টাকা থেকেই টাকা করতে হয়। কোটিপতি হওয়ার এটাই ফর্মুলা। এমনটাই বলেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। এর মানে হল, সঞ্চয় নয়, সম্পদ বাড়াতে চাইলে বিনিয়োগ করতে হবে। সেদিক থেকে দেখলে, মোটা রিটার্নের জন্য মিউচুয়াল ফান্ড আদর্শ।মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা খুব সহজ। অনেক ধরনের বিকল্প রয়েছে। মাত্র ১০০ টাকা দিয়েই এসআইপি বিনিয়োগ শুরু করা যায়। শুধু প্রতি মাসে বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে মিচুয়াল ফান্ড জনপ্রিয় বিনিয়োগ মাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।২০২৩ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতীয়রা ১,৮৩,৭৪১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন এসআইপিতে। এই সংখ্যাটা প্রতি বছর বাড়ছে। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এসআইপির মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে সামান্য বিনিয়োগ থেকেও বড় রিটার্ন পাওয়া যায়।এখন ধরা যাক, ৩০ বছর বয়সী একজন ব্যক্তি প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকার এসআইপি করলেন। তাহলে অবসরের সময় তিনি কত টাকা রিটার্ন পাবেন? দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারী ৩০ বছর চাকরি করবেন। এখন তিনি যদি ৩০ বছর টানা বিনিয়োগ করেন, তাহলে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৮ লাখ টাকা। ১২ শতাংশ গড় রিটার্ন ধরলে তিনি সুদ থেকে পাবেন ১.৫৮ কোটি টাকা।এখন সুদ ও আসল মিলিয়ে তিনি হাতে পাবেন ১.৭৬ কোটি টাকা।এসআইপি বিনিয়োগের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। বিনিয়োগকারী তাঁর সুবিধা মতো মাসিক, ত্রৈমাসিক বা ৬ মাসে একবার বিনিয়োগ করতে পারেন। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে এসআইপি বন্ধ করা যায়। বা জরুরি পরিস্থিতিতে টাকা তুলে নেওয়াও যায়।রুপি কস্ট অ্যাভারেজের সুবিধা একমাত্র এসআইপি-তেই মেলে। অর্থাৎ বাজারের পতনের সময় বিনিয়োগ করলে আরও ইউনিট বরাদ্দ করা হবে। বাজার উঠলে বরাদ্দ করা ইউনিটের সংখ্যা কমবে। বাজারের ওঠানামার ক্ষেত্রেও গড় খরচ থাকে। অর্থাৎ বাজারের পতন হলেও ক্ষতি হবে না।এই পরিস্থিতিতে বাজার উঠলে বিনিয়োগ থেকে ভাল রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়। পাশাপাশি এতে চক্রবৃদ্ধির সুবিধাও মেলে। শুধু বিনিয়োগের পরিমাণের উপর রিটার্ন নয়, রিটার্নেরও রিটার্ন পাওয়া যায়।