লাইফস্টাইল Kissing and Hugging Rule: যত ইচ্ছা তত নয়… ঠিক কত সেকেন্ড চুমু খেলে আসল উপকার? শরীর-স্বাস্থ্য চাঙ্গা রাখতে জানতেই হবে Gallery June 3, 2024 Bangla Digital Desk ব্যস্ত, উদ্বিগ্ন জীবনে কেবল একটু উষ্ণতাই প্রয়োজন মানুষের। প্রতিদিন কর্মস্থল থেকে ফিরে সঙ্গীর সঙ্গে আলিঙ্গন, চুম্বনই দিতে পারে অপরিসীম আনন্দ। কিন্তু ভালবাসা, আদরেরও বিশেষ কিছু নিয়ম রয়েছে। যে নিয়ম মেনে চললে সর্বোচ্চ সুখের অধিকারী হবেন আপনি। আপনি যদি চান তবে একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আপনার সম্পর্কগুলিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ভালবাসায় পূর্ণ করে রাখতে পারেন। এই দু’টি নিয়ম হল ২০ সেকেন্ডের জন্য আলিঙ্গন করা এবং ৬ সেকেন্ডের জন্য চুম্বন করা। এখন প্রশ্ন জাগে, কেন শুধু ৬ সেকেন্ডের জন্য চুমু খেতে হবে? ২০ সেকেন্ড দীর্ঘ আলিঙ্গনই আপনার সম্পর্ক উন্নত করতে পারে, এর ব্যাখ্যা কী? জেনে নিন বিখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাগর মুদ্দার কাছ থেকে। ৬ সেকেন্ডের চুম্বন এবং ২০ সেকেন্ডের আলিঙ্গন একটি নিয়ম যা সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে মেনে চলেন অনেকে। এতে পারস্পরিক সংযোগ বাড়ে। এমন নয় যে এই নিয়মটা কেউ নির্ধারণ করে দিয়েছে। বরং এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানীদের গবেষণা। ৬ সেকেন্ডের চুম্বনের সুবিধা কী কী- ১. অক্সিটোসিনের বৃদ্ধি: অক্সিটোসিন, ‘লাভ হরমোন’ নামেও পরিচিত, যা চুমু খাওয়ার সময়ে নিঃসৃত হয়। এটি উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, সংযোগ এবং স্নেহ বাড়ায়। ২. স্ট্রেস হ্রাস: আপনি যখন আপনার সঙ্গীকে প্রায় ৬ সেকেন্ডের জন্য চুম্বন করেন, তখন মানসিক চাপের জন্য দায়ী হরমোন অর্থাৎ কর্টিসল হ্রাস পেতে পারে। এটি আপনাকে আরও শান্ত এবং সুখী করে। ৩. সম্পর্কের দৃঢ়তা: দীর্ঘ চুম্বন মানসিক সম্পর্ককে আরও গভীর করে। এতে করে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। ২০ সেকেন্ডের আলিঙ্গনের নিয়ম সুবিধা কী কী- ১. দীর্ঘ আলিঙ্গন অক্সিটোসিনের মাত্রা বাড়ায়, যা আপনাকে এবং আপনার সঙ্গীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তোলে। ২. আপনি যখন আপনার সঙ্গীকে দীর্ঘ সময় ধরে আলিঙ্গন করেন, তখন রক্তচাপও কমে যায়। এটি আপনার হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ৩. দীর্ঘ সময় ধরে আলিঙ্গন করা আপনার মন ভাল রাখবে। সঙ্গীকে নিরাপত্তার অনুভূতি দেয়। মানসিক চাপ কমায় এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বাড়ায়। ৪. নিয়মিত এবং দীর্ঘ আলিঙ্গন রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে পারে। যার কারণে আপনি রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পান। সময়ে সময়ে আপনার সঙ্গীর কাছে আপনার ভালবাসা প্রকাশ করা আপনাকে কেবল মনের আনন্দ-ই দেয় না। বরং এটা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।