লাইফস্টাইল Menopause: শরীরে এই লক্ষণগুলিই বলে দেয় আপনি পিরিয়ড বন্ধ হওয়া বা মেনোপজ-এর দিকে এগোচ্ছেন Gallery May 7, 2024 Bangla Digital Desk পিরিয়ড মেয়েদের বড় হওয়ার একটি অংশ। পিরিয়ড সেই সময় শুরু হয় যখন শরীরের অন্যান্য পরিবর্তন যেমন স্তন বৃদ্ধি, চুলের বিকাশ হওয়া শুরু হয়। পিরিয়ড হবার সঠিক সময় হল ১৩ বছর। কিন্তু ৯ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত যে-কোনও মেয়েরই ঋতুস্রাব শুরু হতে পারে এবং এটা খুব স্বাভাবিক। মেনোপজ বা পিরিয়ড বন্ধ হওয়াও খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। একটা বয়সের পর স্বাভাবিক ঋতুচক্র ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়। একে বলে মেনোপজ। ৪০ থেকে ৪৫-এর পর থেকেই মহিলাদের শরীরে ধীরে ধীরে নানা বদল আসতে শুরু করে। হরমোনের হঠাৎ এমন পরিবর্তনে শারীরিক, মানসিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হয় অনেক মহিলারই। এই সময়ে কেউ একটু বেশিই খিটখিটে হয়ে পড়েন। আবার কারও আচমকা অনেকটা ওজন বেড়ে যায়। আপনি যদি প্রেগন্যান্ট না হন, কিংবা শারীরিক ভাবেও সুস্থ, তারপর-ও যদি আপনার টানা ১২ মাস পিরিয়ড বন্ধ থাকে, তারমানে মেনোপজ শুরু হয়েছে। কেন হয় মেনোপজ? বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটা মহিলার সেক্স হরমোন কমে যেতে থাকে। একটা সময় ওভারি আর ডিম তৈরি করে না, ফলে আর পিরিয়ড হয় না। এই সময় আপনি আর প্রেগন্যান্ট হতে পারবেন না। মেনোপজ কিন্তু একদিনে হয় না। প্রাথমিকভাবে প্রতিমাসে নিয়মিত পিরিয়ড হওয়া বন্ধ হয়। তখন ২-৩ মাস অন্তর-অন্তর পিরিয়ড হতে পারে। মেনোপজ ৪-১০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এমন-ও দেখা যায়, হয়তো চার বছর আপনার পিরিয়ড বন্ধ, আচমকাই চার বছর পর শুরু হয়েছে পিরিয়ড। শরীরে কোন কোন লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনি মেনোপজের দিকে এগোচ্ছেন? অনিয়মিত পিরিয়ড– মেনোপজের এক দেড় বছর আগে থেকেই পিরিয়ড অনিয়মিত হতে থাকে, তখন আর প্রতিমাসে পিরিয়ড হয় না। হট ফ্লাশ– অনেক মহিলার ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ঘুমের মধ্যে সারা শরীর দিয়ে যেন তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। সারা শরীর জ্বালা করতে থাকে, অস্বাভাবিক ঘামও হতে পারে। মেজাজ ঠিক না থাকা –মেনোপজের আগে থেকেই শরীরে হরমোনের ওঠা-নামা হতে থাকে। ফলে, মানসিক অবসাদ, মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনিদ্রার সমস্যা– মেনোপজের আগে থেকেই অনেকে অনিদ্রাজনিত সমস্যায় ভোগে।