পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল মজবুত হবে সম্পর্ক…! কিছুতেই ভাঙবে না…! Follow করুন ‘3-6-9 রুল’, সিক্রেট-মন্ত্রেই ভালোবাসা-বিশ্বাসের শিখরে পৌঁছবে সম্পর্ক Gallery May 20, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমান যুগে সম্পর্কের ভাঙাগড়া বেড়েই চলেছে অহরহ। প্রেম গভীর হতে না হতেই বিচ্ছেদ, বিবাহিত জীবনে সুখ দানা বাঁধতে না বাঁধতেই ডিভোর্সের অসুখ দানা বাঁধতে দেখা যায় প্রতি মুহূর্তে। অনেকেই তাঁদের সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা না বুঝে উঠতে পারেন না। আর অজান্তেই কিছু ভুলেই ভেঙে যায় একসময়ে ভালোবাসা বিশ্বাসে হাত ধরা মানুষটার সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধন। কিন্তু জানেন কী কিছু ছোট্ট মন্ত্রেই টিকে যায় সম্পর্ক। এক্ষেত্রে দুর্দান্ত কার্যকরী ‘৩-৬-৯ মাস’ নিয়মটি। অনেকসময়ই তরুণ-তরুণীরা জীবনে প্রেম সম্পর্কে জড়ানোর আগে দ্বিধাগ্রস্থ থাকেন। তবে সঙ্গী নির্বাচনের পর তাঁদের সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন অনেকেই। প্রাথমিক পরিচয় পর্ব মিটলে তা প্রেমে পরিণত হয় অল্প সময়েই। কিন্তু দেখা যায় অবশেষে ব্রেকআপে ইতি হয় সেই সম্পর্কের। যে কোনও সময়ই এই ধরণের হৃদয় ভাঙন ডেকে আনে অবসাদ। সম্পর্কের ভাঙনে উভয়ই যে যন্ত্রণা অনুভব করে তা বর্ণনাতীত। কিন্তু এই ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আগে থেকেই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা ভাল। কারণ অনেকেই কীভাবে তাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়া যায় তা না জেনেই ব্রেক আপ করে বসেন। এই ধরনের কাপল-দের জন্য ‘৩-৬-৯ মাসের’ নিয়মটি কার্যকর। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কের নিয়মের আসল রহস্য! ‘৩-৬-৯ মাস’ নিয়ম কী?যাঁরা সম্পর্কে নতুন তাঁদের জন্য এই ‘৩-৬-৯ মাস’ নিয়মটি খুব ভাল কাজ করে। এর অর্থ হল, একটি সম্পর্কের প্রতি ৩ মাসে একটি পর্যায় রয়েছে। অর্থাৎ প্রথম ৩ মাসকে এক পর্যায়, পরের ৩ মাসকে দ্বিতীয় পর্যায় এবং শেষ ৩ মাসকে চূড়ান্ত পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। প্রথম ৩ মাস : আবিষ্কারের পর্যায়:-প্রথম তিন মাসের সময়কালকে ‘ডিসকভারি ফেজ’ বলা হয়। এটি উভয় সঙ্গীর মধ্যে যোগাযোগের সঙ্গে জড়িত। এই ধাপটি একে অপরকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানতে সাহায্য করে। দু’জনের পছন্দ, অপছন্দ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, লক্ষ্য, উদ্বেগ, ভয়… সঙ্গীর সাথে সম্পর্কিত প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে এই অধ্যায়ে জানা উচিত। প্রত্যেককে একে অপরের অভ্যাস, আগ্রহ, বিশ্বাস এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে জানতে হবে এই পর্যায়ে আর একইসঙ্গে দু’জন একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তাও মূল্যায়ন করতে হবে এই পর্যায়ে। একে অপরকে চিনতেই মোটামুটি তিন মাস কেটে যায়। গভীরকরণ পর্ব: এই তিন মাসে, পার্টনারের সম্পর্কে একটি মতামত গঠনের সম্ভাবনা থাকে। তাই এই পরবর্তী তিন মাস সঙ্গীকে আরও বোঝার জন্য আপনাকে নিয়োজিত করতে হবে। এক অর্থে, এই পর্যায়টি আকর্ষণের পর্যায় থেকে সম্পর্কের নিরিখে আরও গভীরে যেতে সাহায্য করে দুই সঙ্গীকে। এই সময়ের মধ্যে একে অপরের মধ্যে মানসিক সংযোগ জোরদার করা উচিত। যার ফলাফল হতে পারে একটি শক্তিশালী বন্ধনের ভিত্তি। এই পর্যায়ে, উভয় পক্ষকেই সম্পর্কের চ্যালেঞ্জগুলি একসঙ্গে কাটিয়ে উঠতে হবে এবং সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। তবেই একজনের স্থলাভিষিক্ত হবে আরেকজন। বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা পর্ব-পার্টনার ছলনা করছেন না তো? অথবা আপনি সম্পর্কে সৎ আছেন তো? এই পর্বে পরিষ্কার হবে সম্পর্ক কতটা মজবুত হয়েছে। এই পরবর্তী তিন মাসের ধাপটি এক অর্থে আপনার জন্য একটি পরীক্ষা বা ট্রায়ালের মতো। এই পর্যায়টি আপনার ধৈর্য এবং সহনশীলতা পরীক্ষা করবে। তবে, এই পর্বে যদি উভয়েই বিশ্বাস করেন যে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে পারেন তবে তাঁরা একধাপ এগিয়ে যেতে পারেন। নইলে অবশ্য সম্পর্কে আর বেশিদূর না এগিয়ে সেখানেই ফুলস্টপ দেওয়াই উভয়ের পক্ষেই ভাল।