মুম্বই: মার্চ ত্রৈমাসিকে অয়েল এবং গ্যাস সেগমেন্টে KG D6 ব্লক থেকে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আয় ৪২ শতাংশ বেড়ে হল ৬,৪৬৮ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিক বা শেষ কোয়ার্টারে এই সেগমেন্ট থেকে রিলায়েন্সের আয় ছিল ৪,৫৫৬ কোটি টাকা।
২০২৩ অর্থবর্ষে আন্তর্জাতিক দামের ১০.৬ মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিটের তুলনায় KG D6 গ্যাসে উপলদ্ধ গড় মূল্য ২০২৪ অর্থবর্ষে কমে দাঁড়িয়েছে ১০.১ মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট।
তেল এবং গ্যাসে রিলায়েন্সের এবিটডা বেড়ে হয়েছে ৫,৬০৬ কোটি টাকা। ‘ইয়ার ওভার ইয়ার’-এর ভিত্তিতে বেড়েছে ৪৭.৫ শতাংশ। ২৩-২৪ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এবিটডা মার্জিন ছিল ৮৬.৭ শতাংশ।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা এই প্রত্যাশার সঙ্গে শক্তিশালী হচ্ছে যে ভারত এখন থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী তেলের চাহিদা বৃদ্ধির বৃহত্তম উৎস হয়ে উঠবে। দেশীয় তেলের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে ভারতীয় তেল কোম্পানিগুলো পরিশোধন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি তাদের মার্কেট রিপোর্টে বলেছে, ভারতে আগামী সাত বছরে ১ mb/d (প্রতিদিন মিলিয়ন ব্যারেল) নতুন শোধনাগার পাতন ক্ষমতা যুক্ত করা হবে, যা চিন ছাড়া বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে বেশি।
এই সেগমেন্টের ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে Y-o-Y ভিত্তিতে রাজস্ব ৪৮.০ শতাংশ বেড়েছে। এই বৃদ্ধি প্রধানত উচ্চতর গ্যাস এবং কনডেনসেট উৎপাদনের কারণে ঘটেছে। রিলায়েন্স একটি বিবৃতিতে বলেছে যে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে Y-o-Y ভিত্তিতে এবিটডা ৪৮.৬ শতাংশ বেড়ে ২০,১৯১ কোটি টাকা হয়েছে, যেখানে এবিটডা মার্জিন ৮২.৬ শতাংশ থেকে ৩০ বিপিএস বেড়েছে।
তেল এবং গ্যাস সেগমেন্টে রাশিয়ান সরবরাহে অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রাশিয়ান রফতানি প্রথম ত্রৈমাসিকে ৮.৭ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৪.৩ শতাংশ বেশি।
প্রডাকশন অ্যান্ড এক্সপ্লোরেশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় রাই বলছেন, “২০২৪ সালে শীতের শুরু না হওয়া পর্যন্ত আমরা এলএনজি-র ক্ষমতা আলাদা করে বাড়াব না’। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমরা আশা করি আগামী দিনে গ্যাসের দাম স্থিতিশীল এবং চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে”।