জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে মোট নয়টি গ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে রাহু গ্রহ ব্যক্তিকে শুভ ও অশুভ ফল দেয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রাহু গ্রহকে অশুভ বলে মনে করা হয়। রাহু গ্রহের মহাদশা চলতে থাকলে ব্যক্তির উপর এর অনেক খারাপ প্রভাব পড়ে। রাহুর মহাদশা ১৮ বছর স্থায়ী হয়। এতে এই গ্রহ ব্যক্তিকে মিথ্যা বলা, বুদ্ধি কলুষিত করা, জীবনে ক্রমাগত ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া প্রভৃতি নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।রাহু গ্রহের মহাদশা চলতে থাকলে ব্যক্তি ধ্বংসের দিকে চলে যায়। রাহু যদি কোন ব্যক্তির কুণ্ডলীতে শুভ ফল দেয় তবে ব্যক্তিটি বিদেশ ভ্রমণ, ধন-সম্পদ ইত্যাদি লাভ করে, কিন্তু রাহু যদি অশুভ ফল দেয় তবে ব্যক্তিটি নষ্ট হয়ে যায়৷হরিদ্বারের বিখ্যাত জ্যোতিষী এবং শাস্ত্র বিশেষজ্ঞ পণ্ডিত শ্রীধর শাস্ত্রীর বলেন যে রাহুর মহাদশা ১৮ বছর স্থায়ী হয়। রাহুর স্থান ব্যক্তির বুদ্ধির উপর থাকে। মহাদশার কারণে রাহু ব্যক্তির বুদ্ধিকে বিভ্রান্ত করে। যার কারণে মানুষ মিথ্যে বলে, কারোর সঙ্গে ভাল কথা বলে না, ভাল কথাও খারাপ মনে হয়, এখানে-সেখানে বৃথা ঘুরে বেড়ায়, মনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকে, ঘরে অশান্তি হয় ইত্যাদি সবই তার সঙ্গে ঘটতে থাকে।এছাড়াও রাহু যখন বুদ্ধিকে বিভ্রান্ত করে, তখন ব্যক্তির সঙ্গে মারামারি, আদালতে মামলা ইত্যাদির উচ্চ সম্ভাবনা থাকে। এই অবস্থায় রাহু গ্রহের শান্তির জন্য একজন ব্যক্তির হবন যজ্ঞ, মন্ত্র জপ ইত্যাদি করা উচিত।জ্যোতিষী পন্ডিত শ্রীধর শাস্ত্রী বলেছেন যে বুধবার রাহুর বীজ মন্ত্র জপ করা উচিত। এছাড়াও, রাহুর বীজ মন্ত্র জপ করার সময়, একটি নীল রঙের কাপড় গঙ্গায় ভাসিয়ে দিন। এটি করলে রাহু গ্রহের মহাদশাতেও শান্তি মিলবে। একইভাবে গঙ্গায় নারকেল ভাসিয়ে দিলে মহাদশায়ও একই প্রভাব পড়ে।তিনি বলেন, কালো গরু ও কালো কুকুরকে মিষ্টি বা অন্যান্য খাবার খাওয়ালে রাহু গ্রহ শান্ত হয়। জ্যোতিষী পন্ডিত শ্রীধর শাস্ত্রী বলেছেন যে রাহু গ্রহের শান্তির জন্য, শাস্ত্রে জ্ঞানী একজন পণ্ডিত বা নিজের রাহুর বীজ মন্ত্রের সঙ্গে দশাংশ হবন করা উচিত। হবন করার সময় রাহুর বীজ মন্ত্র ১৮ হাজার বার জপ করলে শান্তি আসে।প্রতিদিন রাহুর বৈদিক মন্ত্র জপ করতে হবে। রাহুর মহাদশার সময় বাজরা, শস্য এবং সাত ধরনের শস্য কোনও অভাবী দরিদ্র বা ভিক্ষুককে দান করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
