হুগলি: এ যেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক অন্যরকম রূপ! শ্রীরামপুর লোকসভার দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভা থেকে লোকসভা, যার কড়া ভাষণে কেঁপে ওঠে, সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেখা গেল একদম অন্য রূপে। হঠাৎই বাচ্চাদের দেখে দুঁদে নেতা হয়ে গেলেন নেহাতই শিশু সুলভ।
বৃহস্পতিবার সকালে হুগলির কোন্নগরে ভোটের প্রচার করতে আসেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন্নগর কানাইপুর নবগ্রাম চত্বরে চলে তাঁর প্রচার পর্ব। প্রচারের ফাঁকেই দেখা যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১৮০ ডিগ্রি টার্ন। নেতা হয়ে উঠলেন একেবারে শিশুসুলভ। প্রচারের মধ্যেই গল্প জুড়ে দিলেন বাচ্চাদের সঙ্গে। নবগ্রাম এলাকায় একটি টিউশনের ব্যাচে পড়তে এসেছিল একদল পড়ুয়া। রাস্তা দিয়ে প্রচার গাড়ি যাচ্ছে দেখে দৌড়ে পড়া ছেড়ে সকলে চলে আসে রাস্তার ধারে জানালায়। সেখানেই তাদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করতে শোনা যায়, তারা কোন ক্লাসে পড়ে? তারা কী পড়াশোনা করছে নাকি বেশি করে মোবাইল ঘাটছে ! ঠিক যেভাবে দাদু নাতি নাতিনদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন, তেমনি প্রচারের ফাঁকে প্রবীণ নেতা হয়ে উঠলেন বাচ্চাদের প্রিয় দাদু। এই বিষয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাজনীতি ও ওকালতির কাজের মধ্যে তিনি নিজের পরিবারকে কখনই সময় দিয়ে উঠতে পারেননি। সেই আক্ষেপটা তাঁর মনের মধ্যে রয়ে গিয়েছে এখনও। আজ বয়স বাড়ার সঙ্গে তিনি নিজে দাদু হয়েছেন। তারপর থেকেই বাচ্চাদের দেখলে তার মনের ভেতর থেকে সেই শিশুসুলভ স্বভাব প্রকাশ্যে চলে আসে। প্রচারে বেরিয়ে তিনি যখনই বাচ্চাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন তিনি ভুলে যান তিনি বিদায়ী সাংসদ বা তিনি ভোট প্রার্থী।
রাহী হালদার