আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে গাছের গুরুত্ব অনেক। বেশ কিছু গাছপালা ঔষধি গুণে ভরপুর। যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। জাম তেমনই একটি গাছ। জাম গাছের ফল, পাতা ও বীজ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা ব্যবহার করে শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।অমিত বর্মা (এমডি মেডিসিন) বলেন, জামের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি, ডায়েটারি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্থোসায়ানিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফোলেট, জিঙ্ক এবং আয়রন প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। যা অনেক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।কিডনিতে পাথরের সমস্যা হলে সকালে খালি পেটে পাকা জাম খেলে পাথর গলতে সাহায্য করে। এছাড়াও ১০ মিলি জামের রসে ২৫০ মিলিগ্রাম রক সল্ট মেশান। এটি দিনে দু’তিন বার কয়েকদিন খেলে মূত্রাশয়ের পাথর ভেঙে বেরিয়ে আসে।স্থূলতার সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জাম খাওয়া উচিত। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। মেদ কমাতে চাইলে জাম দারুণ ফল। এটি খেলে শরীরের চর্বি গলে যায়। ফাইবার সমৃদ্ধ জাম অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বাঁচায়।জাম দাঁত ও মুখের আলসারের সমস্যায় উপকারী। জাম গাছের পাতা থেকে ছাঁই তৈরি করে তা দাঁত ও মাড়িতে ঘষলে তা মজবুত হয়। পাকা জামের রস দিয়ে ভাল করে গার্গল করুন। এটি পায়োরিয়া নিরাময় করে। এছাড়াও জাম গাছের পাতার রস দিয়ে গার্গল করলে মুখের আলসারে উপকার পাওয়া যায়।ডায়াবেটিস এবং ত্বকের সমস্যা থাকলে নিয়মিত জাম খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে, যা ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান এবং শুষ্কতা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এর জুসও পান করতে পারেন। এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীরা জামের বীজ গুঁড়ো করে সকালে খালি পেটে জলের সঙ্গে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
