শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের উপর জঙ্গি হামলায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের হদিস পেতে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। জঙ্গিরা রিয়াসি ও রাজৌরির পার্ব্যত্য অঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে বলে মনে করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
রবিবার শিবখোরি মন্দির থেকে কাটরার বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাচ্ছিল তীর্থযাত্রী বোঝাই একটি বাস। রিয়াসির পনি এলাকার তেরিয়াথ গ্রামের কাছে আচমকাই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায় বাস। ঘটনায় মারা যান ৯ জন তীর্থযাত্রী। গুরুতর জখম ৪১ জন।
আরও পড়ুন: বড় বিপর্যয়, বন্ধ করে দেওয়া হল সিকিম-বাংলা সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক
বাসে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান এবং দিল্লির তীর্থযাত্রীরা ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। হামলার পরে পুলিশ, সেনাবাহিনী, এনআইএ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি একসঙ্গে যৌথ অভিযান শুরু করেছে।
জম্মু ও রিয়াসির হাসপাতালে জখম তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে দেখা করেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এরপর নিরাপত্তা পরিস্থিতির পর্যালোচনায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন তিনি। উধমপুর-রিয়াসি রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল রইস মোহাম্মদ ভাট জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে কিছু তথ্য এসেছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং সিআরপিএফ-এর ১১ টি দল যৌথভাবে দু’টি পৃথক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে।
জখম তীর্থযাত্রীদের বয়ান রেকর্ড করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ হামলার দায় স্বীকার করলেও পরে তারা বিবৃতি প্রত্যাহার করে নেয়।
জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে রাজস্থানের বাসিন্দা ২ বছর বয়সী টিটু সাহানি এবং তাঁর মা পূজার। রাজস্থানের মোট ৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩ জন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। হামলায় মৃত্যু হয়েছে বাসের চালক ও কন্ডাক্টরেরও। দুজনেই রিয়াসির বাসিন্দা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিহত ৯ জনের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। গুরুতর জখম ৪১ জনের মধ্যে গুলি লেগেছে ১০ জনের। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন জম্মু ও রিয়াসির জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।