কলকাতা: স্ত্রী ও সৌরভের জন্যই বাংলায় ফিরেছি। অতীতের কোন ঘটনা মনে রাখতে চাই না। আমি বর্তমান নিয়ে ভাবি। দু’বছর বাংলার হয়ে না খেললেও প্রতি মুহূর্তে বাংলার খবর রাখতাম। বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আগে অকপট ঋদ্ধিমান সাহা।
সিঙ্গাপুর থেকে পরিবার নিয়ে ছুটি কাটিয়ে দিন দুয়েক আগেই কলকাতায় ফিরেছেন। আর ফেরার পরই যোগ দিয়েছিলেন BPTL এর দল মেদিনীপুর উইজার্ডের অনুশীলনে। দলের মার্কি অভিমুন্য ঈশ্বরন চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় পরিবর্তন হিসেবে দলে ঢুকেছেন ঋদ্ধি।
বুধবার স্ম্যাশার্স মালদার বিরুদ্ধে মেদিনীপুরের হয়ে ইডেন গার্ডেন্সে খেলতে নামছেন ঋদ্ধিমান সাহা। দুই বছর পর বাংলায় প্রত্যাবর্তনের পর প্রথমবার মাঠে নামবেন ৪০ টেস্ট খেলা ভারতীয় ক্রিকেটার। বছর দুয়েক আগে সিএবি কর্তা দেবব্রত দাসের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাংলা ছেড়েছিলেন।
এমনকি ভারতীয় টেস্ট দলে বাদ পড়ার সময় তৎকালীন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভের দিকে অভিমানের সুর চরিয়েছিলেন। তবে পাপালি অবশ্য তাঁর অতীত মনে রাখতে চান না। বরং তিনি ত্রিপুরার হয়ে খেলা শেষ দুই মরশুমের কথা ভুলে বাংলার হয়ে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান। তার আগে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের দিকে এখন পাখির চোখ পাপালির। মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর উইজার্ড দলের মার্কি ক্রিকেটার হিসেবে কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে ঋদ্ধি ফাঁস করেছেন তাঁর বাংলায় প্রত্যাবর্তনের রহস্য।
পাপালির কথায়, “বাংলা থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম। মাঝের দুই বছর ছিলাম না এখানে। স্ত্রী রোমি ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্যই বাংলায় ফিরলাম। জানি না বাংলা দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাব কিনা। তার আগে এখন বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ নিয়েই ভাবছি।” ঋদ্ধিমানের পাশে বসে মেদিনীপুর দলের মেন্টর তথা বাংলা ক্রিকেট দলের হেড কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লাও ঋদ্ধিমান সাহাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন।
লক্ষ্মী বলেন, “ঋদ্ধিমানকে নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। ও আমাদের দলের স্পেশাল ক্রিকেটার। আশা করব, মেদিনীপুর দলকে নয়া দিশা দেবে ঋদ্ধিমান।” ত্রিপুরা থেকে ঋদ্ধিমান ছাড়াও বাংলার আরেক ক্রিকেটার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ফিরেছেন। মেদিনীপুর দলের অধিনায়কের দায়িত্ব রয়েছেন সুদীপ।
Eron Roy Burman