Keerti Rajpoot
Kalava Tie Rules: হিন্দু ধর্মে পুজো বা কোনও শুভ অনুষ্ঠানে কবজিতে মৌলি বা তাগা বাঁধা হয়। অনেকে একে রক্ষাসূত্রও বলেন। এটা বৈদিক ঐতিহ্যের একটা অংশ। যজ্ঞের সময় হাতে তাগা বাঁধার প্রথা আজও চলছে। পৌরাণিক গ্রন্থেও এর উল্লেখ পাওয়া যায়। সংকল্প সুত্রের পাশাপাশি রক্ষা সুত্র হিসেবে তাগা বাঁধার কারণও তাতে জানানো হয়েছে।
পৌরাণিক গাথা অনুযায়ী, অসুর কুলের দানবীর রাজা বলির অমরত্বের প্রতীক হিসেবে তাঁর কবজিতে রক্ষা সূত্র বেঁধেছিলেন ভগবান বামন। এটাকে রক্ষাবন্ধনের প্রতীক হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। এখন প্রশ্ন হল, রক্ষা সূত্র বা তাগা বাঁধার নিয়ম কী? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন ভোপালের জ্যোতিষী এবং বাস্তু পরামর্শদাতা পণ্ডিত হিতেন্দ্র কুমার শর্মা।
আরও পড়ুন– এটা ছাড়া উড়তেই পারবে না বিমান, এয়ারক্রাফ্টের পিছনের অংশকে কী বলে জানেন ?
কবজির তাগা কতদিন রাখতে হয়: কবজিতে তাগা বাঁধার পর খুলতে ভুলে যান অনেকেই। দীর্ঘদিন বাঁধা অবস্থাতেই থাকে। এর ফলে তাগা বাঁধার উদ্দেশ্য নষ্ট হয়। এর নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। শাস্ত্র অনুযায়ী, কবজিতে ২১ দিন তাগা বেঁধে রাখতে হয়। এরপর খুলে ফেলতে হয়। এর কারণ, সাধারণত ২১ দিনে তাগার রঙ বিবর্ণ হতে শুরু করে। আর বিবর্ণ তাগা পরা কখনওই উচিত নয়।
এঁকে অশুভ মনে করা হয়: বিবর্ণ তাগা অশুভ মনে করা হয়। তাই ২১ দিন পর খুলে ফেলাই ভাল। কেউ পরে থাকতে চাইলে ২১ দিন পর শুভ সময় দেখে নতুন তাগা বাঁধতে পারেন। শাস্ত্রে এও বলা হয়েছে যে, বিবর্ণ তাগা পরে থাকলে ব্যক্তির চারপাশে নেতিবাচক শক্তি জমা হয়। তাই তাগা খুলে প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দেওয়াই নিয়ম।
রক্ষা সূত্র বা তাগা বাঁধার নিয়ম:
ক) পুরুষ এবং অবিয়াহিত মহিলারা ডান হাতে তাগা বাঁধতে পারেন।
খ) বিবাহিত মহিলাদের ক্ষেত্রে তাগা বাঁধতে হবে বাম হাতে।
গ) তাগা বাঁধার সময় সেই হাত মুঠো করে রাখতে হবে।
ঘ) অন্য হাত থাকবে মাথায়।
ঙ) তাগা কবজি বা বাহু যেখানেই বাঁধা হোক না কেন, বাঁধার সময় ৩ পাক ঘোরাতে হবে। তার কম বা বেশি নয়।
(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)