অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

‘নানা চক্রান্ত হতে পারে…’, সতর্কবাণীতে কীসের ইশারা? এক্সিট পোল নিয়ে দলকে ২০১৪ স্মরণ করালেন অভিষেক

কলকাতা : ৪ঠা জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা। আর সেই দিনের কথা মাথায় রেখেই চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে সব রাজনৈতিক দলের অন্দরেই। রবিবারই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একপ্রস্থ জরুরি বৈঠক করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে দিলেন বিশেষ বার্তা। বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে অভিষেক এদিন বলেন, “এক্সিট পোলে গুরুত্ব দেবেন না৷ এই ফল ২০১৪ সালের মতো হবে।”

রবিবার বিকেল পাঁচটার গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে অভিষেক গণনার দিন কোন কেন্দ্রে দায়িত্বে কারা থাকবেন তাও চূড়ান্ত করে দেন। এদিনের  বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের তাবড় নেতা-নেত্রী ও নীতি নির্ধারকরাও।

আরও পড়ুন:ঝমঝমিয়ে আসছে…! সোম থেকে শুক্র ভারী-থেকে অতিভারী বৃষ্টি কোন কোন জেলায়? কী হবে উত্তর থেকে দক্ষিণ? আলিপুর দিল বিরাট আপডেট

বৈঠকে এক এক করে গণনার দিনের দলীয় স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করে দিলেন খোদ অভিষেক। গণনার বিশেষ দিনে কারা, কোথায়, কী ভাবে গোটা গণনা কর্মকাণ্ড নজরে রাখবেন দলীয় তরফে সে দিকে নজর রেখেই দিলেন একের পর এক নির্দেশ। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ক্যাম্পে চার থেকে পাঁচ হাজার লোক রাখার বন্দোবস্ত করছে দল। তাঁদের জন্য দেওয়া হয়েছে বড় নির্দেশনামা।

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে অভিষেকের পরামর্শ তথা নির্দেশ, “কাউন্টিং শেষ না হওয়া অবধি কেউ যেন না বেরোন। ১৭সি ও ভিভিপ্যাট মেলাতে হবে প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে। বিরোধীরা হয়ত প্রথমে এগিয়ে গেল, তার মানে বেরিয়ে আসব এটা হবে না।

একাধিক কেন্দ্রে কারা কারা পেলেন বিশেষ দায়িত্ব –
১) ঘাটাল – মানস ভুইয়া আর অজিত মাইতি
২) মেদিনীপুর – জয়প্রকাশ মজুমদার
৩) আরামবাগ – শান্তনু সেন
৪) হুগলি – ইন্দ্রনীল সেন
৫) তমলুক – রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
৬) কাঁথি – উত্তম বারিক
৭) কোচবিহার – অভিজিৎ দে ভৌমিক ও উদয়ন গুহ
৮) আলিপুরদুয়ার – গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা
৯) জলপাইগুড়ি – মহুয়া গোপ ও চন্দন ভৌমিক

দলীয় তরফে কাউন্টিং অবজারভার এবং এজেন্টদের জন্য আরও বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, “কাউন্টিং অবজারভার নিয়োগ হবে। সোমবারই পৌঁছে যেতে হবে তাঁদের। কাউন্টিং এজেন্টদের কলকাতায় ডেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কোনও টেবিলের গণনায় তৃণমূল পিছিয়ে থাকতে পারে। তাতে মনোবল হারাবেন না। শেষ ইভিএম গণনা না হওয়া পর্যন্ত ময়দান ছাড়বেন না।যেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, সেখানে বাড়তি নজর দেবেন।
নানা চক্রান্ত হতে পারে, কোনও প্ররোচনায় পা নয়।”