শুভেন্দু অধিকারী

Suvendu Adhikari: শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে পুলিশি তল্লাশি মামলা! তদন্ত স্থগিতের নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহা’র

কলকাতা: কোলাঘাটে শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে পুলিশের তল্লাশি মামলায় কোলাঘাট থানাকে তল্লাশি তদন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁর নির্দেশে জানিয়েছেন আগামী ১৭ জুন পর্যন্ত FIR এর উপর কোনও পদক্ষেপ নয় পুলিশের। মামলার পরবর্তি শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১১ জুন।

এদিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফে সওয়াল করে বলা হয়, ‘১ এপ্রিল ২০২২ লিজ চুক্তি অনুযায়ী ওই অফিসের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই শুভেন্দু অধিকারীর। লিজ চুক্তি অনুযায়ী ওখানে গড়াই পরিবারের সঙ্গে দাস পরিবারের চুক্তি হয়েছে।’

মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার মন্তব্য, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অফিসে পৌঁছে গেল কেন পুলিশ? কার অফিস? কে থাকে? টাকা আছে কিনা তার অনুসন্ধান না করেই পুলিশ পৌঁছে গেল তল্লাশি করতে? রাজ্যে কতগুলো ঘটনায় পুলিশ এভাবে পৌঁছে যায় তল্লাশিতে?’

আরও পড়ুন: আর মাত্র কিছুক্ষণ…! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি-দমকা হাওয়ার তাণ্ডব দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায়! কী হবে কলকাতায়? সতর্ক করল আলিপুর

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর তরফে সওয়াল করে বলা হয়, ‘২০শে মে সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই কোলাঘাটের অফিসে তথা অস্থায়ী বাড়িতে পুলিশ হাজির হয়। স্বতঃপ্রণোদিত FIR দায়ের করে পুলিশ।’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল যে ওই অফিসে বোমা অস্ত্র এবং নগদ টাকা মজুত করা হয়েছিল। যদিও ওই অফিস থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি।’

যদিও পুলিশের দাবি, তারা বিকাল ৫ টা নাগাদ অভিযোগ পায়। তারপর ফ্লাইং স্কোয়াড ডাকা হয়। বিকাল ৬:২৫ শে তল্লাশি শুরু হয়। রাত ১২ টার পর FIR রুজু হয়। যদিও কোনও ফ্লাইং স্কোয়াড ঘটনাস্থলে আসেনি বলেই দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।

রাজ্যের পক্ষ থেকে সওয়াল করে বলা হয়, ‘এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারী অভিযুক্ত বা সাক্ষী নন। যে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে সেটি শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি নয়। জনৈক সুরজিৎ দাস নামক ব্যক্তির সম্পত্তি। অভিযোগ আসলে পুলিশ কি সেটা খতিয়ে দেখবে না?’

রাজ্যের তরফে এও দাবি করা হয়, ‘পুলিশকে কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি ঘর তালাবন্ধ ছিল। পুলিশ সেখানে ঢুকতে না পেরে ফেরত চলে এসেছে। এটা যে তার বাড়ি বা পার্টি অফিস সেই নথি কোথায়? – প্রশ্ন রাজ্যের। কাল তো শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের যে কোনও বাড়িকেই তাঁর বাড়ি বলে দাবি করতে পারেন।’ এক্ষেত্রে পুলিশকে কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে, তাই পুলিশের পক্ষে কিছু বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়নি বলেও দাবি রাজ্যের।