Tag Archives: Drinking Water

Drinking Water Crisis: জলের সন্ধানে কলসি-বালতির রেল লাইন, দাঁড়িয়ে ঠিক যেন ট্রেনের বগি!

পানীয় জলের জন্য কেউ সকাল থেকে, আবার কেউ ভোর থেকে কলসি, বালতি রেখে কলের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু জলের দেখা নেই। এই সমস্যা এক-দুই দিনের নয়, প্রায় এক বছর হতে চলল। গরম পড়তেই সেই সমস্যা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
পানীয় জলের জন্য কেউ সকাল থেকে, আবার কেউ ভোর থেকে কলসি, বালতি রেখে কলের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু জলের দেখা নেই। এই সমস্যা এক-দুই দিনের নয়, প্রায় এক বছর হতে চলল। গরম পড়তেই সেই সমস্যা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের কোতোয়ালি গণিপুর গ্রামে পানীয় জলের তীব্র সমস্যা। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা। যদিও সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের কোতোয়ালি গণিপুর গ্রামে পানীয় জলের তীব্র সমস্যা। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ওই এলাকার সাধারণ বাসিন্দারা। যদিও সমস্যার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় এক বছর ধরে এই সমস্যা। নিয়মিত জল আসে না। জলের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়। তাও গত কয়েকদিন ধরে জল আসছে না। জল কিনে খাওয়ার সমর্থ্য নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় এক বছর ধরে এই সমস্যা। নিয়মিত জল আসে না। জলের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হয়। তাও গত কয়েকদিন ধরে জল আসছে না। জল কিনে খাওয়ার সমর্থ্য নেই। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেলা পরিষদকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
মালদহ: কলসি-বালতির লম্বা লাইন। রাস্তার এক পাশে লাইনে পাত্র রেখে অপেক্ষায় মহিলা, পুরুষ সকলেই। ঠিক যেন ট্রেনের বগির মত লম্বা এই লাইন। কিসের জন্য এই লাইন?
মালদহ: কলসি-বালতির লম্বা লাইন। রাস্তার এক পাশে লাইনে পাত্র রেখে অপেক্ষায় মহিলা, পুরুষ সকলেই। ঠিক যেন ট্রেনের বগির মত লম্বা এই লাইন। কিসের জন্য এই লাইন?
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সঞ্জয় কুমার দাস জানান, একাধিক জায়গায় গরম পড়তেই জল সংকট দেখা দিয়েছে। পিএইচই দফতরের পক্ষ থেকে জল সরবরাহ করা হলেও এখনও তা অনিয়মিত। জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে জল পৌঁছে যাবে, প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সঞ্জয় কুমার দাস জানান, একাধিক জায়গায় গরম পড়তেই জল সংকট দেখা দিয়েছে। পিএইচই দফতরের পক্ষ থেকে জল সরবরাহ করা হলেও এখনও তা অনিয়মিত।‌ জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে জল পৌঁছে যাবে, প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

Bangla Video: টাইম কল থাকলেও এই গ্রামের মানুষ পরম তৃপ্তিতে পুকুরের জল পান করে!

বাঁকুড়া: রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় পানীয় জলের সমস্যা নতুন কিছু নয়। তবে জানেন কি বাঁকুড়ার একটি গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে কল থাকলেও অধিকাংশই সেই জল ব্যবহারই করেন না! কি, অবাক হচ্ছেন তাই তো? বাঁকুড়া শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর রোডের উপরে অবস্থিত বেলবনি গ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে ঠাকুরপুকুর। এই পুকুরের জলই পান করেন বেলবনি ছাড়াও সংলগ্ন একাধিক গ্রাম।

সকাল ছয়টা থেকে জল নিতে বড় বড় প্লাস্টিকের জার, হাঁড়ি, কলসি এবং বোতল নিয়ে ভিড় জমান গ্রামবাসীরা। কেউ কেউ আবার পুকুর থেকেই জল তুলে পান করেন এক নিমেষে। গ্রামবাসীদের একাংশের মতে, ঠাকুর পুকুরের জলে রান্না খুব ভাল হয় এবং দীর্ঘ দিন ধরে এই জল পান করেও কেউ অসুস্থ হননি বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। মূলত পূর্ব পুরুষের আমল থেকেই চলে আসছে এই রীতি। এই পুকুরে কাপড় কাচা, বাসন মাজা কিংবা স্নান করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র পানীয় জলের জন্যই ব্যাবহার করা হয় এই পুকুর।

আরও পড়ুন: অভিজিতের সমর্থনে প্রচারে আসছেন মোদি, তমলুকে ঝড় তুলতে চায় বিজেপি

বেলবনি গ্রামে প্রবেশ করলেই দেখতে পাবেন বাড়িতে বাড়িতে লাগানো রয়েছে জলের কল। তবে গ্রামবাসীদের একাংশের মতে, সেই জল তারা পান না করে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করেন। নিজেদের সুবিধা মত পুকুরের জল এবং কলের জল ব্যাবহার করেই কাজ চালাচ্ছেন বেলবনির মানুষ। গ্রামের বাসিন্দা শ্রীমন্ত দেব বলেন, এই পুকুরে কাউকে নামতেই দেওয়া হয় না। শুধুমাত্র পান করার জলের জন্য আমরা এই পুকুরকে ব্যবহার করি। বেলবনির বাসিন্দা যারা দিল্লি কিংবা মুম্বইতে রয়েছেন তাঁরাও বাড়ি এলে এই জল নিয়ে যান সঙ্গে করে।

বেলবনি গ্রামের গৃহবধূ সাগরি মাঝি রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকেন পুকুরের জল। যদিও তার বাড়িতে লাগানো রয়েছে দু-দুটি কল। সাগরি মাঝি বলেন, বাড়িতে কল লাগানো থাকলেও আমরা পুকুরের জল পান করি এবং রান্নার কাজে ব্যবহার করি। কেউ কোনদিন অসুস্থ হননি। এই জলে খুব ভাল রান্না হয়।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Drinking Water Crisis: গরমে পানীয় জল নিয়ে নাজেহাল, হতাশায় হাল ছেড়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য

কোচবিহার: তীব্র গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই ভয়াবহ গরমের মধ্যেই মাথাভাঙা মহকুমা এলাকায় জলের কষ্ট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন বহু মানুষ।

কোচবিহারের মাথাভাঙা দত্তপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এলাকায় তিনটি সৌর বিদ্যুৎ চালিত পানীয় জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে ট্যাঙ্ক তিনটি ফাঁকা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মূলত এই কারণে তীব্র গরমে জল পেতে প্রচুর কষ্ট করতে হচ্ছে এলাকার মানুষদের। এক স্থানীয় বাসিন্দা নারায়ণ বর্মন জানান, পানীয় জলের ট্যাঙ্ক বসানোর সময় থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। তারপর দীর্ঘ সময় ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে জলের ট্যাঙ্ক। বারংবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানোর পরেও কোনও লাভ হয়নি।

আরও পড়ুন: মোষের পিঠে চাপার পর এবার মাথায় বালতি! প্রতীক পেতেই প্রচারের ঝাঁপালেন ‘কুড়মি’ অজিত

এই নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বজিৎ বর্মন জানান, পঞ্চায়েত সমিতির সভার সময় বিষয়টি তিনি জানিয়েছিলেন। তবে কোন‌ও সদুত্তর পাননি। দীর্ঘ সময় ধরে এই একই অবস্থা হয়ে রয়েছে এলাকায়। তাই তিনি বর্তমান সময়ে আর কোনও প্রকার প্রস্তাব রাখেন না পঞ্চায়েতের সভায়।

সার্থক পণ্ডিত

Earthen Pot Water: ফ্রিজের জল ছাড়ুন, গরমে মাটির কলসির জল পানে এতগুলো উপকার পাবেন

পূর্ব বর্ধমান: এক সপ্তাহের সাময়িক স্বস্তি শেষে আবারও চড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। এই পরিস্থিতিতে একটা বড় অংশের মানুষ স্বস্তি পেতে ফ্রিজের ঠান্ডা জলে নিয়মিত গলা ভেজান। কিন্ত চিকিৎসকরা ফ্রিজের ঠান্ডা জল বা বাজার চলতি ঠান্ডা সফট ড্রিঙ্ক পান করতে বারণ করছেন। উল্টে পরামর্শ দিয়েছেন এই গরমে মাটির কলসি বা কুঁজোর জল পান করা উচিত। একমাত্র এটাই স্বাস্থ্যসম্মত।

কিন্তু ফ্রিজের জল নিয়ে কেন এমন মত চিকিৎসকদের? মাটির কলসির জল খেলেই বা কী উপকার হবে? চলুন, চিকিৎসকরা এই বিষয়ে ঠিক কী বলছেন সেটা জেনে নেওয়া যাক-

আরও পড়ুন: ৬ মাসের উপর বন্ধ চা বাগান, এখন চালু হল না ভাতা

চিকিৎসক মিলটন বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে বলছেন, আগেকার দিনের মানুষেরা গরমের সময় মাটির কলসি বা কুঁজোর ঠান্ডা জল পান করত। কিন্তু বর্তমানে সেই অভ্যেসটা কমে গিয়েছে। বদলে ফ্রিজের জলে গলা ভেজাচ্ছে লোকজন। তাতে শরীরে নানান অসুখ দেখা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা ফ্রিজের ঠান্ডা জল খেলে গলায় সংক্রমণের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। কিন্তু মাটির কলসির জল পান করলে সেই আশঙ্কা নেই।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাটির কলসির জল নিয়মিত পান করলে শরীরের পরিপাকতন্ত্র অনেক বেশি কার্যকরী থাকে এবং পাকস্থলীতে খাবার হজম করার জন্য নানান ধরনের অ্যাসিড তৈরি ভালভাবে হয়। এর ফলে পেটের ভিতরে থাকা অ্যাসিড কিছুটা প্রশমিত হয়ে আমাদের পেটের মধ্যে অম্ল এবং ক্ষারের ভারসাম্যটাকে বজায় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bangla Video: গাছের ডালে বাঁধা হাঁড়িতে রাখা জল মেটাচ্ছে পাখিদের তৃষ্ণা

আলিপুরদুয়ার: পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে অভিনব উদ্যোগ একদল যুবকের। গাছের ডালে হাঁড়ি বেঁধে তাতে জল ঢেলে এই প্রখর গ্রীষ্মে পাখিদের তৃষ্ণা মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মহাকালগুড়ি এলাকায়। সেই হাঁড়িতে প্রতিদিন নিয়ম করে জল ঢালছেন এলাকার যুবকরা।

প্রচন্ড দাবদাহে কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিঘার পর বিঘা ভুট্টা ক্ষেত জলের অভাবে মরে যাচ্ছে। খাল বিলে জল নেই। ফলে অসহায় পাখিরাও পান করার মত জল পাচ্ছে না কোথাও। মানুষের কষ্ট হলেও তারা নানান উপায়ে পানীয় জল জোগাড় করতে পারে। কিন্তু পাখিদের তো আর সেই সুযোগ নেই। তাই তাদের জন্য এগিয়ে এসেছে মহানুভ একদল যুবক।

আরও পড়ুন: টেনে নিয়ে গিয়েছিল বাঘ, মৃতদের পরিবারকে চার সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লাখ করে ক্ষতিপূরণ

এই সময়ে পাখিদের তৃষ্ণা মেটাতে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বেঁধে জল ভর্তি করে রাখছেন উত্তর মহাকালগুড়ি এলাকার কিছু যুবক। ‌গ্রামের ১৫ টি গাছে মাটির হাড়ি ঝুলিয়ে দিয়ে তাতে জল ভর্তি করে রাখছেন যুবকরা। আর সেখান থেকেই তৃষ্ণা মেটাতে জল পান করছে পাখিরা। প্রতিদিন সকালে উঠেই জল দেওয়ার জন্য জঙ্গলে চলে যান ওই যুবকরা।গাছে উঠে জল দিয়ে নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে যান রাহুল, বিশালরা। কামাখ্যাগুড়ি ভলেন্টিয়ার অর্গানাইজেশন-এর সঙ্গে যুক্ত এই যুবকরাবরাবরই বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকেন।

অনন্যা দে

Bangla Video: ওদের জন্য শহরজুড়ে বসল জলের পাত্র

হাওড়া: দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে টানা তাপপ্রবাহ চলছে। এই তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা মানুষের। সকাল ১০ টার পর থেকে নিতান্তই প্রয়োজন না থাকলে আর রাস্তায় বেরোচ্ছে না কেউ। কিন্তু মানুষের কাছে যে সুযোগ আছে তা তো আর পথকুকুর বা অন্যান্য পথচারী প্রাণীদের নেই। এই গরমে শারীরবৃত্তীয় কারণে সারমেয়দের কষ্ট আরও বেশি হয়। তাছাড়া তীব্র তাপে চারিদিক শুকিয়ে যাওয়ায় তারা ঠিক করে জল পান’টুকুও করতে পারছে না। এই অবস্থায় পথকুকুরদের জন্য এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়ে হাওড়া শহরজুড়ে জলের পাত্র বসাল পুরসভা।

আর‌ও পড়ুন: পটে আঁকা ছবি গরম থেকে মুক্তির পথ দেখাবে!

এই গরমে হাওড়া পুরসভা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘পওশম হাওড়ার’ এমন উদ্যোগের ফলে কুকুরদের পাশাপাশি বিড়াল, পাখিরাও স্বস্তি পাবে। হাওড়া পুরসভা, শরৎ সদন, মেট্রো গেট, কোর্ট চত্বর, মঙ্গলা হাট সহ ৩০ টি জায়গায় এই জলের পাত্র বসানো হয়েছে। যেখানে এই গরমের দিনে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পশু এবং পাখিরা তৃষ্ণা মেটাতে পারবে।

এই প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা শৈলেশ উপাধ্যায় জানান, তাঁরা সারা বছরই এই ধরনের কাজ করেন। এবার এই গরমে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাই পুরসভার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তাঁরা এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।

রাকেশ মাইতি

Water Crisis: তপ্ত দুপুরে বাড়ি ছেড়ে বালতি হাতে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে মহিলারা

উত্তর দিনাজপুর: ৪০ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই তাপমাত্রায় যখন বেশিরভাগই বাড়িতে কিংবা অফিসে ফ্যান বা এসির নিচে বসে, তখন অবাক ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের এক পঞ্চায়েত অফিসের সামনে। নিজেদের বাড়ি ছেড়ে তীব্র রোদে বালতি হাতে নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ভিড় গ্রামের মহিলাদের। সকলের মুখে একটাই রা ‘জল জল, জল চাই’।

এইরকমই একটি দৃশ্য দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের বাঙালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে। তীব্র গরমে জলকষ্টে ভুগছে গোটা গ্রাম। তীব্র দাবদাহের হাত থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন বেশি করে জল পান করতে। কিন্তু সেই জলেরই আকাল দেখা দিয়েছে বাঙালবাড়ি গ্রামের একাধিক এলাকায়। খাবারের জল থেকে স্নানের জল কিছুই নেই গ্রামে। গ্রামে কল থাকলেও জল উঠছে না। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামের মহিলারা।

আর‌ও পড়ুন: ইংরেজ আমলে ছিল রেলের সদর দফতর, আজ সেই স্টেশনে ‘ঘুঘু’ চড়ে

বিক্ষোভকারী মহিলারা বলেন, প্রতিবছর এই সময় এলাকায় জলের সমস্যা হয়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার সমস্যার সমাধানে কোন‌ওরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ভোটের প্রচারের সময় রাজনৈতিক নেতারা জলের বন্দোবস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পঞ্চায়েতকেও তিনবার জানানো হয়েছে। কিন্তু জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে পুকুরের নোংরা জল দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। যদিও ব্লক প্রশাসনের তরফে সমস্যার দ্রুত সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

পিয়া গুপ্তা

Drinking Water Crisis: শহরকে সাজানো হলেও পানীয় জলের যোগান পর্যাপ্ত নয়! গরমে রাস্তায় নেমে এলেন মহিলারা

পশ্চিম বর্ধমান: এ যেন ঠিক প্রদীপের তলায় অন্ধকার। যেখানে গোটা শহর সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নতুনভাবে, সেখানে শহরের মধ্যেই রয়ে গিয়েছে তীব্র জল সঙ্কট। যেখানে আশপাশের ওয়ার্ডে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চলছে, সেখানে আসানসোল পুরনিগমের অন্তর্গত ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি।

আসানসোল পুরনিগমের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় গত ১০ বছর ধরে পানীয় জলের সমস্যা চলছে বলে স্থানীয়দের দাবি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তার অবস্থা বেহাল। নিকাশি ব্যবস্থাও ভাল নয়। একইসঙ্গে নেই পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। এই তীব্র গরমে পানীয় জল না পেয়ে প্রচণ্ড কষ্টে আছে এলাকার মানুষ।

আর‌ও পড়ুন: হাওয়াই চটি উপহার! ভোটের বাজারে ব্যবসায়ীর কাণ্ডে শোরগোল

১২ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলের এই সঙ্কটের জন্য এলাকাবাসীরা মূলত আঙুল তুলছেন এলাকার কাউন্সিলরের দিকেই। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কাউন্সিলরের গাফিলতিতেই এমন অবস্থার শিকার হয়েছেন তাঁরা। কারণ আশপাশের অন্যান্য সব ওয়ার্ডে জল, আলো, রাস্তাঘাট সমস্ত কিছুর কাজ হয়েছে। উন্নতি হয়েছে। কিন্তু ১২ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়নি।

যার কারণে এই তীব্র গরমে ব্যাপক জল কষ্টে ভুগতে হচ্ছে স্থানীয় মানুষজনকে। তাই এলাকার মহিলা সদস্যরাও তীব্র গরমেও রাস্তায় নেমে এসেছিলেন পানীয় জলের দাবিতে। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হোক। এলাকায় কল তৈরি করা হোক। যতদিন না কলের ব্যবস্থা হচ্ছে, ততদিন ট্যাঙ্কারে জল দেওয়ার ব্যবস্থা হোক। আর যদি তা না হয়, তাহলে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

নয়ন ঘোষ

Heat Wave: গরম থেকে বাঁচতে মানুষের মতই ওরাও পাচ্ছে ওআরএস!

নদিয়া: তীব্র দাবদাহে কাহিল মানুষ। স্বস্তি নেই পশু-পাখিরাও। তাদের বাঁচাতে এবার বিশেষ উদ্যোগ। এই গরমে মানুষের শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে ওআরএস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেই অনুযায়ী এবার পশু-পাখিদেরও দেওয়া হচ্ছে ওআরএস।

শান্তিপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিশেষ উদ্যোগে পশুপাখিদের এই ওআরএস খাওয়ানো হচ্ছে। সূর্যের প্রখর তাপে নাভিশ্বাস উঠছে আট থেকে আশি সকলের। তাপপ্রবাহের কারণে ইতিমধ্যে বিভিন্ন সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। প্রয়োনজন ছাড়া রাস্তায় বেরোতে নিষেধ করেছে চিকিৎসকরা। তবে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ঠান্ডা পানীয় খেয়ে, ঘরে এসি-ফ্যান চালিয়ে কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব করছে। কিন্তু পশুপাখিদের সেই সুযোগ নেই। তাই তাদের জন্য এগিয়ে এসেছে শান্তিপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শান্তিপুর বন্ধু।

আর‌ও পড়ুন: এখনই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত! আক্রান্তের সংখ্যা শুনলে চমকে যাবেন

শান্তিপুর সুত্রাগড় অঞ্চল এবং শান্তিপুরের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত বড় বড় গাছ রয়েছে সেখানে মাটির পাত্র লাগিয়ে তাতে জল এবং ওআরএস মিশিয়ে পশু-পাখিদের খাওয়ানো হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মৈনাক দেবনাথ

চরম গরমে পানীয় জলের কষ্ট! ভোগান্তির জেরে বিক্ষোভ মেদিনীপুরে

চরম গরমে পানীয় জলের কষ্ট। দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির জেরে বিক্ষোভ মেদিনীপুরে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের বাড়ি ঘেরাও এলাকাবাসীর। বার্জটাউন, পোড়াবাংলোয় জল সঙ্কট মানছেন কাউন্সিলর। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস কাউন্সিলরের।