ট্রেন যাত্রায় শৌচাগারে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হতে হবে না আর। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এ বার ট্রেনের শৌচাগারে। ইতিমধ্যে ট্রেনের শৌচাগারগুলির রিয়েল টাইম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য পূর্ব রেল নিয়ে এসেছে আইওটি ভিত্তিক ব্যবস্থা ‘গন্ধভেদ’। (তথ্য - হরষিত সিংহ)

Knowledge Story: মেল, এক্সপ্রেস এবং সুপারফাস্ট ট্রেনের মধ্যে ফারাক কোথায়? পরেরবার ট্রেনের টিকিট কাটার আগে অবশ্যই জেনে রাখা জরুরি

ভারতীয় রেল এশিয়ার বৃহত্তম রেল পরিষেবা। প্রতিদিন ভারতীয় রেলে যে-সংখ্যক যাত্রী যাত্রা করেন, তা অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার সমতূল। যাঁরা ট্রেনে যাত্রা করেন, তাঁরা তিনটে শব্দের সঙ্গে ভীষণভাবে পরিচিত। মেল ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেন এবং সুপারফাস্ট ট্রেন। এবার বলুন তো, এই তিন ধরণের ট্রেনের মধ্যে ফারাক কোথায়? ৯৯ শতাংশ-ই সঠিক উত্তরটা জানেন না--
ভারতীয় রেল এশিয়ার বৃহত্তম রেল পরিষেবা। প্রতিদিন ভারতীয় রেলে যে-সংখ্যক যাত্রী যাত্রা করেন, তা অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার সমতূল। যাঁরা ট্রেনে যাত্রা করেন, তাঁরা তিনটে শব্দের সঙ্গে ভীষণভাবে পরিচিত। মেল ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেন এবং সুপারফাস্ট ট্রেন। এবার বলুন তো, এই তিন ধরণের ট্রেনের মধ্যে ফারাক কোথায়? ৯৯ শতাংশ-ই সঠিক উত্তরটা জানেন না–
ভারতীয় রেলের তথ্য অনুযায়ী, যে ট্রেন ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে ছোটে, তাকে বলা হয় মেল-এক্সপ্রেস ট্রেন। যেমন পঞ্জাব মেল, মুম্বই মেল, কালকা মেল।
ভারতীয় রেলের তথ্য অনুযায়ী, যে ট্রেন ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে ছোটে, তাকে বলা হয় মেল-এক্সপ্রেস ট্রেন। যেমন পঞ্জাব মেল, মুম্বই মেল, কালকা মেল।
এক্সপ্রেস ট্রেন ছোটে প্রতি ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার গতিতে। এই ট্রেনের নামকরণ হয় কোন-ও শহর, জায়গা বা কোন-ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের নামে।
এক্সপ্রেস ট্রেন ছোটে প্রতি ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার গতিতে। এই ট্রেনের নামকরণ হয় কোন-ও শহর, জায়গা বা কোন-ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বের নামে।
ভারতীয় রেলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যদি কোন-ও ট্রেনের আপ এবং ডাউন উভয় দিকের গতি ব্রডগেজে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং মাঝারি লাইনে ৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হয়, তবে ট্রেনটিকে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস বলা হয়। এই ট্রেনের ভাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের থেকে বেশি। কারণ এই ট্রেনের গড় গতি এক্সপ্রেস ট্রেন ও মেল-এক্সপ্রেস ট্রেনের থেকে বেশি।
ভারতীয় রেলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যদি কোন-ও ট্রেনের আপ এবং ডাউন উভয় দিকের গতি ব্রডগেজে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা এবং মাঝারি লাইনে ৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হয়, তবে ট্রেনটিকে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস বলা হয়। এই ট্রেনের ভাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের থেকে বেশি। কারণ এই ট্রেনের গড় গতি এক্সপ্রেস ট্রেন ও মেল-এক্সপ্রেস ট্রেনের থেকে বেশি।
মোট যাত্রার সময় দিয়ে শেষ থেকে শেষের দূরত্বকে ভাগ করে গড় গতি গণনা করা হয়। ভারতের কিছু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। এই-সমস্ত ট্রেনে কম সংখ্যক স্টপেজ থাকে, তাই ট্রেনের সময় বাঁচে। কাজেই, সুপারফাস্ট ট্রেনের ভাড়া এক্সপ্রেস ট্রেন ও মেল-এক্সপ্রেস ট্রেনের থেকে বেশি।
মোট যাত্রার সময় দিয়ে শেষ থেকে শেষের দূরত্বকে ভাগ করে গড় গতি গণনা করা হয়। ভারতের কিছু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনের গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। এই-সমস্ত ট্রেনে কম সংখ্যক স্টপেজ থাকে, তাই ট্রেনের সময় বাঁচে। কাজেই, সুপারফাস্ট ট্রেনের ভাড়া এক্সপ্রেস ট্রেন ও মেল-এক্সপ্রেস ট্রেনের থেকে বেশি।
সুপারফাস্ট ট্রেন বেশি সময় বাঁচায়, রয়েছে নানা পরিষেবা। এই কারণেই তিন ধরনের ট্রেনে ধার্য হয়েছে তিন ধরনের ভাড়া। এর মধ্যে রয়েছে ন্যূনতম দূরত্বের চার্জ, ন্যূনতম সাধারণ ভাড়া, রিজার্ভেশন চার্জ, সুপারফাস্ট চার্জ এবং জিএসটি। এগুলিকে একত্রিত করার পর টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়।
সুপারফাস্ট ট্রেন বেশি সময় বাঁচায়, রয়েছে নানা পরিষেবা। এই কারণেই তিন ধরনের ট্রেনে ধার্য হয়েছে তিন ধরনের ভাড়া। এর মধ্যে রয়েছে ন্যূনতম দূরত্বের চার্জ, ন্যূনতম সাধারণ ভাড়া, রিজার্ভেশন চার্জ, সুপারফাস্ট চার্জ এবং জিএসটি। এগুলিকে একত্রিত করার পর টিকিটের দাম নির্ধারণ করা হয়।
সুপারফাস্ট ট্রেনের টিকিটে সুপারফাস্ট সারচার্জ প্রযোজ্য। দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য এই সারচার্জ ভাড়ার ১০ শতাংশ, স্লিপার ক্লাসের জন্য এটি ভাড়ার ২০ শতাংশ। সমস্ত শ্রেণীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার-এর জন্য সারচার্জ টিকিটের ৩০ শতাংশ৷
সুপারফাস্ট ট্রেনের টিকিটে সুপারফাস্ট সারচার্জ প্রযোজ্য। দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য এই সারচার্জ ভাড়ার ১০ শতাংশ, স্লিপার ক্লাসের জন্য এটি ভাড়ার ২০ শতাংশ। সমস্ত শ্রেণীর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কার-এর জন্য সারচার্জ টিকিটের ৩০ শতাংশ৷