সপ্তাহান্তে দুবাইয়ের একটি অনুষ্ঠান তারকাখচিত হয়ে উঠল বলিউড সুপারস্টার সলমন খানের উজ্জ্বল উপস্থিতিতে। শুধু সলমনই নন, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেতার ভাগ্নি আলিজেহ অগ্নিহোত্রীও। আসলে সম্প্রতি বি-টাউনে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়েছে তাঁর। দুবাইয়ের অনুষ্ঠানে মূলত আলিজেহর এই অভিনয়ের হাতেখড়িরই উদযাপন হয়েছে। সেখানে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রমিসিং এন্ট্রির জন্য একটি পুরস্কারও পেয়েছেন নবাগতা অভিনেত্রী।
আরও পড়ুনঃ মাখোমাখো প্রেমের পর সুখবর দিলেন বনি-কৌশানী! কবে, কোথায় বিয়ে টলিপাড়ার হিট জুটির
এমনিতে বরাবরই নিজের পরিবারের সুরক্ষাই সলমনের জন্য শেষ কথা। বিশেষ করে নিজের বোন ভাগ্নে-ভাগ্নি এবং ভাইপো-ভাইঝিদের নিরাপত্তার দিকটা সব সময়ই মাথায় থাকে তাঁর। ফলে দুবাইয়ের ওই অনুষ্ঠানে পুরো সময়টাই ভাগ্নির আলিজেহর জন্য গলা ফাটিয়ে গিয়েছেন বলিউডের ভাইজান। এমনকী নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভাগ্নির সঙ্গে একটি ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, সলমন পরে রয়েছেন কালো শার্ট এবং নীল রঙা ব্লেজার। অন্য দিকে আলিজেহর পরনে ছিল কালো হল্টারনেক টপ এবং ট্রাউজার্স।
ওই অনুষ্ঠানের এক ক্যান্ডিড মুহূর্তে আলিজেহকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, “নিজের বিখ্যাত মামাকে নিয়ে বই লিখলে আপনি কী নাম বেছে নিতে চান?” মামাকে নিয়ে অভিনেত্রী কিছু বলার আগেই সলমন মজার ভঙ্গিতে বলে ওঠেন, “আমি কখনওই আমায় নিয়ে ওকে কোনও বই লিখতে দেব না।” আর অপ্রত্যাশিত ভাবে বলিউড সুপারস্টারের এহেন অকপট জবাব শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন ভক্তরা। এরপর সলমন আরও বলেন, “ও আমার বিষয়ে যা যা জানে…”
চলতি বছর CNN-News18 রাইজিং ভারত শীর্ষ সম্মেলনে আলিজেহ অগ্নিহোত্রী বলেছিলেন যে, যদি তিনি একজন অভিনেত্রী না হতেন, তাহলে তিনি একজন পরিচালক হতেন। সেই সময় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, মামা সলমন খানকে নিয়ে কি তিনি কোনও ছবি বানাতে চান! প্রশ্ন শুনে আলিজেহর সটান জবাব, “হ্যাঁ অবশ্যই।”
আলিজেহর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, সোহেল খান, আরবাজ খান এবং সলমন খানের মধ্যে তাঁর প্রিয় মামা কে! অভিনেত্রীর জবাব, “আলাদা আলাদা কাজের জন্য আমি আলাদা আলাদা মামুর কাছে যাই। যেমন – আমার যদি হাসতে ইচ্ছা করে, তাহলে আমি সোহেল মামুর কাছে যাব। খুবই মজা করতে থাকেন… আবার আরবাজ মামু পরামর্শ দেওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ। উনি খুব ভাল কথা বলেন আর আমার যখন পরামর্শ লাগে, তখন সেটা দারুণ ভাবে বোঝেন। এমনকী কিছু বলতেও হয় না। তিনি নিজেই ফোন করে নেন।”
সলমন খানের বিষয়ে আলিজেহ বলেন, “সলমন মামু, আমার আশপাশে থাকলে খুবই ভাল লাগে। কারণ উনি এটা সব সময় মনে করিয়ে দেবেন যে, মনের দিক থেকে তারুণ্য ধরে রাখা উচিত… মনের দিক থেকে উনি এখনও শিশুই। আর কিছুদিন তাঁর সঙ্গে থেকে তো আমার মনে হয়েছে আমি যেন আরও শিশু হয়ে গিয়েছি।”