গত কয়েক মাস ধরেই সোনার দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এর প্রধান কারণ হল, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি প্রচুর পরিমাণে সোনা কিনছে। ফলে তার প্রভাব পড়ছে বাজারে। সোনা কেনার তালিকায় সবার উপরে রয়েছে চিন। হলুদ ধাতুর রিজার্ভ ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছে তারা। ফলে সোনার দামও ডালপালা মেলছে।এবার সবাই অবাক করে আচমকাই সোনা কেনা বন্ধ করে দিল চিন। এই কারণে শুক্রবার আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ২ শতাংশের বেশি কমেছে।MCX এক্সচেঞ্জে সোনার দামে পতন: সোনার দামে পতন কেন? আমেরিকায় প্রত্যাশার চেয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং সবচেয়ে বড় ক্রেতা চিনের মন বদলকেই প্রধান কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।রিপোর্ট অনুযায়ী, গোল্ড ফিউচারের দাম ২.৪৩ শতাংশ কমে আউন্স প্রতি ২,২৩২.৮৫ ডলারে লেনদেন হয়েছে। এমনকী ভারতের MCX এক্সচেঞ্জেও সোনার দাম আন্তর্জাতিক হার অনুযায়ী ২ শতাংশের বেশি কমেছে। প্রতি ১০ গ্রাম সোনা বিক্রি হয়েছে ৭৩,১৩১ টাকায়।চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মে মাস থেকে সোনা কেনা বন্ধ করে দিয়েছে: গত ১৮ মাস ধরে একটানা সোনা কিনছিল চিন। এর ফলে সোনার স্পট রেট রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছয়। কিন্তু মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মে মাস থেকে সোনা কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।আপাতৎ গোল্ড রিজার্ভ করছে না জিংপিংয়ের দেশ। সোনা নিরাপদ বিনিয়োগ বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হয়। টানা দাম বৃদ্ধির পর চিনের কারণে এবার হলুদ ধাতুর দাম কমতে শুরু করেছে। তবে এ বছর এখনও পর্যন্ত সোনার দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ।ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের অনুমানের তুলনায় বেশি রিটার্ন দিতে পারে সোনা: সোনার চাহিদা চিরকালীন। এই কারণেই দাম সময়ে সময়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যায়। বিশ্বজুড়ে চলমান দ্বন্দ্ব, বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ক্রমাগত ক্রয় এবং বিনিয়োগকারীদের চাহিদা সোনার দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।তাছাড়া সোনা পাওয়াও কঠিন। চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে সবসময়ই পার্থক্য থাকে। ফলে সোনার দাম কমার বদলে বাড়ে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০২৪ সালে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের অনুমানের চেয়ে সোনায় বেশি রিটার্ন পাবেন বিনিয়োগকারীরা।
