Tag Archives: Lok Sabha Elections Results 2024

Modi Swearing In: ৯ জুন, সন্ধে ৭টা ১৫ মিনিট! তৃতীয়বার সরকার গঠনে শপথগ্রহণ মোদির, তোড়জোড় শুরু

নয়াদিল্লি : রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের দাবি জানালেন নরেদ্র মোদি। এর আগে শুক্রবার সকালেই সংসদের সেন্ট্রাল হলে এনডিএ সংসদীয় বৈঠকে ভাষণ দিয়েছেন মোদি। সর্বসম্মতিক্রমে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হন তিনি। এরপরেই জোটের নেতা হিসাবে প্রধানমন্ত্রীত্বের দাবি জানাতে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছন মোদি।

রাষ্ট্রপতি ভবনের এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, আগামী ৯ জুন, ২০২৪ তারিখে সন্ধ্যা ৭.১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের দফতরের দায়িত্বভার গ্রহণ ও নিরপেক্ষতার শপথ পাঠ করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

এনডিএ-র এদিনের বৈঠক শুরু থেকেই মোদির পাশে দেখা যায় দুই গুরুত্বপূর্ণ জোট শরিককে। উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমার। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপির প্রবীণ নেতা রাজনাথ সিং লোকসভায় বিজেপি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নাম প্রস্তাব করেন। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন বিজেপি নেতা অমিত শাহও।

রাষ্ট্রপতির সাক্ষাতের পর মোদি তাঁর ভাষণে জানান আগামী দিনে নিজের লক্ষ্যে অটল থেকে দেশসেবায় নিয়োজিত হতে চান তিনি। আগামী ৯ জুন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আবেদন জানিয়েছেন বলেও জানান মোদি। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশের বিশ্ব নেতাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র। সবমিলিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে সরকার গঠনের বড় প্রস্তুতি।

Basirhat Lok Sabha Results Update: সন্দেশখালিও ঘাসফুলের পাশে…, বসিরহাটে রেকর্ড ভোটে এগিয়ে TMC! গণনা কেন্দ্র ছাড়তে ছাড়তে কী বললেন রেখা পাত্র?

কলকাতা: সন্দেশখালি। গত জানুয়ারি মাস থেকে বাংলা তথা দেশের শিরোনামে উঠে আসে বাংলার এই অঞ্চল। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে শাহজাহান শেখ-খ্যাত উত্তর ২৪ পরগণার এই অঞ্চলই বাংলার ফলাফলে হয়ে উঠেছে বড় ফ্যাক্টর। এবার ফলাফলেও এল চমক।

ট্রেন্ড অনুযায়ী বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে ৬ রাউন্ডের শেষে ১,৫৪,৬১৯ ভোটে এগিয়ে হাজি নুরুল ইসলাম। তৃণমূল প্রার্থীর এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত নম্বর ২৭৭৮১৫। বিজেপির রেখা পাত্রের এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোট ১২৩১৯৬। কার্যত মুছড়ে পরেই কী ভোটকেন্দ্র ছাড়লেন রেখা পাত্র? শুনুন কী বললেন।

বসিরহাট লোকসভা আসনের অন্তর্গত সন্দেশখালি কাণ্ডের পর বসিরহাটের প্রার্থী কারা হবেন, তা নিয়েও প্রথম থেকেই চর্চা ছিল। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় দেখা যায় বসিরহাট কেন্দ্রে হাজি নুরুল ইসলামকে লড়াইয়ে নামিয়েছে তৃণমূল। সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম মুখ রেখা পাত্রকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের উপরই ভরসা রেখেছেন বামেরা। মঙ্গলবার সকালে ভোট গণনার পর থেকেই বসিরহাট কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা।

BJP Bengal: গণনায় কারচুপি হতে পারে, নির্বাচন কমিশনের কাছে আগাম আশঙ্কা প্রকাশ বিজেপির

কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের গণনা এবং ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করল বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে আগামী ৪ সপ্তাহ যাতে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকে। গণনায় ‘ক্যাজুয়াল’ কর্মী নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে।

গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়, “রিটার্নিং অফিসাররা মানছেন না যে ক্যাজুয়াল স্টাফদের নিয়ে কাউন্টিং করানো যাবে না। প্রায় সব লোকসভা কেন্দ্রেই আছে এই ধরনের উদাহরণ। এই চিটিং না করলে শাসকদল জিতবে না। যাদের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত ভোটে অভিযোগ আছে তাদেরকেও গণনার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। আইপ্যাকদের দ্বারা এই কাজ করা হচ্ছে। কোন পুলিশ কর্মী কি ভাবে কাজ করছে সব তথ্য আসছে আমাদের কাছে। সাদা পোশাকে পুলিশ কর্মী মঙ্গলবার ঢোকানো হবে।”

একইসঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়, “ডায়মন্ড হারবারে ৩৫০টিরও বেশি বুথে পুনর্নির্বাচন চাইলাম। দিল না। বারাসতে যে বুথে ভোট হচ্ছে সেখানে যে পোলিং অফিসার আছেন তাঁর কোনও আইডি কার্ড নেই। রিটার্নিং অফিসাররা সতর্ক হয়ে যান। আপনারা কতদিন এইভাবে কাজ করবেন? সব টিম কি একই থাকবে?”

একইসঙ্গে বিজেপির তরফে নির্বাচন কমিশনে সিইও-র সঙ্গে বৈঠকে প্রশ্ন তোলা হয়, “ওরা আপ্রাণ চেষ্টা করবে কাউন্টিং-এর সময় কারচুপি করতে। কিন্তু আমরাও দেখে নেব। যদি পুলিশ সিভিল ড্রেসে ঢোকে তাহলে কী করবেন?”

Lok Sabha Election 2024: পাঁচ বছরে কতটা বদলাবে ব্যবধান? মিলবে এক্সিট পোল? একনজরে ১৯-এর পরিসংখ্যান

শনিবারই শেষ হল দেশের সাত দফার লোকসভা ভোট। ফল ঘোষণা আগামী ৪ জুন। কিন্তু সপ্তম দফার ভোট গ্রহণের পরই প্রায় সবকটি বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই দেখানো হয়েছে, তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি।  এক্সিট পোলের হিসাব নিয়ে নানা মত নানা রাজনৈতিক দলের। এবার দেখে নিন একনজরে, ২০১৯ সালে কে কত ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল।

নির্বাচন রেজাল্ট ২০২৪, লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের জয়ের ব্যবধান

 কোচবিহার

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান-  ৫৪,২৩১

 আলিপুরদুয়ার

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ২,৪৩,৯৮৯

জলপাইগুড়ি

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ১,৮৪,০০৪

দার্জিলিং

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ৪,১৩,৪৪৩

 রায়গঞ্জ

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ৬০,৫৭৪

বালুরঘাট

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ৩৩,২৯৩

মালদহ  উত্তর

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ৮৪,২৮৮

মালদহ  দক্ষিণ

জয়ী- কংগ্রেস

ব্যবধান – ৮,২২২

জঙ্গিপুর

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ২,৪৫,৭৮২

বহরমপুর

জয়ী- কংগ্রেস

ব্যবধান – ৮০,৬৯৬

মুর্শিদাবাদ

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ২,২৬,৪১৭

কৃষ্ণনগর

জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ৬৩,২১৮

রানাঘাট

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ২,৩৩,৪২৮

 বনগাঁ

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ১,১১,৫৯৪

ব্যারাকপুর

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ১৪,৮৫৭

দমদম

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ৫৩,০০২

বারাসত

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ১,০৯,৯৮৩

বসিরহাট

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ৩,৫০,৩৬৯

জয়নগর

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ৩,১৬,৭৭৫

মথুরাপুর

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ২,০৩,৯৭৪

 ডায়মন্ডহারবার

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ৩,২০,৫৯৪

যাদবপুর

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ২,৯৫,২৩৯

কলকাতা দক্ষিণ

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ১,৫৫,১৯২

কলকাতা উত্তর

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ১,২৭,০৫৯

হাওড়া

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ১,০৩,৬৯৫

উলুবেড়িয়া

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ২,১৫,৩৫৯

শ্রীরামপুর

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ৯৮,৫৩৬

হুগলি

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ৭৩,৩৬২

আরামবাগ

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ১,১৪২

তমলুক

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ১,৯০,১৬৫

কাঁথি

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ১,১১,৬৬৮

ঘাটাল

জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ১,০৭,৯৭৩

 ঝাড়গ্রাম

জয়ী বিজেপি

ব্যবধান – ১১,৭৬৭

মেদিনীপুর

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ৮৮,৯৫২

পুরুলিয়া

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান -২,০৪,৭৩২

 বাঁকুড়া

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ১,৭৪,৩৩৩

 বিষ্ণুপুর

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ৭৮,০৪৭

বর্ধমান পূর্ব

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ৮৯,৩১১

বর্ধমান দুর্গাপুর

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ২,৪৩৯

আসানসোল

জয়ী- বিজেপি

ব্যবধান – ১,৯৭,৬৩৭

বোলপুর

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ১,০৬,৪০২

বীরভূম

জয়ী- তৃণমূল কংগ্রেস

ব্যবধান – ৮৮,৯৪২

‘নানা চক্রান্ত হতে পারে…’, সতর্কবাণীতে কীসের ইশারা? এক্সিট পোল নিয়ে দলকে ২০১৪ স্মরণ করালেন অভিষেক

কলকাতা : ৪ঠা জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা। আর সেই দিনের কথা মাথায় রেখেই চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে সব রাজনৈতিক দলের অন্দরেই। রবিবারই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে একপ্রস্থ জরুরি বৈঠক করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলকে দিলেন বিশেষ বার্তা। বুথফেরত সমীক্ষা নিয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে অভিষেক এদিন বলেন, “এক্সিট পোলে গুরুত্ব দেবেন না৷ এই ফল ২০১৪ সালের মতো হবে।”

রবিবার বিকেল পাঁচটার গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে অভিষেক গণনার দিন কোন কেন্দ্রে দায়িত্বে কারা থাকবেন তাও চূড়ান্ত করে দেন। এদিনের  বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের তাবড় নেতা-নেত্রী ও নীতি নির্ধারকরাও।

আরও পড়ুন:ঝমঝমিয়ে আসছে…! সোম থেকে শুক্র ভারী-থেকে অতিভারী বৃষ্টি কোন কোন জেলায়? কী হবে উত্তর থেকে দক্ষিণ? আলিপুর দিল বিরাট আপডেট

বৈঠকে এক এক করে গণনার দিনের দলীয় স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ করে দিলেন খোদ অভিষেক। গণনার বিশেষ দিনে কারা, কোথায়, কী ভাবে গোটা গণনা কর্মকাণ্ড নজরে রাখবেন দলীয় তরফে সে দিকে নজর রেখেই দিলেন একের পর এক নির্দেশ। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ক্যাম্পে চার থেকে পাঁচ হাজার লোক রাখার বন্দোবস্ত করছে দল। তাঁদের জন্য দেওয়া হয়েছে বড় নির্দেশনামা।

দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে অভিষেকের পরামর্শ তথা নির্দেশ, “কাউন্টিং শেষ না হওয়া অবধি কেউ যেন না বেরোন। ১৭সি ও ভিভিপ্যাট মেলাতে হবে প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে। বিরোধীরা হয়ত প্রথমে এগিয়ে গেল, তার মানে বেরিয়ে আসব এটা হবে না।

একাধিক কেন্দ্রে কারা কারা পেলেন বিশেষ দায়িত্ব –
১) ঘাটাল – মানস ভুইয়া আর অজিত মাইতি
২) মেদিনীপুর – জয়প্রকাশ মজুমদার
৩) আরামবাগ – শান্তনু সেন
৪) হুগলি – ইন্দ্রনীল সেন
৫) তমলুক – রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
৬) কাঁথি – উত্তম বারিক
৭) কোচবিহার – অভিজিৎ দে ভৌমিক ও উদয়ন গুহ
৮) আলিপুরদুয়ার – গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা
৯) জলপাইগুড়ি – মহুয়া গোপ ও চন্দন ভৌমিক

দলীয় তরফে কাউন্টিং অবজারভার এবং এজেন্টদের জন্য আরও বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বলেন, “কাউন্টিং অবজারভার নিয়োগ হবে। সোমবারই পৌঁছে যেতে হবে তাঁদের। কাউন্টিং এজেন্টদের কলকাতায় ডেকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কোনও টেবিলের গণনায় তৃণমূল পিছিয়ে থাকতে পারে। তাতে মনোবল হারাবেন না। শেষ ইভিএম গণনা না হওয়া পর্যন্ত ময়দান ছাড়বেন না।যেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, সেখানে বাড়তি নজর দেবেন।
নানা চক্রান্ত হতে পারে, কোনও প্ররোচনায় পা নয়।”

Lok Sabha Elections 2024: ভোটের আগের দিনই অশান্তি! বহরমপুরের সরকারি আবাসনে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ অধীর চৌধুরীর

দক্ষিণবঙ্গ: ভোটের আগের দিনই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বহরমপুর। বহরমপুরের এক সরকারি আবাসনে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তুললেন অধীর চৌধুরী। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মহিলাদের শ্লীলতাহানি  করা হয় বলেও অভিযোগ। শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। ঘটনাস্থলে বহরমপুর থানার পুলিশ আসলে পুলিশের অধীর চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়ায় ব্যাপক উত্তেজনা।

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ চতুর্থ দফা লাইভ

অবিলম্বে অভিযুক্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে সমর্থন করার জন্য মহিলাদের তৃণমূলে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। সন্দেশখালিতে মা বোনেরাই তৃণমূলের হার্মাদকে জব্দ করেছিল। এখানেও মহিলাদেরকেই তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীকে জব্দ করতে হবে। আমি প্রত্যেকের সঙ্গে থাকব। বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারী রাজ সাহা বলেন, ‘‘কোনও রাজনৈতিক দল এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে কি না, আমাদের জানা নেই। তবে যে বা যাঁরা জড়িত রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’’

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের চতুর্থ দফা শুরু! মহুয়া অধীর দিলীপ…! আজ ভোটে হেভিওয়েট প্রার্থী আর কে কে? তালিকার বড় ‘মুখ’ যাঁরা

রবিবার দুপুরেই ওই সরকারি আবাসনে যান পুরপিতা নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিন অধীর চৌধুরীকে পাল্টা আক্রমণ করে নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন তৃণমূলের কোনও কর্মী এই ঘটনায় জড়িত নেই। নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে অধীর চৌধুরী নোংরা রাজনীতির পথ অবলম্বন করছেন। যে বা যারা এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভোটের আগের দিনই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বহরমপুর। বহরমপুরের এক সরকারি আবাসনে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তুললেন অধীর চৌধুরী। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মহিলাদের শ্লীলতাহানি  করা হয় বলেও অভিযোগ। শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন কংগ্রেস প্রার্থী  অধীর চৌধুরী।

আরও পড়ুন: ‘লুটতে ব্যস্ত তৃণমূল!,’ দুর্নীতি নিয়ে তুমুল তুলোধনা…বিনামূল্যে বিদ্যুৎ নিয়েও বড় প্রতিশ্রুতি মোদির

ঘটনাস্থলে বহরমপুর থানার পুলিশ আসলে পুলিশের অধীর চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। অবিলম্বে অভিযুক্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে সমর্থন করার জন্য মহিলাদের তৃণমূলের হেনস্থার শিকার হতে হয়েছ। সন্দেশখালিতে মা বোনেরাই তৃণমূলের হার্মাদকে জব্দ করেছিল। এখানেও মহিলাদেরকেই তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীকে জব্দ করতে হবে। আমি প্রত্যেকের সঙ্গে থাকব।’’

Lok Sabha Election 2024: ভোটের আগে বন্ধুত্বের অঙ্গীকার পুলিশের, নাকা তল্লাশিতে অহেতুক আতঙ্ক নয়

পশ্চিম বর্ধমান: জোর কদমে প্রচার চলছে অষ্টাদশ লোকসভার নির্বাচনের। ময়দানে নেমে পড়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। লাগু হয়েছে আদর্শ আচরন বিধি। গোটা দেশজুড়ে নিরাপত্তায় বিশেষ নজর। দিকে দিকে চলছে নাকা চেকিং। রাস্তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। রাজ্যের সীমান্ত এলাকা থেকে শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় অথবা গ্রামীণ রাস্তা, সব জায়গাতেই শুরু হয়েছেন নাকা চেকিং। নির্বাচনের আগে এটা অবশ্যই চেনা ছবি।

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ | Lok Sabha Election 2024 West Bengal

তবে নাকা চেকিং সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রায় সময়‌ই ভয় কাজ করে। অনেকেই আবার অভিযোগ করেন, পুলিশের ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ মনোভাব নিয়ে। কিন্তু নির্বাচনের আগে এই জায়গার নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়ছে অন্য ছবি। যেখানে নাকা চেকিং সম্পর্কে মানুষের ভয় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুলিশ কর্মীরা। নাকা চলাকালীন ‘সাধু ব্যবহারের’ দিকেই নজর পুলিশ কর্মীদের। গাড়ি চালক বা গাড়ির কোনও যাত্রী, অথবা বাইক চালককে তল্লাশি চালানোর সময় অহেতুক বিবাদ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে যাত্রীরা কেউ ভয় না পান সেদিকে নজর রেখেছেন পুলিশকর্মীরা।

আর‌ও পড়ুন: প্রার্থী নয়, তবুও ভোটারদের বুথে আনতে চান ওঁরা! শহরজুড়ে পথ নাটকে বার্তা

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কন্ট্রোল রুমের নির্দিষ্ট নির্দেশের ভিত্তিতেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন জায়গায় চালানো হচ্ছে তল্লাশি। কখনও গ্রামীণ রাস্তায়, কখনও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে চলছে তল্লাশি। সকাল, দুপুর অথবা রাত- দিনের বিভিন্ন সময়ে চলছে নাকা চেকিং। তীব্র গরমেও নিজেদের কর্তব্য পালন করছেন পুলিশ কর্মীরা। মূলত নির্বাচনের আগে নিরাপত্তায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে তার জন্যই বিশেষ নজরদারি চলছে। তারই মধ্যে এবার অতিরিক্ত নজর দেওয়া হয়েছে পুলিশ কর্মীদের বন্ধুবৎসল ব্যবহারের উপর। আর তাতে খুশি সাধারণ মানুষ।

নয়ন ঘোষ