গাছ আমাদের ছায়া দেয়৷ আমাদের বাঁচিয়ে রাখে৷ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে৷ পরিবেশবিদদের একাংশ মনে করেন দিনের পর দিন অত্যধিক পরিমাণে গাছ কাটার ফলেই ত্বরান্বিত হয়েছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং৷ তাই জন্য কালবৈশাখী ছাড়াই এই তপ্ত এপ্রিলে জ্বালাপোড়া গরম ভুগতে হচ্ছে আমাদের৷ঠিক সেই জন্যই সুযোগ হলেই গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন পরিবেশবিদেরা৷ আজকাল আমরা অনেকেই ফ্ল্যাট বা হাউজিংয়ে বসবাস করি৷ তাই শখ করেপরিমূর্ণ বাগান করার সুযোগ বা জমি কোনওটাই থাকে না৷ তাই এক চিলতে বারান্দাতেই তৈরি হয় ক্ষুদ্র বাগান৷ হাউজ প্লান্টে সাজাই ঘরদোর৷কিন্তু, জানেন কি, এমন ৫টি হাউজপ্লান্ট রয়েছে, যা ঘরে রাখলে তা ঘরের তাপমাত্রা কমিয়ে আনে এবং এই গরমের দিনেও ঘরের ভিতরে শীতল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে? এই প্রতিবেদনে তেমনই ৫টি গাছের নাম বলব আমরা৷প্রথমেই আসা যাক অ্যালোভেরা গাছের কথায়৷ অ্যালোভেরা গাছগুলি তাদের ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত৷ কারণ এটি ত্বক এবং স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই খুব উপকারী৷ এ ছাড়াও, অ্যালোভেরা গাছটি আপনার ঘরের বাতাসকে আশেপাশের আর্দ্রতা শোষণ করে বেশ ঠান্ডা রাখে।যে কোনও নার্সারিতে আপনি সহজেই অ্যালোভেরা গাছ পাবেন। আর অ্যালোভেরা গাছকে খুব একটা যত্নও করতে হয় না৷ নিজের মতোই বেড়ে ওঠে এবং ঘরের ভিতরের পরিবেশ শীতল রাখে এই গাছ।প্রচণ্ড গরমে ঘরের তাপমাত্রা কম রাখার জন্য আপনার বাড়িতে বেবি রাবার প্ল্যান্ট লাগাতে পারেন৷ এটি এক ধরনের ইনডোর প্ল্যান্ট নামে পরিচিত। এই গাছ আশপাশ থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে চারপাশের তাপমাত্রার মাত্রা কমিয়ে দেয়। এই জাতীয় গাছের প্রতিদিন জল দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, রাবার গাছ খুব কম রক্ষণাবেক্ষণে ভাল বেড়ে ওঠে।অ্যারেকা পাম গাছগুলি দেখতে খুব সুন্দর৷ অনেকেই এগুলি বারান্দায় রোপণ করে থাকেন। এই গাছ ঘরের বাতাস ঠান্ডা এবং আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। যা গরম থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়া, এটি বাতাসে উপস্থিত বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে।ক্রোটন গাছ দেখতে খুব সুন্দর৷ কারণ এর পাতা লাল, হলুদ, কমলা রঙের, যা এই গাছের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাই লোকেরা বসার ঘর এবং বারান্দায় এই ধরনের গাছপালা রোপণ করে।পজিটিভ এনার্জি দেওয়ার পাশাপাশি এই গাছটি বাতাসকে পরিষ্কার করতেও কাজ করে। ক্রোটনের রঙিন পাতা বাতাসে উপস্থিত ক্ষতিকারক উপাদান শোষণ করে। যার কারণে আশপাশের পরিবেশ প্রচণ্ড ঠান্ডা থাকে।
