প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতেই ঝাড়ু থাকে৷ শুধু তাই নয়, ঘরদোর পরিষ্কার রাখার জন্যে নানা ধরনের ঝাড়ু বা ঝাঁটাও ব্যবহার করা হয়৷ কিন্তু, আমরা অনেকেই জানি না যে, গৃহস্থ বাড়ির বাস্তু শুভ রাখার ক্ষেত্রে ঝাড়ুর ভূমিকা অনস্বীকার্য৷ লোক বিশ্বাস, ঝাড়ুর সঙ্গে মা লক্ষ্মীর সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট হওয়া অনেকাংশেই নির্ভর করে৷বাড়ির কোন জায়গায় কী জিনিস রাখছেন, তার উপরে সংসারের শান্তি, সমৃদ্ধি এবং উন্নতি অনেকাংশেই নির্ভর করে। এখানে আমরা কথা বলব ঝাড়ু নিয়ে৷ আমরা সাধারণত ঝাড়ু ব্যবহার করে বাড়ির যে কোনও জায়গাতেই ফেলে রেখে দিই৷ কিন্তু, তাতে যে আমাদের সংসারের কী ক্ষতি হয়, তা আমরা জানতেও পারি না৷আসুন তিরুপতির জ্যোতিষী এবং বাস্তু বিশেষজ্ঞ ডঃ কৃষ্ণ কুমার ভার্গবের কাছ থেকে জেনে নিন বাস্তু নিয়ম এবং ঝাড়ুর সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি।বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে ঝাড়ু কখনওই রাখবেন না৷ বাস্তুশাস্ত্রে উত্তর-পূর্ব কোণে গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাড়ির উত্তর ও পূর্ব দিকের কোণটিকে ইশান কোণ বলে। এটি দেব-দেবীর দিক হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি ইতিবাচক শক্তির কেন্দ্রও। তাই উত্তর-পূর্ব কোণে ঝাড়ু রাখা কখনওই উচিত নয়। এটি আপনার বাড়িতে বাস্তু ত্রুটি তৈরি করতে পারে। অর্থের আগমনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে।দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অর্থাৎ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ঝাড়ু রাখা উচিত নয়। এই দিক আগুনের সাথে সম্পর্কিত। এখানে ঝাড়ু রাখলে নেতিবাচকতা ছড়াতে পারে।ঘরে ঝাড়ু কোথায় রাখবেন: বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়ির উত্তর-পশ্চিম দিক দিকে ঝাড়ু রাখা যেতে পারে। এসব জায়গায় ঝাড়ু রাখলে আপনার সুখ-সমৃদ্ধি বাড়তে পারে। তবে ঝাড়ু সবসময় শুয়ে লুকিয়েই রাখুন। বাইরের কেউ যাতে ঝাড়ু দেখতে না পায়৷পুজোর ঘরে বা রান্নাঘরে ঝাড়ু রাখলে অবিলম্বে এই অভ্যাস বদলাতে হবে। এই দুই জায়গায় ঝাড়ু রাখবেন না। এর ফলে বাস্তু দোষ হয়। অনেক সময় ঝাড়ু ভেঙে যায় এবং অগোছালো হয়ে যায়, তাই লোকেরা এটিও ব্যবহার করে। এই ধরনের ঝাড়ু অবিলম্বে অপসারণ করা উচিত। এই ধরনের ঝাড়ুকে বাস্তু দোষের পাশাপাশি অশুভ বলে মনে করা হয়।যদি পুরনো ঝাড়ু নষ্ট হয়ে যায়, নতুন ঝাড়ু ব্যবহার করতে হয়, তাহলে বাস্তুশাস্ত্রে সেই সংক্রান্ত নিয়মও আছে। শনিবার নতুন ঝাড়ু ব্যবহার করলে ভাল হবে। এটা শুভ হবে। কৃষ্ণপক্ষের শনিবারে সবসময় নতুন ঝাড়ু কিনলে ভাল হয়, শুক্লপক্ষে কেনা ঝাড়ু অশুভ বলে মনে করা হয়।দাবিত্যাগ: রাশিচক্র, ধর্ম ও শাস্ত্রের ভিত্তিতে জ্যোতিষী ও আচার্যদের সঙ্গে কথা বলে এই সংবাদে দেওয়া তথ্য লেখা হয়েছে। কোনও ঘটনা, দুর্ঘটনা বা লাভ-ক্ষতি নিছকই কাকতালীয়। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে সবার স্বার্থে লেখা হয়েছে। নিউজ-18 এই সমস্ত তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে না।
