সিএনজি গাড়ি চালান? প্রচণ্ড গরমে এই জিনিসগুলো দেখে না রাখলে বিপদ হতে পারে

কলকাতা: পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়েই চলেছে। কমার কোনও লক্ষণ নেই। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই সিএনজি গাড়ির দিকে ঝুঁকছেন। সিএনজি চালিত গাড়ি সস্তা তো বটেই, প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে আগের চেয়ে অনেক নিরাপদও।

এটা ঠিক যে সিএনজিতে গাড়িতে বুটস্পেস পাওয়া যাবে না। ক্ষমতাও পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ির তুলনায় কিছুটা কম। তবে বাজেটের দিক থেকে দেখলে সিএনজি গাড়িকে পকেট ফ্রেন্ডলি বলাই যায়। এখন প্রশ্ন হল, প্রখর গ্রীষ্মে সিএনজি গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ কীভাবে করা উচিত? দিল্লি এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে প্রবল তাপপ্রবাহের মধ্যে গাড়ির ভিতর সিলিন্ডার রাখার ঝুঁকি কতটা?

সিএনজি গাড়ির নিরাপত্তার জন্য এখানে রইল ৫ টিপস।

প্রথমত: সিএনজি গাড়ি ছায়ায় পার্ক করা উচিত। যতটা সম্ভব এই বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে। মে-জুন মাসে দেশের অধিকাংশ রাজ্যেই ৪০ ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা থাকে। প্রখর রোদের কারণে গাড়ির ভিতরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। তাই গাড়িকে দীর্ঘমেয়াদে ভাল রাখতে চাইলে ছায়ায় পার্ক করা গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন- গাড়ি চালানোর সময় হাতে মোবাইল ফোন রাখা যায়? ট্রাফিক আইন জেনে নিন

দ্বিতীয়ত, সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত সিএনজি রিফিল না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। গ্রীষ্মকালে তাপ সম্প্রসারণের কারণে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যদি সিলিন্ডার রিফিল করার ক্ষমতা ৮ লিটার হয় তাহলে ৭ লিটার ভরতে হবে। পাশাপাশি সিএনজি শেষ হয়ে গেলে পেট্রোলে চালানোর বিকল্পও যেন থাকে।

তৃতীয়ত, সিএনজি সিলিন্ডারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ মাথায় রাখতে হবে। এটা ভুলে গেলে চলবে না। সাধারণত একটি সিলিন্ডার ১৫ বছর চলে। তবে নিরাপত্তার খাতিরেই মেয়াদ দেখে রাখা উচিত।

আরও পড়ুন- চার ডিজিটের এই দশ পিন ব্যবহার করছেন না কি? সর্বনাশ, যে কোনও সময় হ্যাক হতে পারে

চতুর্থত, প্রতি তিন বছর অন্তর একটি সিএনজি সিলিন্ডারের হাইড্রো টেস্টিং করতে হয়। নিরাপত্তার জন্য এটা প্রয়োজন। এই টেস্টের মাধ্যমে দেখে নেওয়া হয়, সিলিন্ডারে কোনও ফুটো আছে কি না। যাতে গাড়ির কোনও ক্ষতি না হয়। গ্রীষ্মকালে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে এই টেস্ট করা খুব প্রয়োজন।

পঞ্চম, স্থানীয় দোকান থেকে সিএনজি কিট ইনস্টল করলে যথাযথ শংসাপত্র আছে কি না দেখে নিতে হবে। নিরাপত্তার জন্যই এটা প্রয়োজন।