দেশ Cyclone Remal Latest Update: হাতে সময় আর ৭২ ঘণ্টা! সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির প্রবল সম্ভাবনা, শঙ্কা চরমে, ল্যান্ডফলের স্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা Gallery May 20, 2024 Bangla Digital Desk ভোট পর্বের প্রথমার্ধে তাপপ্রবাহে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে গিয়েছিল। এবার শেষের দিকে দুর্যোগে লন্ডভন্ড হয়ে চলেছে বাংলা। ঝড়, বৃষ্টি, বজ্রপাতে ফালাফালা হচ্ছে দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আকাশ। উপরন্তু ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। (প্রতীকী ছবি) ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে বলে ২৩ মে থেকে মধ্য বঙ্গোপসাগরে, এবং ২৪ মে থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের প্রবেশ নিষেধ। ২৩-এর মধ্যে সমস্ত মৎস্যজীবীদের সাগর থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। (প্রতীকী ছবি) ভারতের মৌসম ভবন ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে নিশ্চিত খবর এখনও দেয়নি। তবে সম্প্রতি একটি আপডেট পাওয়া গিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যাবে, সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে কি হবে না। (প্রতীকী ছবি) আবহাওয়া দফতরের মতে, সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগেই বলা হয়েছিল, আগামী ২২ মে নিম্নচাপ বলয় তৈরি হতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে সেটি। (প্রতীকী ছবি) দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে, সেটি থেকেই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বিশ্বের একাধিক আবহাওয়াবিদ। সেখান থেকেই অনুমান, ২৪-২৫ মে-র মধ্যে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। (প্রতীকী ছবি) কিন্তু এবার প্রশ্ন হল, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে সেটার অভিমুখ এবং গতিপথ কোনদিকে হবে অথবা ল্যান্ডফল কোথায় হবে? পশ্চিমবঙ্গে তার প্রভাব পড়বে না কি ঘূর্ণিঝড় ঘুরে যাবে অন্যদিকে। (প্রতীকী ছবি) ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া-সহ বিভিন্ন বিশ্বের আবহাওয়া মডেল জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে মে মাসের শেষের দিকে। (প্রতীকী ছবি) বিশ্বের বিভিন্ন মডেলের মধ্যে রয়েছে আমেরিকার জিএফএস বা গ্লোবাল ফোরকাস্টিং সিস্টেম। এ ছাড়াও ইউরোপ ইউনিয়নের ecmwf। কেউ মনে করছে, অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। (প্রতীকী ছবি) কিছু মডেলে আবার ইঙ্গিত, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের বরিশালের মধ্যে এটির ল্যান্ডফল হতে পারে। এই নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলেই এখনএও নিশ্চিত করে ঘোষণা করেনি আবহাওয়া দফতর। (প্রতীকী ছবি) ঘূর্ণিঝড় হলে তার নাম হবে রি-মল। ওমানের দেওয়া এই নাম। আরবি ভাষায় রিমলের অর্থ বালি। নিম্নচাপ থেকে গভীর নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড় হলে তার অভিমুখ হতে পারে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে। এর প্রভাবে গতি পেতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। (প্রতীকী ছবি) আবহাওয়াবিদদের মতে, সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার জন্য একাধিক অনুকূল লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে। বেশ কিছু ঢেউয়ের দিকে নজর রাখছে হাওয়া অফিস। এ ছাড়াও সমুদ্রপৃষ্ঠে যে তাপমাত্রা, তা-ও ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূলে। (প্রতীকী ছবি) কিন্তু একইসঙ্গে আরও একটি তত্ত্ব বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের পথ আটকে দিতে পারে মৌসুমি বায়ু। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষার প্রবেশ ঘটেছে। বর্ষা-ই সাইক্লোনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। (প্রতীকী ছবি)