আজকাল সকলেরই কাজের ব্যস্ততা তুঙ্গে। এই ব্যস্ততার মধ্যে রোজ-রোজ দোকান-বাজার করাও সম্ভব হয় না। সেই কারণে বেশিরভাগ মানুষই সারা সপ্তাহের সবজি-মাছ কিনে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। পরে সেগুলি প্রয়োজন অনুযায়ী ফ্রিজ থেকে বার করে রান্না করে নেন। ফ্রিজে থাকলে খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয় না, এটাই বিশ্বাস করি আমরা।
কিন্তু আদৌ কি তা-ই? সব খাবারের ক্ষেত্রে এটা খাটে না। কারণ এমন কিছু সবজি এবং খাবার রয়েছে, যা ফ্রিজে রেখে খেলে স্বাস্থ্যের পক্ষে চরম ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে, ডেকে আনতে পারে মারাত্মক বিপদ। কোন কোন খাবার ভুলেও ফ্রিজে রেখে খাবেন না?বিশেষজ্ঞদের মতে, আদা, রসুন, পেঁয়াজ এবং ভাত ফ্রিজে কখনওই রাখা উচিত নয়। অনেকটা সময় সেগুলি ফ্রিজে রাখলে ঠান্ডার কারণে এর স্বাদ বদলে যায় এবং তা ভিতর থেকে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে।ডায়েটিশিয়ান ডা. আশা সিং জানান, যাতে খাদ্যদ্রব্য নষ্ট না হয়ে যায়, তার জন্যই সেগুলিকে ফ্রিজে রাখা হয়। কিন্তু এমন অনেক জিনিস আছে, যা ফ্রিজে রেখে খেলে চরম সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে। আসলে ওই সব খাবারে বিষাক্ত উপাদান থাকে যার কারণে স্বাস্থ্যের বড় ক্ষতি হয়ে যায়।কোন খাবার ফ্রিজে রাখবেন না? তালিকায় প্রথমেই আসবে আলু। এই সবজি ফ্রিজে রাখলে তার মধ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক তৈরি হয়। এই রাসায়নিকটির নাম অ্যাক্রিলামাইড যা বেশ ক্ষতিকর। তাই আলু কখনওই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।রসুনও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। কারণ ফ্রিজে রসুন রাখলে তাতে ছত্রাক জন্মাতে পারে। সেই কারণে রান্নায় ব্যবহার করার ঠিক আগেই রসুন কেটে নেওয়া উচিত।এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। কারণ পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখলে এতে উপস্থিত স্টার্চ চিনিতে পরিণত হয়। সেই কারণে ফ্রিজে রাখা পেঁয়াজে ছত্রাক জন্মানোর ঝুঁকিও বেড়ে যায়।এখানেই শেষ নয়, পেঁয়াজ এবং রসুনের মতো আদাও ফ্রিজে রাখা চলবে না। কারণ ফ্রিজে আদা রাখলে তার মধ্যেও ছত্রাক জন্মায়। আর সেই আদা খেলে শরীরে বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করে যা লিভার এবং কিডনির জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই বাড়িতে সাধারণ তাপমাত্রায় আদা সংরক্ষণ করুন।ডায়েটিশিয়ান ডা. আশা সিংয়ের পরামর্শ, রান্না করা ভাত কিংবা সেদ্ধ আলুও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। আর এগুলিকে ফ্রিজে রাখলেও তা পুনরায় গরম করা উচিত নয়। কারণ এমনটা করলে এর মধ্যে কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যার কারণে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঝিঙ্গে, কাঁঠাল, লাউ-এর মত ফল-সবজিও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
