আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষ ২৫ বছর পর তিথির ক্ষয় দিয়ে শুরু হবে। তিথির ক্ষয় মানে পাক্ষিকের দিন কমে যাবে, মানে এবার ১৫ দিনের পাক্ষিক ১৩ দিনে পূর্ণ হবে। আগামী মাসের দ্বিতীয় পাক্ষিক, যা ২৩ জুন থেকে শুরু হবে, তা হবে মাত্র ১৩ দিনের।পণ্ডিত ঘনশ্যাম শর্মার মতে, এবার দ্বিতীয়া ও চতুর্থী তিথি কমছে। তিনি বলেন, ১০০ বছরে এমনটি ৪ বার ঘটেছে যখন পাক্ষিক ১৫-এর পরিবর্তে ১৩ দিনের ছিল।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, ১৩ দিনের পাক্ষিককে দুর্যোগকাল বলা হয়। আগামী সপ্তাহে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। যখনই ১৩ দিনের একটি পাক্ষিক হয়েছে, ভূমিকম্প সহ অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। একই ধরনের কাকতালীয় ঘটনা ঘটেছিল ১৯৩৭ সালে যখন একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। এরপর ১৯৬২ সালে ভারত-চীন যুদ্ধ এবং ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধ হয়। ১৩ দিন ধরে এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে। এবারও দুর্ভাগ্যের সম্ভাবনা জ্যোতিষীরা প্রকাশ করছেন।
১৩ দিনের পাক্ষিক ছাড়াও এবার হিন্দু বছরের রাজা মঙ্গল এবং এ বছর শনিদেবের প্রভাবে রয়েছে। উভয়ই উগ্র গ্রহ, যার প্রভাব সাধারণ মানুষের উপর সরাসরি দেখা যায়। যখনই ১৩ দিনের একটি পাক্ষিক থাকে, কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। পাক্ষিক শুরুর কয়েকদিন আগে এর প্রভাব দৃশ্যমান হয়।
আরও পড়ুন-আয়রনের খনি! এই ৫ দানাই পুষ্টির পাওয়ার হাউজ, এভাবে খেলেই বুড়ো বয়সেও লোহার মতো মজবুত থাকবে হাড়
পণ্ডিত শর্মা বলেছেন যে, সাধারণত প্রতি মাসে দুটি পক্ষ থাকে । প্রতিপক্ষে ১৫টি তিথি আছে, কিন্তু কখনও কখনও ঐশ্বরিক সংমিশ্রণে, গাণিতিক প্রক্রিয়ার কারণে তিথির ক্ষয় হওয়ার কারণে তারিখটি ১৩ থেকে যায়। এই বছর, সূর্য ও চন্দ্র গ্রহের গতিবিধির কারণে, ১৩ দিনের পাক্ষিকের কাকতালীয় ঘটনা রয়েছে। বেদে লেখা আছে বহু যুগ এবং হাজার হাজার দেবতা। পৃথিবী প্রতিনিয়ত ভেঙে পড়ছে। এর অর্থ হল দেব যোগের কারণে অনেক যুগে তেরো দিনের অনুগ্রহ রয়েছে। এই সংমিশ্রণে জনগণকে ক্ষতি, রোগ, মূল্যস্ফীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সংঘাতের সম্মুখীন হতে পারে।