Tag Archives: Indian Football

Anwar Ali Banned : চার মাস নির্বাসিত আনোয়ার, সঙ্গে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ! শাস্তি ইস্টবেঙ্গলের

 নয়াদিল্লি :   অবশেষে অপেক্ষার অবসান৷ আনোয়ার আলি ইস্যুতে শাস্তির কথা জানিয়ে দিল সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন৷ ভারতের তারকা ডিফেন্ডারকে চার মাসের জন্য ব্যান করা হয়েছে৷ শাস্তির খাঁড়া নেমেছে ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসির উপরেও৷ দুই ক্লাব এবং ফুটবলার মিলে ক্ষতিপূরণ বাবদ দেবে প্রায় ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা৷ যার পুরোটাই যাবে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের পকেটে৷

মোহনবাগানের সঙ্গে লোন চুক্তি ভেঙে ইস্টবেঙ্গলে সই ৷ আনোয়ার ইস্যু নিয়ে ভারতীয় ফুটবল বেশ অনেকদিন ধরেই সরগরম৷ ফেডারেশনের পিএসসি (প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি) বিষয়টি নিয়ে কী রায় দেয় তারই অপেক্ষা ছিল৷ তাদের সিদ্ধান্তে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটবলেও, লাল-হলুদ ও দিল্লি এফসি আপাতত প্রবল সমস্যায়৷ কারণ, আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া ছাড়াও এই দুই ক্লাবকে আরও একটি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ আসন্ন দুই ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন কোন ফুটবলার সই করাতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল ও দিল্লি এফসি৷

আরও পড়ুন : সর্বকালের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার হবেন কে? বড় ভবিষ্যদ্বাণী সৌরভের

দিল্লি এফসি থেকে লোনে মোহনবাগানে গিয়েছিলেন আনোয়ার৷ এরপর তিনি দিল্লি এফসিতে ফেরেন৷ তারপর ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি সই করেন৷ এরপরেই মোহনবাগানের তরফে বলা হয়, পুরো ব্যাপারটাই নিয়মের বাইরে৷ এবং প্রায় একই মত প্রদর্শন করে ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিও৷ ফলে চার মাসের জন্য ভারতের তারকা ডিফেন্ডারকে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা৷

আরও পড়ুন : ৮ মাস পর ভারতীয় টেস্ট দলে কামব্যাক! শক্তি অনেকটাই বাড়ল টিম ইন্ডিয়ার

পিএসসির তরফে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, “আনোয়ার আলিকে চার মাসের জন্য নির্বাসিত করা হল৷ ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি আসন্ন দুই ট্রান্সফার উইন্ডোতে নতুন কোন ফুটবলার সই করাতে পারবে না। যা শুরু হচ্ছে আসন্ন জানুয়ারি ট্র্যান্সফার উইন্ডো থেকে৷ আনোয়ার আলি, দিল্লি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গল ক্ষতিপূরণ বাবদ মোহনবাগানকে ১২.৯০ কোটি টাকা দেবে৷”

আরও পড়ুন- বাংলাদেশকে হারাতে ভারতের রণনীতি ফাঁস! কী মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে টিম ইন্ডিয়া

চার মাসের ব্যান৷ যার মানে, আইএসএলে শুরুতে আনোয়ারকে পাবে না ইস্টবেঙ্গল৷ তবে তাঁর জন্য একটি পথ খোলা আছে৷ শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করে ফিফায় যাওয়ার অপশন আনোয়ারের রয়েছে৷

Durand Cup 2024 Final: প্রতিবাদে মুখর ডুরান্ড ফাইনাল! দু’গোলে এগিয়ে থেকেও টাইব্রেকারে হার মোহনবাগানের

কলকাতা: টানা দ্বিতীয়বার ডুরান্ড ফাইনাল খেলতে নেমে শুরু থেকে মরিয়া হয়ে খেলছিল মোহনবাগান। ১০ মিনিটেই পেনাল্টি থেকে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন জেসন কামিংস। প্রথম থেকেই মোহনবাগানের একের পর এক আক্রমণে চাপে পড়ে যায় নর্থইস্ট।

বিরতির আগে আবার গোল করে ব্যাবধান বাড়ায় মোহনবাগান। লিস্টন কোলাসোর পাস থেকে সাহাল গোল করে মোহনবাগানকে ২-০ ব্যাবধানে এগিয়ে যান। তবে মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোলের পরেই মরিয়া হয়ে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে নর্থইস্ট। ৫৫ মিনিটেই তার ফলও পায় নর্থইস্ট। আজারাইয়ের গোলে খেলায় ফেরে নর্থইস্ট। তিন মিনিট পরে নর্থইস্টের হয়ে দ্বিতীয় গোল করে সমতা ফেরান গুলেরমো। ৯০ মিনিট পরেও খেলার ফয়সালা না হওয়ায় খেলা যায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে নর্থইস্টের কাছে হারল মোহনবাগান।

আরও পড়ুন: পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রী! সন্দেহের বশেই বউয়ের দু’হাত কেটে দিল স্বামী

—- Polls module would be displayed here —-

কিন্তু ডুরান্ড কাপে ইস্ট-মোহনের ম্যাচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে টিফোয় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। প্রতিটি ম্যাচেই টিফোয় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ নিয়ে নানা বার্তা তুলে ধরছেন সমর্থকরা। ডুরান্ড ফাইনালেও তার অন্যথা হল না।

হারল মোহনবাগান।
হারল মোহনবাগান।

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, গোপালিকার মেয়াদবৃদ্ধিতে অনুমোদন দিল না কেন্দ্র

জাস্টিস ফর আরজি কর হ্যাশট্যাগ লিখে প্রতিবাদের ধ্বনি লেখা “যাঁদের অতীত সোনায় মোড়া/ বাবলু চুনী মান্না/ তাদের রাতের ঘুম করেছে/ তিলোত্তমার কান্না/ রক্তচক্ষু ভয় না পাই না/ বোনের বিচার চাই/ দোষীর মুখোঁশ খুলব টেনে/ থামার প্রশ্ন নাই”। শুধু তাই নয়, আরও একটি টিফোতে দেখা যায় প্রতিবাদ। সেখানে ভিক্টোরিয়ার পরির সামনে ‘রাত দখল’-এর বার্তা। নীচে লেখা, “তোর ভয় নেই বোন, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি”।

Indian football: ভারতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচের নাম ঘোষণা, কে নিচ্ছেন গুরপ্রীতদের দায়িত্ব?

নয়াদিল্লি: ভারতীয় ফুটবল দলের নতুন হেড কোচের নাম ঘোষণা হয়ে গেল। স্টিম্যাচ পরে ভারতের হেড কোচ হিসেবে নিযুক্ত হতে চলেছেন মানোলো মার্কেজ।

আরও পড়ুন: গুরু পূর্ণিমায় চারটি বিরল ঘটনার শুভ যোগ! কাজে আসবে সাফল্যে, কিনতে পারেন সম্পত্তিও, জেনে নিন সময়

জানা গিয়েছে, ৩ বছরের চুক্তিতে স্প্যানিশ কোচ মানোলোকে সই করাতে চলেছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ভারতীয় দলের পাশাপাশি ২০২৪-২৫ মরশুমে এফসি গোয়ার দায়িত্বও পালন করবেন মার্কেজ। তার পরের মরশুম থেকে অবশ্য শুধু ভারতীয় দলেরই দায়িত্বে থাকবেন মার্কেজ। গোয়ার দায়িত্ব নেওয়ার আগে মার্কেজ তিন বছর হায়দরাবাদের কোচ ছিলেন। সেই সময় ২০২১-২২ মরশুমে হায়দরাবাদ এফসির হয়ে আইএসএলও জেতেন মার্কেজ। তাঁর কোচিংয়ে গোয়া আইএসএলে তিন নম্বরে শেষ করেছিল গোয়া। এবার ভারতীয় দলের কোচ হয়ে আশানুরূপ সাফল্য আনতে পারেন কি না সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন: কনফার্মড টিকিট পাচ্ছেন না? কোন ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা কেমন?

এর আগে ইগর স্টিম্যাচের ৫ বছরের কোচিংয়ে ভারত ৫৩টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ১৯টি ম্যাচে জয় পেয়েছিল। দু’বার সাফ কাপ জিতলেও বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ার থেকে বিদায় নেওয়ার ফলে চাকরি যায় ইগর স্টিম্যাচে। ইগর স্টিম্যাচের চাকরি যাওয়া নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। সুনীল পরবর্তী ভারতীয় ফুটবলে মানোলো মার্কেজ ভারতীয় ফুটবলকে কোন পথে নিয়ে যান সেটাই দেখার।

Indian football: বিপাকে পড়তে পারে ভারতীয় ফুটবল দল, ১০ দিনের মধ্যে টাকা না মেটালে মামলার হুমকি ইগরের

নয়াদিল্লি: ফেডারেশনের থেকে বরখাস্তের চিঠি পেয়েছিলেন এক দিন আগে। এবার এআইএফএফের ভারতীয় কোচ হিসাবে ইগর স্তিম্যাচকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তকে ‘একপাক্ষিক’, ‘অপেশাদার’ এবং ফিফার নিয়ম বিরোধী বলে আক্রমণ করলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন কোচ।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গিয়েও আক্ষেপ নেই! সমর্থককে মারতে ছুটলেন পাক পেসার, রইল ভিডিও

শুধু তাই নয়, ফেডারেশনের বিরুদ্ধে রীতিমতো মামলার হুমকি দিয়েছেন ইগর স্তিম্যাচ। তাঁর অভিযোগ, চুক্তি ভেঙে তাঁকে কোচের পদ থেকে সরিয়েছে ফেডারেশন। তাই তিনি চুক্তি অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। ক্ষতিপূরণ না দিলে ভারতীয় ফুটবল সংস্থার বিরুদ্ধে ফিফায় যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন স্তিম্যাচ।

—- Polls module would be displayed here —-

২০১৯ সালে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় স্তিম্যাচকে। পরে ২০২৩ সালের অক্টোবরে সেই চুক্তি বাড়িয়ে ২০২৬-এর মে মাস পর্যন্ত করা হয়। চুক্তি ভেঙে স্তিম্যাচকে বরখাস্ত করার জন্য তিন মাসের বেতন, অর্থাৎ ৭৫ লক্ষ টাকা দিতে চাইছে ফেডারেশন। কিন্তু স্তিম্যাচের দাবি, মাঝপথে ছাঁটাই করার জন্য পুরো ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, তাও ১০ দিনের মধ্যে। যা মানতে রাজি নয় এআইএফএফ। এই নিয়েই শেষ পর্যন্ত আইনি পথে যেতে পারেন স্তিম্যাচ। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছতে না পারায় স্তিম্যাচকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেশন। এখন দেখা যাক, জল কত দূর গড়ায়!

Sunil Chhetri Retirement: ভারতীয় ফুটবলে একটি যুগের অবসান, অবসর ঘোষণা সুনীল ছেত্রীর, ৬ জুন শেষ ম্যাচ খেলবেন যুবভারতীতে

কলকাতা: ভারতের তারকা ফুটবলার তথা জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী বৃহস্পতিবার সকালে অবসরের কথা ঘোষণা করলেন। ৩৯ বছর বয়সে অবসর ঘোষণা সুনীলের ৷ আগামী ৬ জুন তিনি নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবেন কলকাতার যুবভারতীতেই।

৬ জুন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে কুয়েতের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারতীয় ফুটবল দল। ম্যাচটি কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য জানিয়ে এদিন ভিডিও পোস্ট করেন সুনীল ছেত্রী ৷

আরও পড়ুন- ফের ভোটের বঙ্গে নরেন্দ্র মোদি, ১৯-২০ মে দু’দিনে রাজ্যে ৬টি সভা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন সুনীল ছেত্রী। তিনি বলেন, “একটা দিনও জীবনে কখনও ভুলতে পারব। যে দিন দেশের জার্সি গায়ে প্রথম বার ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছিলাম। অবিশ্বাস্য অনুভূতি ছিল। তবে তার আগের দিন সকালে জাতীয় দলে আমার প্রথম কোচ সুখী স্যর (সুখবিন্দর সিং) এসে আমাকে জানিয়েছিলেন, প্রথম একাদশে আমি রয়েছি। বলে বোঝাতে পারব না সেই অনুভূতিটা কেমন ছিল।”

Syed Abdul Rahim: ‘ময়দান’-এ সৈয়দ আবদুল রহিমের চরিত্রে অনবদ্য অজয় দেবগন; অথচ ভারতীয় ফুটবলে স্বর্ণযুগ আনা মানুষটির বিষয়ে জানেনই না বহু মানুষ

সদ্য মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগন অভিনীত ‘ময়দান’। আর অমিত শর্মা পরিচালিত এই ছবিতে সৈয়দ আবদুল রহিমের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু কে এই সৈয়দ আবদুল রহিম? আসলে একটা সময় ছিল, যখন ভারতীয় ফুটবলের উত্থানের পিছনে এই কিংবদন্তি ম্যানেজারের অবদান ছিল অনস্বীকার্য! প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় অর্থাৎ ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রহিম। আর এই সময়টাকে ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ হিসেবেই গণ্য করা হয়। ১৯৫১ এবং ১৯৬২ সালের এশিয়ান গেমসে ভারত দু’টি স্বর্ণপদক জয় করেছিল।
সদ্য মুক্তি পেয়েছে অজয় দেবগন অভিনীত ‘ময়দান’। আর অমিত শর্মা পরিচালিত এই ছবিতে সৈয়দ আবদুল রহিমের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু কে এই সৈয়দ আবদুল রহিম? আসলে একটা সময় ছিল, যখন ভারতীয় ফুটবলের উত্থানের পিছনে এই কিংবদন্তি ম্যানেজারের অবদান ছিল অনস্বীকার্য! প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় অর্থাৎ ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৬৩ সালের মধ্যে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন রহিম। আর এই সময়টাকে ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগ হিসেবেই গণ্য করা হয়। ১৯৫১ এবং ১৯৬২ সালের এশিয়ান গেমসে ভারত দু’টি স্বর্ণপদক জয় করেছিল।
১৯০৯ সালের ১৭ অগাস্ট হায়দরাবাদে জন্ম রহিমের। কেরিয়ারের প্রথম দিকে শিক্ষকতা করতেন তিনি। এরপরে অবশ্য তাঁর মন যায় ফুটবলের দিকে। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। এমনকী সেখানে কলেজের প্রাক্তন পড়ুয়াদের নিয়ে একটি দলের প্রতিনিধিত্বও করেছেন রহিম। কাচিগুড়া মিডল স্কুল, ঊর্দু শরিফ স্কুল, দারুল-উল উলুম হাই স্কুল এবং চান্দেরঘাট হাই স্কুল-সহ বহু প্রতিষ্ঠানেই রহিম শিক্ষকতা করেছেন। (Image: X)
১৯০৯ সালের ১৭ অগাস্ট হায়দরাবাদে জন্ম রহিমের। কেরিয়ারের প্রথম দিকে শিক্ষকতা করতেন তিনি। এরপরে অবশ্য তাঁর মন যায় ফুটবলের দিকে। ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করেন। এমনকী সেখানে কলেজের প্রাক্তন পড়ুয়াদের নিয়ে একটি দলের প্রতিনিধিত্বও করেছেন রহিম। কাচিগুড়া মিডল স্কুল, ঊর্দু শরিফ স্কুল, দারুল-উল উলুম হাই স্কুল এবং চান্দেরঘাট হাই স্কুল-সহ বহু প্রতিষ্ঠানেই রহিম শিক্ষকতা করেছেন। (Image: X)
ফিজিক্যাল এডুকেশনে ডিপ্লোমা করেছেন রহিম। এরপর পেশাদার ফুটবলার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন তিনি। স্থানীয় ক্লাব কমর ক্লাবের হয়ে খেলেন তিনি। এমনকী নেদারল্যান্ডসে ডাচ অ্যামেচার লিগ ক্লাব এইচএসভি হোয়েকের (HSV Hoek) হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৪৩ সাল থেকে হায়দরাবাদ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন রহিম। আর আমৃত্যু এই পদ সামলেছেন তিনি। ১৯৫০ সালে হায়দরাবাদ পুলিশ দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর নেতৃত্বেই টানা পাঁচ বার রোভার্স কাপ দয় করে ওই দল।
ফিজিক্যাল এডুকেশনে ডিপ্লোমা করেছেন রহিম। এরপর পেশাদার ফুটবলার হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন তিনি। স্থানীয় ক্লাব কমর ক্লাবের হয়ে খেলেন তিনি। এমনকী নেদারল্যান্ডসে ডাচ অ্যামেচার লিগ ক্লাব এইচএসভি হোয়েকের (HSV Hoek) হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৪৩ সাল থেকে হায়দরাবাদ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন রহিম। আর আমৃত্যু এই পদ সামলেছেন তিনি। ১৯৫০ সালে হায়দরাবাদ পুলিশ দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর নেতৃত্বেই টানা পাঁচ বার রোভার্স কাপ দয় করে ওই দল।
এখানেই শেষ নয়, পরপর চার বার ডুরান্ড কাপেও জয় পায় হায়দরাবাদ পুলিশ। তবে ১৯৫০ ফিফা বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করে ভারত। এর এক বছর পরে সোনা জিতে এশিয়ার সেরা দল হিসেবে নির্বাচিত হয় ভারত। এশিয়ান গেমসের ফাইনালে দিল্লিতে জমজমাট ময়দানে ১-০ গোলে ইরানকে পরাজিত করে ভারত। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও ওই ম্যাচের সাক্ষী থাকতে হাজির ছিলেন স্টেডিয়ামে।
এখানেই শেষ নয়, পরপর চার বার ডুরান্ড কাপেও জয় পায় হায়দরাবাদ পুলিশ। তবে ১৯৫০ ফিফা বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করে ভারত। এর এক বছর পরে সোনা জিতে এশিয়ার সেরা দল হিসেবে নির্বাচিত হয় ভারত। এশিয়ান গেমসের ফাইনালে দিল্লিতে জমজমাট ময়দানে ১-০ গোলে ইরানকে পরাজিত করে ভারত। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুও ওই ম্যাচের সাক্ষী থাকতে হাজির ছিলেন স্টেডিয়ামে।
রহিম যখন ম্যানেজারিয়াল কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন বিশ্বের বেশিরভাগ দলই ২-৩-৫ ফর্মেশনে খেলছিল। তবে তিনিই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ৪-২-২ সিস্টেম প্রথম চালু করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে ১৯৫৮ এবং ১৯৬২-র বিশ্বকাপে ব্রাজিল দ্বারা জনপ্রিয়তা লাভ করে। রহিমের নেতৃত্বেই ১৯৫৬ সামার অলিম্পিকসে চতুর্থ স্থান অধিকার করে ভারত। এরপর ১৯৬২ এশিয়ান গেমসে জাকার্তায় যখন ভারত মাঠে নামে, তখন ক্যানসারে ভুগছেন রহিম। ফলে তাঁর হাতে আর বেশি সময় বেশি বাকি নেই। তবে তাঁর দল কিন্তু নিরাশ করেনি। ২-১ ব্যবধানে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে প্রায় বছর দশেক পরে সোনা আনে ভারত। এরপর ১৯৬৩ সালের ১১ জুন মাত্র ৫৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন সৈয়দ আবদুল রহিম।
রহিম যখন ম্যানেজারিয়াল কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন বিশ্বের বেশিরভাগ দলই ২-৩-৫ ফর্মেশনে খেলছিল। তবে তিনিই হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি ৪-২-২ সিস্টেম প্রথম চালু করেছিলেন। যা পরবর্তীকালে ১৯৫৮ এবং ১৯৬২-র বিশ্বকাপে ব্রাজিল দ্বারা জনপ্রিয়তা লাভ করে। রহিমের নেতৃত্বেই ১৯৫৬ সামার অলিম্পিকসে চতুর্থ স্থান অধিকার করে ভারত। এরপর ১৯৬২ এশিয়ান গেমসে জাকার্তায় যখন ভারত মাঠে নামে, তখন ক্যানসারে ভুগছেন রহিম। ফলে তাঁর হাতে আর বেশি সময় বেশি বাকি নেই। তবে তাঁর দল কিন্তু নিরাশ করেনি। ২-১ ব্যবধানে দক্ষিণ কোরিয়াকে হারিয়ে প্রায় বছর দশেক পরে সোনা আনে ভারত। এরপর ১৯৬৩ সালের ১১ জুন মাত্র ৫৩ বছর বয়সে প্রয়াত হন সৈয়দ আবদুল রহিম।

অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্বকাপে আমেরিকার বিরুদ্ধে ৮ গোল হজম! দুঃস্বপ্নের শুরু ভারতের মেয়েদের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র – ৮
ভারত – ০

#ভুবনেশ্বর: আমেরিকার পুরুষ ফুটবল দল কখনো বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। কিন্তু মার্কিন মহিলারা ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল। চারটে অলিম্পিক স্বর্ণপদক ছাড়াও তাদের রয়েছে চারটে বিশ্বকাপ। মিয়া হ্যাম, হোপ সলো, আলেক্স মরগান, কারলি লয়েড, জুলি ফাওদির মতো বিখ্যাত সব মহিলা ফুটবলার ছিলেন মার্কিন ফুটবলের ইতিহাসে। তাই তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কতটা শক্তিশালী সেটা সহজেই বোঝা যায়।

সেই সাপ্লাই লাইন আসে অনূর্ধ্ব ১৭ পর্যায় থেকেই। ভারতের মেয়েদের আজ লড়াই ছিল এমন একটি প্রতিভাবান আমেরিকান দলের বিরুদ্ধে। আমেরিকার সঙ্গে ভারত পেরে উঠবে না সেটা জানা ছিল আগেই। কিন্তু তাই বলে এরকম জঘন্য হার অপেক্ষা করে আছে ভারতের জন্য এতটা আন্দাজ করা যায়নি।

দলের কোচ থমাস দেনার্বি জানিয়েছিলেন যে তার দল লড়াই করবে। কিন্তু সেটা শুধুই যেন কথার কথা। কোথায় লড়াই? এত শুধুই আত্মসমর্পণ। যত সময় গেল ততই যেন মার্কিন মেয়েদের দাপটে হারিয়ে গেল ভারতের মেয়েরা। প্রথমার্ধেই পাঁচ গোল হজম। রেবিমবাস, কলার, থমসন, গেমিরও পরপর গোল করলেন।

ভারতের মিডফিল্ড এবং ডিফেন্স বলতে কিছু ছিল না। কাজল, শুভাঙ্গী, লিন্ডা, নেহারা কিছুই বুঝতে পারলেন না। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল যেন সমুদ্রের মাঝখানে পড়ে সাঁতার কাটছেন। শুধুই অপেক্ষায় আছেন কখন শেষ বাঁশি বাজবে। খেলাটা শেষ হবে। এই অত্যাচার আর নেওয়া যাচ্ছিল না।

ফুটবলের যে আসল তিনটে জিনিস অর্থাৎ গতি, শক্তি এবং স্কিল, তার কোনোটাতেই পেরে উঠছিল না ভারতের মেয়েরা। গোটা ম্যাচে ভারত দুবার মাত্র আমেরিকার বক্সে ঢুকতে পেরেছে। বাকি সময়টা শুধুই আমেরিকান ঝড়। দ্বিতীয়ার্ধে হল আরো তিনটি গোল। ভারতের মেয়েদের ক্ষমতা অনুযায়ী তারা হয়তো সেরাটা দিয়েছেন। কিন্তু আমেরিকার মতো দলের সঙ্গে সম্মান বাঁচানো ভারতের কাজ নয়।

তবুও ভুবনেশ্বরের মাঠে অনেক আশা নিয়ে উপস্থিত ছিলেন দর্শকরা। কয়েক বছর আগে অনূর্ধ্ব ১৭ পুরুষ বিশ্বকাপে এই আমেরিকার কাছেই হেরেছিল ভারতের ছেলেরা। তবে সেটা তিন গোলের ব্যবধানে। এই পর্যায়ে এটাই ভারতীয় মেয়েদের সবচেয়ে লজ্জা জনক হার। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে সাত গোল হজম করেছিল ভারতের মেয়েরা।

সেই রেকর্ড আজ ভেঙে গেল কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। এরপর ভারতের মেয়েদের খেলা রয়েছে মরক্কো এবং তারপর ব্রাজিলের বিরুদ্ধে। দেখা যাক, এই হাট থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা কিছু করতে পারে কিনা।

কোচ ইগরের চাকরি বাঁচাতে মরিয়া ভারতের ফুটবলাররা, নতুন শপথ সুনীলদের

#হানই: অবশেষে চিন্তা কমল ভারতীয় ফুটবল দলের। পাসপোর্ট সমস্যায় কলকাতায় আটকে পড়া সন্দেশ জিঙ্ঘন ও চিংলেনসানা সিংহের শুক্রবার ভিয়েতনামে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে ভারতীয় দলের ডিফেন্সর শক্তি বেড়ে গেল সন্দেহ নেই।

কোচ ইগর স্টিম্যাচের কাছে শর্ত রেখে দেওয়া হয়েছে এশিয়ান কাপে প্রথম ৮ দলের মধ্যে থাকতে হবে। বিদায় নিতে হবে ব্যর্থ হলে। সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ভারত খেলবে আগামী শনিবার। তিন দিন পরে মঙ্গলবার ভিয়েতনামের সঙ্গে খেলা। ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ভাইচুং ভুটিয়ার মতে ২০২৩ সালের এএফসি এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি হিসেবে এই দু’টি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ভিয়েতনাম দারুণ দল। সিঙ্গাপুরও ভাল। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এই দু’টি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারদের কাছে। এর আগে জাতীয় দল শেষ খেলেছিল কলকাতার যুবভারতীতে।

আফগানিস্তান, হংকং, কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিল ব্লু টাইগাররা। এবার দেখার ভিয়েতনাম এবং সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে এই দুটি ম্যাচে নিজেদের কতটা মেলে ধরতে পারে ভারত। নজর থাকবে দুই তরুন ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি এবং রওশন সিং এর ওপর। ঈশান পন্ডিতাকেও এবার বেশি সময় দিতে চাইবেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ।

তালিকায় ভারতের থেকে ভিয়েতনাম কিছুটা এগিয়ে আছে। যদিও সেটা মাথায় রেখে লড়াই করতে নামবে না ভারতীয় ফুটবল দল। বিপক্ষের মাঠে নিজেদের সেরা খেলা তুলে ধরতে চায় ব্লু টাইগার বাহিনী।

India vs Bangladesh : ফুটবলে বাংলাদেশকে গুনে গুনে পাঁচ গোল! পরবর্তী সুনীল ছেত্রীর খোঁজ পেয়ে গেল ভারত

ভারত – ৫

বাংলাদেশ – ২

#ভুবনেশ্বর: ভারতীয় ফুটবলে পরবর্তী সময় সুনীল ছেত্রীর জায়গা নেবে কে? এই প্রশ্নটা বহুবার শুনতে হয়। তবে সুনীল নিজেও খুশি হতেন অনূর্ধ্ব ২০ সাফ ফাইনালে গুরকিরাত সিং কে দেখতে পেলে। এই ছেলে যে ভবিষ্যতের সুপারস্টার তার প্রমাণ পাওয়া গেল। আইএসএলে মুম্বইয়ের হয়ে খেলেন। তার বাঁ পা ছুরির মত। লিগ পর্বে অপরাজিত থাকা বাংলাদেশ ফাইনালে এসে পথ হারাল।

আরও পড়ুন – Sakshi Malik CWG : মা হওয়া পিছিয়ে দিয়েছিলেন! সোনার স্বপ্ন সফল করে এখন চোখে জল সাক্ষীর

শুরুতেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ প্রথমার্ধেই টানে সমতা। দ্বিতীয়ার্ধে উদ্যমী বাংলাদেশ এগিয়েও যায়। নব্বই মিনিটের পর অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। দশ মিনিটের মধ্যে তিন গোল হজম করে ফাইনাল হারের হতাশায় ডুবে বাংলাদেশ।

ভুবনেশ্বরের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে শুক্রবার সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের কাছে ৫-২ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্পট কিক থেকে ভারতকে এগিয়ে নেন গুরকিরাত সিং। বিরতিতে যাওয়ার আগেই সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ৪৫ মিনিটে রফিকুলের কাটব্যাকে বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের গতির শটে জাল খুঁজে নেন রাজন হাওলাদার।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটা দারুণ করে বাংলাদেশ। ভারতের রক্ষণে প্রবল চাপ দিয়ে এগিয়ে যায় পল স্মলির দল। ৪৮ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে ইমরানের লম্বা বল গিয়ে পড়ে ভারতের বক্সে,স্বাগতিকদের এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলে পিয়াসের মাথায় লেগে চলে যায় শাহীনের পায়ে। দেখে-শুনে বাম পায়ের গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন ডিফেন্ডার শাহীন মিয়া।

৬০ মিনিটে সমতায় ফেরে ভারত। ডি বক্সের মুখ থেকে গুরকিরাত সিংয়ের বুলেট গতির শট জালে জড়ায়। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই বাজিমাত ভারতের। হিমাংশুর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। পরের মিনিটেই হ্যাটট্রিক পূরণ করে ব্যবধান ৪-২ করে ফেলেন গুরকিরাত সিং।

এরপর আরও বিধ্বংসী ভারত। ৯৯ মিনিটে বক্সের প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে ডান পায়ের শটে চোখ ধাঁধানো গোল করেন গুরকিরাত। এই ম্যাচে চার গোলসহ টুর্নামেন্টে মোট আট গোল ভারতীয় এই ফরোয়ার্ডের।

India vs Cambodia : লজ্জায় মাথা হেঁট ভারতীয় ফুটবলের! কম্বোডিয়ার কাছে ক্ষমা চাইল ফেডারেশন

#কলকাতা: কম্বোডিয়ার কাছে ফুটবল ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয় পেয়েছে ভারত। পুরো সময় সুনীল ছেত্রী মাঠে থাকলে হয়তো আরো বেশি ব্যবধান হতে পারত। কিন্তু জয়ের পরেও লজ্জায় মাথা হেঁট ভারতীয় ফুটবলের। তার জন্য দায়ী এআইএফএফ। একটা সাধারন ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা আবার বুঝিয়ে দিলো ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন কতটা অপেশাদার এবং অপদার্থ।

আরও পড়ুন – IND vs SA : দিল্লির গরমে নাকাল অবস্থা দক্ষিণ আফ্রিকার! মাঠে নামার আগেই চাপে অধিনায়ক

বুধবার কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে যান্ত্রিক বিভ্রাট হয়। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হয়ে গেলেও কম্বোডিয়ার জাতীয় সঙ্গীত শুরু হতে মিনিট পাঁচেক সময় লাগে। গোটা ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে কম্বোডিয়ার ফুটবল সংস্থাকে চিঠি পাঠাল ভারতীয় ফুটবল সংস্থা। কম্বোডিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে, কলকাতায় পৌঁছনোর পর থেকেই বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পড়েছে তারা।

হোটেলের কিছু কর্মী নাকি ফুটবলারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। যে খাবার দেওয়া হয়েছে তা নাকি পর্যাপ্ত ছিল না। সমস্যা তৈরি হয় জাতীয় পতাকা নিয়েও। কম্বোডিয়া যে জাতীয় পতাকা দিয়েছিল, তার রং এবং দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ঠিক নেই বলে বাতিল করে দেয় এএফসি। বদলে গ্রাফিক ছবি ব্যবহার করা হয়।

জানা গিয়েছে, কম্বোডিয়া নাকি নিজেদের জাতীয় পতাকা নিয়েই আসেনি। এখান থেকে জাতীয় পতাকা জোগাড় করা হয়েছে বলেই গণ্ডগোল হয়েছে। তবে জাতীয় সঙ্গীত বিভ্রাটের ক্ষেত্রে দায়িত্ব আয়োজক হিসাবে থাকা ভারতেরই। বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়া ফুটবল সংস্থাকে চিঠি লেখেন ভারতীয় ফুটবল সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল অনিত কামাত।

তিনি জানিয়েছেন, হোটেলের কর্মীদের ব্যবহার এবং দেরিতে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো ঘিরে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তার জন্য তাঁরা দুঃখিত। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই জাতীয় সঙ্গীত বাজাতে দেরি হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ রকম না হয়, তার খেয়াল রাখা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কম্বোডিয়া ম্যাচ জয়ের পর কলকাতার বুকে আফগানিস্তান এবং হংকং ম্যাচ খেলতে হবে ভারতকে। হাতে মাত্র একটা দিন সময়। তাই অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী এবং কোচ ইগর দলের আত্মবিশ্বাস এবং ফোকাস ঠিক রাখতে মরিয়া। কবে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের এমন ভুল সত্যিই লজ্জার।