আমাদের দেশে হস্তরেখা বিচার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। বহু প্রাচীনকাল থেকে আমাদের পূর্বপুরুষেরা হাতের রেখা বিচার করে ভাগ্য গণনা করতেন। এখনও দেশের বহু স্থানে জন্ম, বিবাহ বা মৃত্যুর সময়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমন বহু মানুষ রয়েছেন যাঁরা গ্রহ দেখে হাতের আংটি পরেন। ভুল আঙুলে সোনার আংটি পরলে এর প্রভাব যেমন খারাপ হতে পারে, তেমনি আবার ঠিক আঙুলে ঠিক ধাতুর আংটি পরলে অসাধারণ প্রভাব পরে। জেনে নিন কোন কোন আঙুলে সোনার আংটি পরা উচিত এবং কোন কোন আঙুলে পরা উচিত নয়।প্রথমেই ধরা যাক তর্জনীর কথা। হস্তরেখা শাস্ত্র মতে তর্জনীতে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান। এছাড়াও তর্জনী বৃহস্পতি গ্রহের প্রতীক। তাই এমন অবস্থায় এই আঙুলে সোনা পরা শুভ।তর্জনীর পরে কনিষ্ঠ আঙুল। হস্তরেখা শাস্ত্র মতে, এটি বুধ গ্রহের সঙ্গে যুক্ত, এই আঙুলে সোনার আংটি পরলে সম্পদ ও মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়।মধ্যমা আঙুল হল শনি গ্রহের আঙুল। ভুল করেও এই আঙুলে তাই সোনার আংটি পরা উচিত নয়। এই আঙুলে লোহার আংটি পরা অত্যন্ত শুভ। হস্তরেখা শাস্ত্র মতে, আমাদের মধ্যমায় সোনার আংটি পরলে জীবনে নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বেড়ে যায়।মধ্যমার পরে রয়েছে আমাদের বুড়ো আঙুল। হস্তরেখা শাস্ত্র মতে, এই আঙ্গুলে সোনার আংটি পরা উচিত নয়। এই আঙুলটি চন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত। এই আঙুলে রুপোর আংটি পরলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।হস্তরেখা শাস্ত্র মতে, অনামিকাকে সূর্য এবং মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়। হস্তরেখা শাস্ত্র মতে, এই আঙুলে সোনার আংটি পরা শুভ বলে মনে করা হয়। সোনার পাশাপাশি এই আঙুলে একটি রুবির আংটিও পরা যেতে পারে।
