নয়াদিল্লি: সরকার গঠনের আগে মন্ত্রকবণ্টন নিয়ে তৎপরতা শুরু এনডিএতে। রবিবারই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান, তার আগে সূত্রের খবর ১৫টি মন্ত্রক শরিক দলগুলিকে ছাড়তে পারে বিজেপি।
অমিত শাহ, জেপি নড্ডা, রাজনাথ সিংয়ের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা দফায় দফায় মন্ত্রকবণ্টন নিয়ে শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন শুক্রবার সন্ধ্যায়। আলাদা আলাদা করে বিজেপি নেতারা এনসিপি নেতা অজিত পওয়ার, প্রফুল পটেল এবং আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
সূত্রের খবর দেশের প্রধান চার মন্ত্রক হাতছাড়া করতে নারাজ বিজেপি, যার মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট্র, বিদেশ, প্রতিরক্ষা এবং অর্থ মন্ত্রক। সেই সঙ্গে বিজেপির লক্ষ্য রেল, পরিবহণ, আইন, তথ্য প্রযুক্তি এবং শিক্ষা মন্ত্রকও হাতে রাখা।
আরও পড়ুন: আগামী দু’-তিন ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের দুই জেলায়
এনডিএতে বিজেপির পরেই সবচেয়ে বেশি আসন চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপির। অন্তত তিনটি মন্ত্রক পেতে পারে ১৬টি অসন পাওয়া টিডিপি, যার মধ্যে একটি পূর্ণ মন্ত্রক এবং দু’জন হতে পারেন প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনটি মন্ত্রক হাতে পেতে পারে নীতীশের জেডিইউও। এর আগে ২০১৯ সালে সরকারে থাকার জন্য চারটি মন্ত্রকের দাবি করেছিল জেডিইউ। তথন তাঁদের ১৬ জন সাংসদ ছিল। কিন্তু এই সরকারে চন্দ্রবাবু এবং নীতীশের গুরুত্ব অনেক বেশি।
সেই সঙ্গে ৭টি আসন জেতা একনাথ শিণ্ডের শিব সেনা হাতে পেতে পারেন দু’টি মন্ত্রক, তাঁদের একজন হতে পারেন পূর্ণ মন্ত্রী। দু’টি মন্ত্রক পেতে পারেন চিরাজ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টিও। অন্যান্য শরিকদের মধ্যে জেডিএস, জন সেনা, আরএলডিকে ছাড়া হতে পারে একটি পূর্ণ মন্ত্রক বা একজন হতে পারেন স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। সেই সঙ্গে আপনা দল এবং হামও একটি করে প্রতিমন্ত্রীর পদ পেতে পারে।