বলেন, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী পড়ে। কিন্তু যদি একসঙ্গে এতজন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে যায় তাহলে স্কুলের পঠন-পাঠন চলবে কীভাবে? তিনি জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে ১১ জনের চাকরি চলে যাওয়া ছাড়াও সম্প্রতি তিনজন শিক্ষক-শিক্ষিকা উৎস্যশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে বদলি হয়ে যান।

তবে শুধু কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুল নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যান্য স্কুলেও এই সমস্যা দেখা দিয়েছে‌। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক, এটাই এখন চাইছেন অভিভাবক থেকে শুরু করে প্রধান শিক্ষকরাও।

নবাব মল্লিক

Recruitment Scam: চাকরি ফেরত পাওয়ার আশা! বাবা হারানোর শোক বুকে নিয়ে শহিদ মিনারে চাকরিপ্রার্থী…

বংশিহারী: পিতৃবিয়োগ হয়েছে সদ্য। কিন্তু সেই অবস্থাতেই নিজের চাকরি ফিরে পেতে শহিদ মিনারে হাজির বিদ্যুৎ।

দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশিহারী হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক বিদ্যুৎকুমার মণ্ডল। গত ১৬ তারিখ তাঁর বাবা মারা যান। তারপরে আরও এক বিপর্যয়। গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে। বাবা মারা যাওয়ার শোক বুকে নিয়েই নিজের চাকরি ফিরে পেতে শহীদ মিনারে হাজির তিনি।

আরও পড়ুন: যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল আদালতে, অভিযোগ খারিজ করে জানালেন এসএসসি চেয়ারম্যান

২০১৬ সালের চাকরিপ্রার্থী বিদ্যুৎকুমার মণ্ডল। জয়েনিং হয়েছে ২০১৯ -এ । কৃষিকাজের উপর ভিত্তি করে তাঁর পরিবার চলত। তাঁর কথায় চাকরি চলে যাওয়ায় তিনি পাড়া প্রতিবেশীদের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করে এসেছেন। হাইকোর্টের রায়ের পরই মাথায় বাজ পড়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় পরিচিত মাস্টারমশাই, আর এখন এলাকায় বের হতেই সংকোচ বোধ করছেন। কবে মিলবে চাকরি তাও জানেন না। পরবর্তীকালে কী করে সংসার চলবে, সেই নিয়েও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কপালে।

গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে। আগেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার ফের সাংবাদিক বৈঠক করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার দাবি করেন, তাঁরা তিনটি হলফনামা দিয়ে আদালতে জানিয়েছেন প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জনের মতো অযোগ্য ছিলেন ওই তালিকায়।

SSC Recruitment Scam Verdict: ২৫ হাজার চাকরি বাতিল নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে SSC! হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের

কলকাতা: ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল এসএসসি৷ বুধবার বেলা ৩টে নাগাদ মামলা দায়ের করা হয় বলে সূত্রের খবর৷ সবার চাকরি কেন বাতিল হল?এই অভিযোগ নিয়েই সুপ্রিম কোর্ট এ মামলা করেছে এসএসসি। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার এদিন বলেন, ‘‘আমরা কিছুক্ষণ আগেই মামলা দাখিল করেছি সুপ্রিম কোর্টে। কবে শুনানি হবে তা নিশ্চয় আপনারা জানতে পারবেন।’’ জানা গিয়েছে, এসএসসি চেয়ারম্যান দিল্লি যেতে পারেন৷ এই পরিস্থিতিতে দ্রুত যাতে এই মামলার শুনানি হয় সেই আবেদন রেখেছে এসএসসি।

গত সোমবার এক জন দু’জন নয়, ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিলের নির্দেশ দেয় আদালত৷ এখানেই শেষ নয়৷ সোমবার আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, টাকা ফেরাতে হবে চাকরি প্রাপকদের। ১,১১৩ জনকে সুদ সমেত টাকা ফেরাতে হবে তাদের গত ৮ বছরের বেতন। আর তা ফেরত দিতে হবে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যেই।

আরও পড়ুন: ২৫ হাজার চাকরি বাতিল! ফেরত দিতে হবে বেতনও, হাইকোর্টের এসএসসি রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কমিশন

মামলাকারীদের তরফে আইনজীবীরা জানান, ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল। সোমা দাস ছাড়া সকলের প্যানেল বাতিল। যতজন মাইনে পেয়েছেন চার সপ্তাহের মধ্যে তা ফেরাতে হবে। ডিএমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডিআই তা ডিএম-কে জানাবেন। এই প্যানেলের গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ সকলের ক্ষেত্রেই এই রায় প্রযোজ্য হবে।

আদালত ওইদিন জানায়,লোকসভার নির্বাচন পর্ব মেটার পরে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে৷ ততদিন বাতিল থাকবে সমস্ত বেতন বন্ধ৷ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির জন্য সিবিআই মনে করলে সাসপেক্টেডদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে।

আরও পড়ুন: ২০১৬-র সব চাকরি বাতিল..সুদ সমেত ফেরাতে হবে ৮ বছরের বেতন! একমাসের মধ্যেই, নির্দেশ হাইকোর্টের

আদালতের এই রায় ঘোষণার পরেই রীতিমতো শোরগেল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে৷ এসএসসি চেয়ারম্যান ওই দিনই সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের কাছে ৫০০০ জনের বেআইনি উপায়ে চাকরি পাওয়ার তথ্য জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ তাহলে, বাকি হাজার হাজার চাকরিপ্রাপকের চাকরি গেল কেন? সেদিনই তিনি জানিয়েছিলেন, এই রায়ের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন তাঁরা৷

SSC: SSC কাণ্ডে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কমিশন! তাকিয়ে আছে গোটা বাংলা

কলকাতা: এসএসসি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল স্কুল সার্ভিস কমিশন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের রায় বেরনোর পরই এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেআইনি পথে চাকরি পাওয়া পাঁচ হাজার জনের তথ্য ছিল৷ কিন্তু, তার জন্য বাকি ১৯ হাজার জনের চাকরি কেন বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হল? সেদিনই তিনি জানিয়েছিলেন এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবে এসএসসি। বুধবার অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল এসএসসি।

গত সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এসএসসি মামলার রায়ে সব মিলিয়ে ২০১৬ সালে নিযুক্ত মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করেছে। সেই সঙ্গে বেআইনি চাকরি প্রাপকদের বেতন ফেরতেরও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন: নিউ টাউনে ফ্ল্যাটের নীচে কী ভয়ঙ্কর দৃশ্য! ওটা কী পড়ে? সামনে যেতেই আঁতকে উঠল সকলে

কাদের বেতন ফেরত দিতে হবে? প্রথমত, যারা ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়েছেন, দ্বিতীয়ত, প্যানেলের বাইরে যাঁদের নাম রয়েছে। এবং তৃতীয়ত, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর শূন্যপদ তৈরি করে যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর এই তিনটি ক্যাটাগরি মিলিয়ে মোট সংখ্যাটা হল ৫৫৩৭ জন। এই ৫৫৩৭ জনকেই ফেরত দিতে হবে বেতন।

এসএসসি চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, ‘‘রায় দিয়েছে সম্পূর্ণ নিয়োগ বাতিল। যারা সুপারিশ পেয়েছিলেন তাদের মধ্যে অনেকেই চাকরি করছেন। আমরা অবশ্যই এই রায়ে খুশি নয়। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করব৷’’ সেই আবেদন অবশেষে করল এসএসসি।

কলকাতা হাইকোর্ট রায়ে জানিয়েছিল, লোকসভার নির্বাচন পর্ব মেটার পরে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে৷ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির জন্য সিবিআই মনে করলে সাসপেক্টেডদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি। এখন দেখার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে কিছু পরিবর্তন হয় কিনা।

২৫ হাজার চাকরি বাতিল, শুধু রইল সোমা দাসের চাকরি

লোকসভা ভোটের মধ্যেই এসএসসি কাণ্ডে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। ২০১৬-র এসএসসি নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে ২৫ হাজারেরও বেশি চাকরি বাতিল। নির্দেশ বিচারপতি দেবাংশ বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের। শুধু চাকরি বাতিল নয়। প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরিপ্রাপ্তদের ফেরাতে হবে বেতনও। চার সপ্তাহের মধ্যে সুদ সহ ফেরাতে হবে বেতন। একইসঙ্গে তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই-ও। কিন্তু ২০১৬-র এসএসসি নিয়োগের সকলের চাকরি গেলেও চাকরি থাকছে কেবল সোমা দাসের। কেন চাকরি বহাল রইল সোমা দাসের? আদালত জানিয়েছে, মানবিক কারণেই সোমবার তাঁর চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু সোমবারের রায় শোনার পর সোমা দাস বলেন, “আমি চাকরিটা মানবিক গ্রাউন্ডে পাই ঠিকই। তবে আমি কিন্তু যোগ্য, সাধারণ প্রার্থী হিসাবেই গিয়েছিলাম। আমাদের আন্দোলনের ভিত্তি কিন্তু দুর্নীাতি।”

SSC Salary: SSC-তে চাকরি খোয়ালেন ২৫হাজার ৭৫৩ জন, কিন্তু বেতন ফেরত দেবেন কতজন? জানুন আসল সংখ্যা

কলকাতা: লোকসভা ভোটের মধ্যেই তোলপাড় ফেলা রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ SSC মামলার রায় ঘোষণা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। পুরো প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
কলকাতা: লোকসভা ভোটের মধ্যেই তোলপাড় ফেলা রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ SSC মামলার রায় ঘোষণা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। পুরো প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে বলেছে আদালত।
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে বলেছে আদালত।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে ওই চাকরিপ্রাপকদের বেতন ফেরত দিতে হবে। দিতে হবে সুদও। মেয়াদ-উত্তীর্ণ চাকরি প্রাপকদের বছরে ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে বলেছে আদালত।
কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, চার সপ্তাহের মধ্যে ওই চাকরিপ্রাপকদের বেতন ফেরত দিতে হবে। দিতে হবে সুদও। মেয়াদ-উত্তীর্ণ চাকরি প্রাপকদের বছরে ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে বলেছে আদালত।
আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কাদের কাদের বেতন ফেরত দিতে হবে? পুরো প্যানেলে যত জন ছিলেন, অর্থাৎ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনকেই কি বেতন ফেরত দিতে হবে? না। এক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্ট তিনটি ক্যাটাগরি নির্ধারন করে দিয়েছে।
আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কাদের কাদের বেতন ফেরত দিতে হবে? পুরো প্যানেলে যত জন ছিলেন, অর্থাৎ ২৫ হাজার ৭৫৩ জনকেই কি বেতন ফেরত দিতে হবে? না। এক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্ট তিনটি ক্যাটাগরি নির্ধারন করে দিয়েছে।
প্রথমত, যারা ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়েছেন, দ্বিতীয়ত, প্যানেলের বাইরে যাঁদের নাম রয়েছে। এবং তৃতীয়ত, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর শূন্যপদ তৈরি করে যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর এই তিনটি ক্যাটাগরি মিলিয়ে মোট সংখ্যাটা হল ৫৫৩৭ জন। এই ৫৫৩৭ জনকেই ফেরত দিতে হবে বেতন।

প্রথমত, যারা ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়েছেন, দ্বিতীয়ত, প্যানেলের বাইরে যাঁদের নাম রয়েছে। এবং তৃতীয়ত, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর শূন্যপদ তৈরি করে যাঁদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। আর এই তিনটি ক্যাটাগরি মিলিয়ে মোট সংখ্যাটা হল ৫৫৩৭ জন। এই ৫৫৩৭ জনকেই ফেরত দিতে হবে বেতন।
এ বিষয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, জনগণের টাকায় বেতন পেয়েছেন ওই চাকরিপ্রাপকেরা। তাই বেতন তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সুদও দিতে হবে। বেতনের পুরো টাকা তাঁরা ফিরিয়েছেন কি না, তা আদালতে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।
এ বিষয়ে হাই কোর্টের বিচারপতি বসাকের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, জনগণের টাকায় বেতন পেয়েছেন ওই চাকরিপ্রাপকেরা। তাই বেতন তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গে সুদও দিতে হবে। বেতনের পুরো টাকা তাঁরা ফিরিয়েছেন কি না, তা আদালতে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।
সোমবার এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি।
সোমবার এসএসসি মামলার রায় ঘোষণা করেছে হাই কোর্ট। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি।
আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। তদন্তের প্রয়োজনে সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়ে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এসএসসির উত্তরপত্রও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে বলেছে আদালত। জনসাধারণ যাতে উত্তরপত্র দেখতে পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই। তদন্তের প্রয়োজনে সন্দেহভাজনদের হেফাজতে নিয়ে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এসএসসির উত্তরপত্রও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে বলেছে আদালত। জনসাধারণ যাতে উত্তরপত্র দেখতে পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
সব চাকরি বাতিল করলেও এক জনের চাকরি যায়নি। সোমা দাস নামের ক্যান্সার আক্রান্ত এক চাকরিপ্রাপকের নিয়োগ মানবিক কারণে বাতিল করা হয়নি।
সব চাকরি বাতিল করলেও এক জনের চাকরি যায়নি। সোমা দাস নামের ক্যান্সার আক্রান্ত এক চাকরিপ্রাপকের নিয়োগ মানবিক কারণে বাতিল করা হয়নি।