সদ্য মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগন অভিনীত ‘ময়দান’। আর অমিত শর্মা পরিচালিত এই ছবিতে সৈয়দ আবদুল রহিমের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু কে এই সৈয়দ আবদুল রহিম? আসলে একটা সময় ছিল, যখন ভারতীয় ফুটবলের উত্থানের পিছনে এই কিংবদন্তি ম্যানেজারের অবদান ছিল অনস্বীকার্য! প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় অর্থাৎ ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রহিম। আর এই সময়টাকে ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ হিসেবেই গণ্য করা হয়। ১৯৫১ এবং ১৯৫২ সালের এশিয়ান গেমসে ভারত দু’টি স্বর্ণপদক জয় করেছিল।

Syed Abdul Rahim: ‘ময়দান’-এ সৈয়দ আবদুল রহিমের চরিত্রে অনবদ্য অজয় দেবগন; অথচ ভারতীয় ফুটবলে স্বর্ণযুগ আনা মানুষটির বিষয়ে জানেনই না বহু মানুষ

সদ্য মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগন অভিনীত ‘ময়দান’। আর অমিত শর্মা পরিচালিত এই ছবিতে সৈয়দ আবদুল রহিমের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু কে এই সৈয়দ আবদুল রহিম? আসলে একটা সময় ছিল, যখন ভারতীয় ফুটবলের উত্থানের পিছনে এই কিংবদন্তি ম্যানেজারের অবদান ছিল অনস্বীকার্য! প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় অর্থাৎ ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রহিম। আর এই সময়টাকে ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ হিসেবেই গণ্য করা হয়। ১৯৫১ এবং ১৯৬২ সালের এশিয়ান গেমসে ভারত দু’টি স্বর্ণপদক জয় করেছিল।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগন অভিনীত ‘ময়দান’। আর অমিত শর্মা পরিচালিত এই ছবিতে সৈয়দ আবদুল রহিমের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু কে এই সৈয়দ আবদুল রহিম? আসলে একটা সময় ছিল, যখন ভারতীয় ফুটবলের উত্থানের পিছনে এই কিংবদন্তি ম্যানেজারের অবদান ছিল অনস্বীকার্য! প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় অর্থাৎ ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রহিম। আর এই সময়টাকে ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ হিসেবেই গণ্য করা হয়। ১৯৫১ এবং ১৯৬২ সালের এশিয়ান গেমসে ভারত দু’টি স্বর্ণপদক জয় করেছিল।
১৯০৯ সালের ১৭ অগাস্ট হায়দরাবাদে জন্ম রহিমের। কেরিয়ারের প্রথম দিকে শিক্ষকতা করতেন তিনি। এরপরে অবশ্য তাঁর মন যায় ফুটবলের দিকে। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। এমনকী সেখানে কলেজের প্রাক্তন পড়ুয়াদের নিয়ে একটি দলের প্রতিনিধিত্বও করেছেন রহিম। কাচিগুড়া মিডল স্কুল, ঊর্দু শরিফ স্কুল, দারুল-উল উলুম হাই স্কুল এবং চান্দেরঘাট হাই স্কুল-সহ বহু প্রতিষ্ঠানেই রহিম শিক্ষকতা করেছেন। (Image: X)
১৯০৯ সালের ১৭ অগাস্ট হায়দরাবাদে জন্ম রহিমের। কেরিয়ারের প্রথম দিকে শিক্ষকতা করতেন তিনি। এরপরে অবশ্য তাঁর মন যায় ফুটবলের দিকে। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। এমনকী সেখানে কলেজের প্রাক্তন পড়ুয়াদের নিয়ে একটি দলের প্রতিনিধিত্বও করেছেন রহিম। কাচিগুড়া মিডল স্কুল, ঊর্দু শরিফ স্কুল, দারুল-উল উলুম হাই স্কুল এবং চান্দেরঘাট হাই স্কুল-সহ বহু প্রতিষ্ঠানেই রহিম শিক্ষকতা করেছেন। (Image: X)
ফিজিক্যাল এডুকেশনে ডিপ্লোমা করেছেন রহিম। এরপর পেশাদার ফুটবলার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন তিনি। স্থানীয় ক্লাব কমর ক্লাবের হয়ে খেলেন তিনি। এমনকী নেদারল্যান্ডসে ডাচ অ্যামেচার লিগ ক্লাব এইচএসভি হোয়েকের (HSV Hoek) হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৪৩ সাল থেকে হায়দরাবাদ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন রহিম। আর আমৃত্যু এই পদ সামলেছেন তিনি। ১৯৫০ সালে হায়দরাবাদ পুলিশ দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর নেতৃত্বেই টানা পাঁচ বার রোভার্স কাপ দয় করে ওই দল।
ফিজিক্যাল এডুকেশনে ডিপ্লোমা করেছেন রহিম। এরপর পেশাদার ফুটবলার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন তিনি। স্থানীয় ক্লাব কমর ক্লাবের হয়ে খেলেন তিনি। এমনকী নেদারল্যান্ডসে ডাচ অ্যামেচার লিগ ক্লাব এইচএসভি হোয়েকের (HSV Hoek) হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৪৩ সাল থেকে হায়দরাবাদ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন রহিম। আর আমৃত্যু এই পদ সামলেছেন তিনি। ১৯৫০ সালে হায়দরাবাদ পুলিশ দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর নেতৃত্বেই টানা পাঁচ বার রোভার্স কাপ দয় করে ওই দল।
এখানেই শেষ নয়, পরপর চার বার ডুরান্ড কাপেও জয় পায় হায়দরাবাদ পুলিশ। তবে ১৯৫০ ফিফা বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করে ভারত। এর এক বছর পরে সোনা জিতে এশিয়ার সেরা দল হিসেবে নির্বাচিত হয় ভারত। এশিয়ান গেমসের ফাইনালে দিল্লিতে জমজমাট ময়দানে ১-০ গোলে ইরানকে পরাজিত করে ভারত। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও ওই ম্যাচের সাক্ষী থাকতে হাজির ছিলেন স্টেডিয়ামে।
এখানেই শেষ নয়, পরপর চার বার ডুরান্ড কাপেও জয় পায় হায়দরাবাদ পুলিশ। তবে ১৯৫০ ফিফা বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করে ভারত। এর এক বছর পরে সোনা জিতে এশিয়ার সেরা দল হিসেবে নির্বাচিত হয় ভারত। এশিয়ান গেমসের ফাইনালে দিল্লিতে জমজমাট ময়দানে ১-০ গোলে ইরানকে পরাজিত করে ভারত। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও ওই ম্যাচের সাক্ষী থাকতে হাজির ছিলেন স্টেডিয়ামে।
রহিম যখন ম্যানেজারিয়াল কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন বিশ্বের বেশিরভাগ দলই ২-৩-৫ ফর্মেশনে খেলছিল। তবে তিনিই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ৪-২-২ সিস্টেম প্রথম চালু করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে ১৯৫৮ এবং ১৯৬২-র বিশ্বকাপে ব্রাজিল দ্বারা জনপ্রিয়তা লাভ করে। রহিমের নেতৃত্বেই ১৯৫৬ সামার অলিম্পিকসে চতুর্থ স্থান অধিকার করে ভারত। এরপর ১৯৬২ এশিয়ান গেমসে জাকার্তায় যখন ভারত মাঠে নামে, তখন ক্যানসারে ভুগছেন রহিম। ফলে তাঁর হাতে আর বেশি সময় বেশি বাকি নেই। তবে তাঁর দল কিন্তু নিরাশ করেনি। ২-১ ব্যবধানে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে প্রায় বছর দশেক পরে সোনা আনে ভারত। এরপর ১৯৬৩ সালের ১১ জুন মাত্র ৫৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন সৈয়দ আবদুল রহিম।
রহিম যখন ম্যানেজারিয়াল কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন বিশ্বের বেশিরভাগ দলই ২-৩-৫ ফর্মেশনে খেলছিল। তবে তিনিই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ৪-২-২ সিস্টেম প্রথম চালু করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে ১৯৫৮ এবং ১৯৬২-র বিশ্বকাপে ব্রাজিল দ্বারা জনপ্রিয়তা লাভ করে। রহিমের নেতৃত্বেই ১৯৫৬ সামার অলিম্পিকসে চতুর্থ স্থান অধিকার করে ভারত। এরপর ১৯৬২ এশিয়ান গেমসে জাকার্তায় যখন ভারত মাঠে নামে, তখন ক্যানসারে ভুগছেন রহিম। ফলে তাঁর হাতে আর বেশি সময় বেশি বাকি নেই। তবে তাঁর দল কিন্তু নিরাশ করেনি। ২-১ ব্যবধানে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে প্রায় বছর দশেক পরে সোনা আনে ভারত। এরপর ১৯৬৩ সালের ১১ জুন মাত্র ৫৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন সৈয়দ আবদুল রহিম।