পশ্চিম মেদিনীপুর: তিনি স্বভাব কবি। কোথাও বসে, বিভিন্ন জিনিস দেখে লিখে ফেলেন কবিতা। কখনও করোনা পরিস্থিতিতে বিদ্যালয় খোলাকে নিয়ে কবিতা, আবার কখনও সাধারণ মানুষের অসহায়তা দেখে কবিতা লিখেন তিনি। তবে তার পরিচয় শুধু কবি নয়, তিনি পেশাগতভাবে ভারতীয় ডাক বিভাগের কর্মী। কবিতা তাঁর নেশা। শুধু কবিতা নয়, তিনি লেখেন উপন্যাসও। প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় থেকেও তিনি চালিয়ে রেখেছেন তার এই শিল্পসত্তাকে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের কানপুরের বাসিন্দা পরেশ বেরা। বিভিন্ন সময়ে সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি লেখেন কবিতা। তিনি পরিচিত আঞ্চলিক ভাষার কবি হিসাবে। স্থানীয় এলাকার সাধারণ মানুষের মুখে প্রচলিত, আঞ্চলিক ভাষায় তিনি লেখেন কবিতা। তাতে থাকে গ্রামের ছোঁয়া।সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি ডাক বিভাগের নানা কাজ সামলালেও যখন সময় পান, তিনি লিখে ফেলেন ছোট বড় নানান কবিতা। এটাই তার নেশা।
আরও পড়ুন: স্কুলে আসছিল না ছাত্ররা, তাই যা করলেন শিক্ষক ও গ্রামবাসীরা….
আরও পড়ুন: দশম, দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষায় নম্বরের মেলা, নজরকাড়া সাফল্য দুর্গাপুরের এই স্কুলের
এছাড়াও তিনি পড়াশোনা করেন। চর্চা করেন বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম-সহ বিভিন্ন মনীষীদের নিয়ে। এভাবেই চলে তাঁর দিন। এছাড়াও তিনি থাকেন মাটির বাড়িতে, থরে থরে বই সাজানো পাকার ঘরে। কারণ বই তাঁর কাছে ঈশ্বর। পড়াশোনা তাঁর কাছে স্বপ্নের মত। স্বাভাবিকভাবে এই স্বভাব কবির কবিতায় বেশ আনন্দ পান পাঠকেরা।
কখনও কবিতা পড়ে আবার কখনও তাঁর গলায় কবিতা শুনে বেশ উপভোগ করেন সকলে। তবে সামাজিক বিষয় নিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করেন পরেশবাবু। স্বভাব কবির এই কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে। তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ এলাকাবাসী থেকে সাধারণ মানুষ।
রঞ্জন চন্দ