জল শরীরের জন্য অপরিহার্য এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করতে পারে। জল শরীরের গ্লুকোজকে শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে এবং এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেও সাহায্য করতে পারে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে।যতই জল খেয়ে ঘুমোন, মাঝ রাতে বার বার গলা শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে। বার বার উঠে জল খেতে গিয়ে তাই ঘুমটাই হচ্ছে না।গলা শুকিয়ে যাওয়া বিভিন্ন বড় রোগের প্রাথমিক একটি লক্ষণ হতে পারে। রোজই যদি এমন হতে থাকে, তা হলে শীঘ্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ঠিক কোন কোন অসুখের উপসর্গ হতে পারে এই সমস্যা দেখে নিন।রাতে গলা শুকিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল অবসাদ। যাঁরা অবসাদে ভোগেন তাঁদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা যায়। শুরুতেই চিকিৎসকের কাছে যান।সেপসিস-এর মতো ভয়ানক মারণ রোগেরও উপসর্গ এটি। বিভিন্ন ধরনের জীবাণু থেকে শরীরে ইনফেকশন হলে এই উপসর্দ দেখা যায়। তাই ফেলে রাখবেন না।গলা শুকিয়ে যাওয়া ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম উপসর্গ। অতিরিক্ত পরিমাণে মূত্রের জেরে শরীরে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে গলা শুকোয় তাড়াতাড়ি।ডিহাইড্রেশন এর অন্যতম উপসর্গ কলা শুকিয়ে যাওয়া। শরীরে যখন জলের মাত্রা কমে যায় তখনই গলা শুকোতে থাকে। শিশুদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। বেশি ঘাম হওয়া, পেট খারাপ ইত্যাদির জেরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।প্রেশার যাদের হাই তাদের অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীরে জলের মাত্রা ঠিক থাকে না। তাই যথেষ্ট জল না খেলে এই সমস্যা বড় আকার নিতে পারে।এছাড়া ফুসফুসে সমস্যা হলে বা সর্দি জমতে থাকলেও প্রায়ই গলা শুকিয়ে যাওয়ার প্রবণতা থাতে।হার্ট, কিডনি অথবা লিভার জনিত সমস্যা থাকলেও গলা শুকিয়ে যায়।শীতকালে, কেউ কেউ সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে খালি পেটে ৩-৪ গ্লাস জল খেয়ে নেন। হৃদরোগীরা এমন কিছু করলে ক্ষতি হতে পারে। এমন অবস্থায় রক্তে চিনির মাত্রাও কমে যেতে পারে।Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে লেখা। বিশদ জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
