বলিউডে হিরো, অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন৷ কিন্তু বলিউডে সেভাবে পাত্তা পাননি৷ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশে গিয়ে পেয়েছেন যোগ্য প্রসংশা৷ সেখানে তিনি সুপারহিট!কে এই হিরো? বেশ জনপ্রিয় এবং বলিউডের নামি পরিবারের এই অভিনেতা৷ এখন যদিও তিনি খুব বেশি কাজ করেন না৷ তাঁর মেয়ে এখন বলিউডের উঠতি নায়িকা৷ চিনতে পারলেন কী? এই হিরোর ছিল একাধিক প্রেম যদিও সেই প্রেম একটাও টেকেনি৷অনেকেই জানেন না যে বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয় হিরো ছিলেন চাঙ্কি পান্ডে৷ কেরিয়ারের শুরুতে বলিউডে কাজ করেছিলেন তিনি৷ হিটও ছিলেন৷ কিন্তু পরের দিকে একের পর এক ছবি ফ্লপ হওয়াতে তিনি কাজ পেতেন না৷ তখনই তিনি বাংলাদেশে পাড়ি দেন৷১৯৮৭ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত বলিউডে সফল ছিলেন চাঙ্কি, কিন্তু তারপর একাধিক ছবি ফ্লপ হতে শুরু করে। তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন, যেখানে তিনি সবচেয়ে বড় সুপারস্টার হিসেবে আবির্ভূত হন।বাংলা না জেনেও সেখানে একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে চাঙ্কি এবং মেলে বিপুল সাফল্য৷ তাই চাঙ্কি মনে করেন যে ভাগ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ অভিনয় জগতে তাঁর যে উত্থান-পতন হয়েছে, তাতে তিনি সবসময়ই লাক ফ্যাক্টর মেনেই চলেন৷কাজের জগতে যাই হোক, পরিবারই তাঁর কাছে শেষ কথা৷ কারণ চাঙ্কি মনে করেন যে কাজ আসবে যাবে তবে যে কোনও দুঃসময়ই পরিবার পাশে থাকবে৷ তাঁর বাবা ডক্টর শরদ পান্ডে৷ তাঁর স্ত্রী ভাবনা, মেয়ে অনন্যা পান্ডে৷ চাঙ্কির কথায় তাঁর পাশে থাকা সব মানুষই খুব প্রতিভাশালী৷চাঙ্কি পান্ডে তাঁর ক্যারিয়ারের শীর্ষে বেশ জনপ্রিয়তা পান। সহ-অভিনেত্রীদের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে ছিল। বহু বছর পরে, যৌবনের সেই সব কথা স্বীকার করেছেন৷ এবং সেখানেই জানিয়েছেন যে কীভাবে তাঁর স্ত্রী ভাবনার সঙ্গে তাঁর আলাপ!চাঙ্কি পান্ডে জানান, ভাবনার সঙ্গে দেখা করার পর তিনি সাধারণ জীবনযাপন শুরু করেন। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি ৩৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছি। ভাবনার সঙ্গে দেখা করার এক সপ্তাহের মধ্যেই জানতাম যে আমি একেই বিয়ে করব। কারণ প্রচুর মেয়ের সঙ্গে মিশলেও ভাবনার প্রতি আমার অনুভূতিই ছিল অন্য রকম৷চাঙ্কি বিশ্বাস করেন যে তার এবং তার স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্যের কারণে তিনি তরুণ এবং প্রাণবন্ত থাকেন। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছি অনেক নায়ক অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করছেন যারা তাদের থেকে ১০-১২ বছরের ছোট এবং আমি বাস্তব জীবনেও তাই করছি। তাই আমাকে সবসময় তরুণ দেখায়!’চাঙ্কি মনে করেন যে পরিবারে বাবা-মায়ের দায়িত্ব পালন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ তিনি অভিনেতা না হলেও তাঁর মেয়ে অনন্যা অভিনয় করতেন৷ কারণ অনন্যার ছোটবেলার ভিডিও গুলোই নাকি খুবই আকর্ষণীয় ছিল৷ তাঁর ছোট মেয়ে রাইসা একেবারেই অভিনয় করতে চায় না৷
