Tag Archives: Wriddhiman Saha

ঋদ্ধিমান সাহা: জীবন, কেরিয়ার, সাফল্য এক ঝলকে

পুরো নাম: ঋদ্ধিমান প্রশান্ত সাহা

জন্ম: ২৪ অক্টোবর ১৯৮৪

উচ্চতা: ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৬ মিটার)

জাতীয়তা: ভারতীয়

ক্রীড়াবিদ: ডান-হাতি ব্যাটার, উইকেট-কিপার

পরিবার:

পিতা: প্রশান্ত সাহা

মাতা: মৈত্রেয়ী সাহা

স্ত্রী: রোমি সাহা

সন্তান: অবনী সাহা

পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে জন্মেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর বাবা চাকরি করতেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বোর্ডে। ঋদ্ধিমান সাহা এবং রোমি সাহা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ২০১১ সালে এবং ২০১৩ সালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয় এই দম্পতির।

কেরিয়ারের সূচনা:

ঋদ্ধিমান সাহা হলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেটার। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার আগে অনূর্ধ্ব-১৯ এবং অনূর্ধ্ব-২২ দলের হয়ে খেলেন তিনি। নিয়মিত উইকেট রক্ষক দীপ দাশগুপ্ত ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পরে ২০০৬ – ২০০৭ সালে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় ঋদ্ধিমানের। একাধিক বার ন্যাশনাল জোনাল প্রতিযোগিতায় পূর্বাঞ্চলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। 

আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্থান:

২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নাগপুরে একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় ঋদ্ধিমানের। ব্যাক-আপ ‘রক্ষক’ হিসেবেও দলে ছিলেন তিনি। প্রথম ম্যাচে বাংলার ছেলে ভালো পারফর্ম করতে পারনি। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৩৬ রান করেন। 

দ্বিতীয় বার ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। এ-ছাড়াও টেস্ট স্কোয়াডের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড সফর করেছিলেন, কিন্তু খেলার সুযোগ পাননি ঋদ্ধিমান।

এর পর টেস্ট ক্রিকেটে সাহার ফর্ম ফিরে আসে। ক্যারিবিয়ান সফরে গিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন। উইকেট রক্ষক হিসেবেও তাঁর বেশ কৃতিত্ব রয়েছে। 

২০১০ সালের ২৮ নভেম্বর গুয়াহাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান-ডে ফরম্যাটে অভিষেক হয় তাঁর। এই ম্যাচে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরির ফলে ভারত ২৭৬ রান করে ফেলে। ঋদ্ধিমান ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ৫০ ওভারের ম্যাচগুলিতে উইকেট রক্ষক হিসেবে এমএস ধোনি থাকার কারণে সাহা খুব একটা সুযোগ পাননি। 

আইপিএল কেরিয়ার: 

ঘরোয়া ম্যাচে চিত্তাকর্ষক পারফরমেন্সের কারণে আইপিএল-এর প্রথম তিন মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলার সুযোগ পান ঋদ্ধিমান। ২০১৪ সালে আইপিএল-এ কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের একজন উইকেটরক্ষক হিসেবে খেলেছিলেন তিনি। এই টুর্নামেন্টে সাহা উইকেটের পিছনে থেকে একাধিক ক্যাচ নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটেও ভালো পারফর্ম করেন। তিনি মোট ৩২.৯০ গড়ের সঙ্গে ২০১৪ সালের সিজনে ৩৬২ রান করেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৫.৩৮। এটিই ছিল সাহার জীবনের সবচেয়ে ভালো আইপিএল মরসুম। এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে পুরনো দল কলকাতার মুখোমুখি হন তিনি এবং মাত্র ৫৫ বলে (অপরাজিত) ১১৫ রান করেন। যার মধ্যে ১০টি চার এবং ৮টি ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন তিনি। যদিও কেকেআর-এর মণীষ পান্ডের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের কারণে জয়ের শিরোপা ওঠে কলকাতা নাইট রাইডার্স-এর মাথায়। ২০১৮ সালের মরসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ঋদ্ধিমানকে ১.২ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেয়। হায়দরাবাদের স্কোয়াডেই ছিলেন তিনি কয়েক বছর। এর পর ২০২২ সালের মেগা অকশনে গুজরাত টাইটান্স কিনে নেয় ঋদ্ধিমান সাহাকে। গুজরাতের দলে উইকেট রক্ষক হিসেবে খেলেছেন তিনি। 

মন্ত্রী মনোজের মুখেও ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ দাবি, মেয়ের বাবা ঋদ্ধির মন খারাপ

কলকাতা: সিএবি পরিচালিত ক্লাব ক্রিকেটে কালীঘাট ক্লাবের হয়ে সই করলেন রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি, ত্রিপুরা থেকে বাংলায় ফিরে আসা ঋদ্ধিমান সাহা ও অনুষ্টুপ মজুমদার।

এই প্রথম বাংলার ৩ তারকা ক্রিকেটার একসঙ্গে কালীঘাটের হয়ে ক্লাব ক্রিকেটে খেলবেন। কেরিয়ারের শুরুতে কাস্টমস ক্লাবে তিনজন একবার খেলেছিলেন।

মনোজ গত বছরই অবসর নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। বাংলার হয়ে খেলা ছেড়ে এবার হয়েছেন ভিশনের কোচ। তবে ক্লাব ক্রিকেট খেলবেন।

আরও পড়ুন- মুক্তির আগেই দাম ফাঁস! আইফোন ১৬ সিরিজের মডেল কিনতে কত খরচ হবে জানেন?

সিএবি পরিচালিত বেঙ্গল প্র টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে চান। মন্ত্রিত্ব সামলেও ক্রিকেটকে সময় দিতে চান মনোজ। আর বাংলায় ফিরে ঋদ্ধিমানের দাবি, বাংলা ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন করার লক্ষ্যে মাঠে নামতে চান।

অন্যদিকে, অনুষ্টুপ মজুমদার ৪০ বছর বয়সেও ক্রিকেটকে ধ্যান ধ্যান করে এগোচ্ছেন। শেষ মরসুমেও বাংলার বছরের ক্রিকেটার হয়েছে। বাংলাকে রঞ্জি জেতাতে মরিয়া রুকু। এদিন সিএবিতে সই করার পর ক্রিকেটের বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি আরজি কর নিয়ে ক্রিকেটাররা সরব।

ক্রিকেট মাঠে উঠল স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর। ফুটবল মাঠে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারিতে টিফো ব্যানার তুলে ধরছেন সমর্থকরা। এমনকী ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সমর্থকরা একযোগে রাস্তায় নেমেছেন, মিছিল করেছেন পারস্পরিক মেঠো বৈরিতা ভুলে।

আরও পড়ুন- স্মার্টফোনে ব্যাক কভার লাগানো ভাল নাকি খারাপ? প্রচুর মানুষ জানেন না

এবার সেই স্বর কলকাতা ক্রিকেটের মাঠে। বাংলার বর্ষসেরা ক্রিকেটার তাঁর মতো করে প্রতিবাদী স্বর তুললেন। এর আগে ঋদ্ধিমান সাহা সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছিলেন। শনিবারও আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হলেন।

রাজ্য সরকারের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারিও বলছেন, সিবিআই এর দিকে তাকিয়ে আছি। দোষীরা শাস্তি পাক সেটাই চাই। চরমতম শাস্তি ঋদ্ধি, মনোজরা।

Mohammed Shami: মহম্মদ শামি ফিরছেন মাঠে! ভারতীয় দলের জার্সিতে নয়! এবার খেলবেন ‘এই’ দলের হয়ে

মাঝে ছিল দীর্ঘ বিরতি। ফের বাংলার হয়ে বাইশ গজে দেখা যেতে পারে ঋদ্ধিমান সাহা এবং মহম্মদ শামিকে। আসন্ন ঘরোয়া মরসুমে ৩১ জনের যে প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে সিএবি তাতেই নাম রয়েছে বাংলার এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের। এছাড়াও এই দলে রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন তারকার নাম। তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশেলে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে সিএবি। ছবি- ফেসবুক
মাঝে ছিল দীর্ঘ বিরতি। ফের বাংলার হয়ে বাইশ গজে দেখা যেতে পারে ঋদ্ধিমান সাহা এবং মহম্মদ শামিকে। আসন্ন ঘরোয়া মরসুমে ৩১ জনের যে প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে সিএবি তাতেই নাম রয়েছে বাংলার এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের। এছাড়াও এই দলে রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন তারকার নাম। তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতার মিশেলে শক্তিশালী দল ঘোষণা করেছে সিএবি। ছবি- ফেসবুক
 ত্রিপুরার হয়ে গত ২টি মরশুমে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় এই অভিজ্ঞ কিপারকে। দীর্ঘদিন পর আবার বাংলার হয়ে খেলতে নামবেন তিনি। কিছুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে ঋদ্ধিমান জানিয়েছিলেন, বাংলার হয়ে তিনি তিন ফরম্যাটেই মাঠে নামতে প্রস্তুত। প্রাথমিক দলে ঋদ্ধি থাকলেও আলাদা করে তাঁকে দলের উইকেট কিপার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়নি। মনে করা হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট এবং ঋদ্ধিমান নিজেও চাইছেন তরুণ অভিষেক পোড়েল উইকেটকিপিং করুন।ছবি- এএনআই।
ত্রিপুরার হয়ে গত ২টি মরশুমে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় এই অভিজ্ঞ কিপারকে। দীর্ঘদিন পর আবার বাংলার হয়ে খেলতে নামবেন তিনি। কিছুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে ঋদ্ধিমান জানিয়েছিলেন, বাংলার হয়ে তিনি তিন ফরম্যাটেই মাঠে নামতে প্রস্তুত। প্রাথমিক দলে ঋদ্ধি থাকলেও আলাদা করে তাঁকে দলের উইকেট কিপার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়নি। মনে করা হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট এবং ঋদ্ধিমান নিজেও চাইছেন তরুণ অভিষেক পোড়েল উইকেটকিপিং করুন।
ছবি- এএনআই।
ঋদ্ধির পাশাপাশি ২টি মরশুমে ত্রিপুরার হয়ে মাঠে নামেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁরাও বাংলার দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছে। আসন্ন ঘরোয়া মরশুমে বাংলার ৩১ জনের প্রাথমিক দলে নাম রয়েছে সুদীপেরও। এছাড়াও, ঋদ্ধির মতোই এবছরও বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ছবি- পিটিআই।
ঋদ্ধির পাশাপাশি ২টি মরশুমে ত্রিপুরার হয়ে মাঠে নামেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁরাও বাংলার দলে প্রত্যাবর্তন হয়েছে। আসন্ন ঘরোয়া মরশুমে বাংলার ৩১ জনের প্রাথমিক দলে নাম রয়েছে সুদীপেরও। এছাড়াও, ঋদ্ধির মতোই এবছরও বেঙ্গল প্রো টি-২০ লিগেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ছবি- পিটিআই।
গত বছর বিশ্বকাপের পর থেকেই চোটের জন্য মাঠের বাইরে রয়েছে পেস তারকা মহম্মদ শামি। গোড়ালির অস্ত্রোপচারের পর চোট সারিয়ে তিনি মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নেটে ইতিমধ্যেই বোলিং প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলে ফেরার আগে তিনি বাংলার ঘরোয়া বাইশ গজে নিজের বোলিংয়ে শান দিতে চান। এছাড়াও প্রাথমিক দলে রয়েছেন শামির ভাই মহম্মদ কাইফও। ছবি- আইসিসি এক্স।
গত বছর বিশ্বকাপের পর থেকেই চোটের জন্য মাঠের বাইরে রয়েছে পেস তারকা মহম্মদ শামি। গোড়ালির অস্ত্রোপচারের পর চোট সারিয়ে তিনি মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নেটে ইতিমধ্যেই বোলিং প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছেন তিনি। জাতীয় দলে ফেরার আগে তিনি বাংলার ঘরোয়া বাইশ গজে নিজের বোলিংয়ে শান দিতে চান। এছাড়াও প্রাথমিক দলে রয়েছেন শামির ভাই মহম্মদ কাইফও। ছবি- আইসিসি এক্স।
বাংলার আরও এক তারকা ক্রিকেটার অনুষ্টুপ মজুমদারের। এছাড়াও সেই দলে রয়েছেন, অভিমন্যু ইশ্বরন, শাহবাজ আহমেহরাও। সিএবির তরফে এখনও জানানো হয়নি যে, এই ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার দলকে নেতৃত্ব দেবেন কে। তবে ক্যাপ্টেন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা এবং অভিমন্যু ইশ্বরন। ছবি- সিএবি।
বাংলার আরও এক তারকা ক্রিকেটার অনুষ্টুপ মজুমদারের। এছাড়াও সেই দলে রয়েছেন, অভিমন্যু ইশ্বরন, শাহবাজ আহমেহরাও। সিএবির তরফে এখনও জানানো হয়নি যে, এই ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার দলকে নেতৃত্ব দেবেন কে। তবে ক্যাপ্টেন হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা এবং অভিমন্যু ইশ্বরন। ছবি- সিএবি।

মেয়ের বাবা, আরজি করের ঘটনায় ভেঙে পড়ছেন ঋদ্ধি! সৌরভের পর মুখ খুললেন ‘পাপালি’

কলকাতা: আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার আর চুপ করে থাকতে পারলেন না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও মেয়ের বাবা। আর সেই চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুতে তাই গভীর শোকাহত মহারাজ।

আর এবার আরজি করের ন্যক্কারজনক ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন বাংলার ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা। আরজি করের জঘন্য ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বত্র। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সবার একটাই দাবি, দোষীদের শাস্তি চাই।

এবার আরজি করের ঘটনায় ন্যায়বিচার চেয়ে মুখ খুলছেন ক্রিকেটাররা। জসপ্রিত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা সরব হয়েছেন। এবার এই ঘটনায় মুখ খুললেন মেয়ের বাবা ঋদ্ধি।

আরও পড়ুন- ‘সেই রাতে ও মারা যেতে পারত’-অলিম্পিক্স কুস্তির ফাইনালের আগের রাতে ঠিক কী হয়েছিল

মেয়ের বাবা হিসেবে তিনি ভীত, সন্ত্রস্ত, যন্ত্রণায় কাতর। এমনকী এই ঘটনা তাঁকে ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে বলেও জানালেন ঋদ্ধি। তিনি এদিন সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্টে লিখলেন, আমার শহরে ঘটে যাওয়া এই জঘন্য ঘটনায় হৃদয় ভেঙেচুরে গিয়েছে। বাবা হিসেবে আমি যন্ত্রণাকাতর, একইসঙ্গে ক্ষুব্ধও।

তিনি আরও লিখলেন, আমরা আমাদের সন্তানদেরই সুরক্ষা দিতে পারি না, তা হলে আমরা নিজেদের কীভাবে মানুষ বলে দাবি করতে পারি? এই সমাজের এবার অন্তত ঘুম ভেঙে জেগে ওঠা উচিত। সারা বিশ্বে মহিলারা আরও ভাল পরিবেশ, সমাজের দাবি রাখে। মেয়েদের নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে, এটা অস্বীকার করা যায় না। সহজ-সাবলীলভাবে যাতে মেয়েরা ঘুরে বেড়াতে পারে, সেদিকে প্রশাসনের নজর দিতে হবে।

আরও পড়ুন- ‘এবারের যুক্তি কী?’ আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন মহম্মদ সিরাজের

আরজি করের এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা সমাজকে। মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে হাজার প্রশ্ন। কাঠগড়ায় প্রশাসন। তার মধ্যে সেলেব্রিটিদের এমন সওয়াল চাপ বাড়াচ্ছে প্রশাসনের উপর।

Wriddhiman Saha: বিতর্ক অতীত! মনোমালিন্য মিটিয়ে ঋদ্ধিমানকে বুকে জড়ালেন সিএবি কর্তা দেবব্রত দাস, তারপর যা হল

কলকাতা: “মেলালেন তিনি মেলালেন..” তিনি আসলে ‘ক্রিকেট২। ২২ গজের এই খেল অনেক বিতর্ক থামিয়ে দিয়েছে কয়েক মুহূর্তে, অনেক মনোমালিন্য থেকে দূরত্ব মিটিয়ে দিয়েছে বহুবার। আরো একবার সেই ক্রিকেটের হাত ধরে বিতর্কের অবসান। স্থান- বাংলার ক্রিকেট। অতীতের বিতর্ক ভুলে কাছাকাছি ক্রিকেটার ও কর্তা। বাংলা ক্রিকেটের বিতর্কিত অধ্যায়ের অবশেষে অবসান বলাই যায়। ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা আর কর্তা দেবব্রত দাস। অতীতের বিতর্ক ভুলে এক ফ্রেমে ঋদ্ধিমান ও সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস।

দু’জন দু’জনের সঙ্গে দেখা হতেই ঋদ্ধিমানকে জড়িয়ে ধরলেন দেবব্রত দাস। বিতর্ক মিটিয়ে আগামী বছর নিজের টাউন ক্লাবে ঋদ্ধিমানকে খেলার জন্য প্রস্তাব দিলেন দেবব্রত বাবু। আসলে, বছর দুয়েক আগে দেবব্রত দাসের তাঁকে নিয়ে মন্তব্যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। অভিমানে ঋদ্ধি বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ত্রিপুরায়। সেই সময়, সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের ঋদ্ধিমানের প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে উত্তাল হয়েছিল বাংলার ক্রিকেট। ঋদ্ধিমান সাহার বাংলার ক্রিকেটের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দেবব্রত দাস। বাংলা ক্রিকেটের প্রতি ঋদ্ধির অবদান কতটা কিংবা দায়বদ্ধতা নেই বলেই কার্যত বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন দেবু বাবু।

আরও পড়ুন – IMD Thunderstorm Alert: রাতের মধ্যে আবহাওয়ার ভোলবদল, ধেয়ে আসছে প্রবল ঝড়, সঙ্গে বজ্রপাত সহ তুমুল বৃষ্টি, হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলায়-জেলায় তাণ্ডব

সেই মন্তব্যে অপমানিত ঋদ্ধিমান বাংলা ছাড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সিএবি যুগ্ম সচিব নিঃশর্ত ক্ষমা না চাওয়ায় বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা চলে যান। সেই সময়ে ঋদ্ধিমান জানিয়েছিলেন, সেই কর্তা ক্ষমা না চাইলে তিনি আর কখনো বাংলা খেলবেন না। তারপর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গেছে অনেক জল। মূলত সিএবি কর্তা সঞ্জয় দাসের উদ্যোগে ফের বাংলায় ফিরেছেন ঋদ্ধি।

বিতর্ক মিটিয়ে নিয়ে ফের সৌহর্দ্যের আবহ ঋদ্ধির সঙ্গে
বিতর্ক মিটিয়ে নিয়ে ফের সৌহর্দ্যের আবহ ঋদ্ধির সঙ্গে

সিএবি এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফের বাংলা ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন দেশের হয়ে ৪০ টি টেস্ট খেলা এই ক্রিকেটার। ইতিমধ্যেই বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগে মেদিনীপুরের হয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন ঋদ্ধি। সেই ম্যাচ শেষেই বিতর্কের অবসান ঘটলো বলা যায়। প্রথম ম্যাচ শেষে টিম বাসে ওঠার সময় সেই দেবব্রত দাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ঋদ্ধিমানের। সেই সময় দেবব্রত দাস নিজে থেকেই এগিয়ে গিয়ে ঋদ্ধির সঙ্গে কথা বলেন। এমনকি ঋদ্ধিকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেন বলেই খবর। বেশ কিছুক্ষণ দুজনে হাসিমুখে কথা বলেন।

সূত্রের খবর, দেবব্রত দাস ঋদ্ধিমান সাহাকে নিজের ক্লাব টাউনের হয়ে ক্লাব ক্রিকেট খেলার প্রস্তাবও দেন। এমনকি মজা করেও তিনি নাকি বলেন, আর্থিক দিক থেকে ভারতের প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটারকে নেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। তবে ঋদ্ধি ভালোবাসার টানে রাজি থাকলে এক বছর যেন টাউন ক্লাবে খেলেন। এই সময় ঘটনার সাক্ষী ছিলেন মেদিনীপুর দলের একাধিক ক্রিকেটার সহ মেন্টর লক্ষ্মীরতন শুক্লা। বিতরকের অবসানের মুহূর্তে সব ক্রিকেটারই নাকি হাততালিও দিয়ে ওঠেন এই মিলনের দৃশ্য দেখে। সবমিলিয়ে নিঃসন্দেহে বলাই যায়, মেলালেন তিনি-ই মেলালেন।

Eron Roy Burman

Wriddhiman Saha: “অতীতের ঘটনা মনে রাখতে চাই না, স্ত্রী ও ‘দাদা’-র জন্যেই ত্রিপুরা ছেড়ে বাংলায় ফিরেছি” অকপট ঋদ্ধিমান

কলকাতা: স্ত্রী ও সৌরভের জন্যই বাংলায় ফিরেছি। অতীতের কোন ঘটনা মনে রাখতে চাই না। আমি বর্তমান নিয়ে ভাবি। দু’বছর বাংলার হয়ে না খেললেও প্রতি মুহূর্তে বাংলার খবর রাখতাম। বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আগে অকপট ঋদ্ধিমান সাহা।

সিঙ্গাপুর থেকে পরিবার নিয়ে ছুটি কাটিয়ে দিন দুয়েক আগেই কলকাতায় ফিরেছেন। আর ফেরার পরই যোগ দিয়েছিলেন BPTL এর দল মেদিনীপুর উইজার্ডের অনুশীলনে। দলের মার্কি অভিমুন্য ঈশ্বরন চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় পরিবর্তন হিসেবে দলে ঢুকেছেন ঋদ্ধি।

আরও পড়ুন – Mohun Bagan Coach: এটিকেকে আইএসএল জিতিয়েছেন সেই মোলিনাকে কোচ করল বাগান, কিন্তু হাবাসকে কেন সরাল সবুজ-মেরুণ শিবির

বুধবার স্ম্যাশার্স মালদার বিরুদ্ধে মেদিনীপুরের হয়ে ইডেন গার্ডেন্সে খেলতে নামছেন ঋদ্ধিমান সাহা। দুই বছর পর বাংলায় প্রত্যাবর্তনের পর প্রথমবার মাঠে নামবেন ৪০ টেস্ট খেলা ভারতীয় ক্রিকেটার। বছর দুয়েক আগে সিএবি কর্তা দেবব্রত দাসের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে বাংলা ছেড়েছিলেন।

—- Polls module would be displayed here —-

এমনকি ভারতীয় টেস্ট দলে বাদ পড়ার সময় তৎকালীন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভের দিকে অভিমানের সুর চরিয়েছিলেন। তবে পাপালি অবশ্য তাঁর অতীত মনে রাখতে চান না। বরং তিনি ত্রিপুরার হয়ে খেলা শেষ দুই মরশুমের কথা ভুলে বাংলার হয়ে নিজেকে উজাড় করে দিতে চান। তার আগে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের দিকে এখন পাখির চোখ পাপালির। মঙ্গলবার বিকেলে মেদিনীপুর উইজার্ড দলের মার্কি ক্রিকেটার হিসেবে কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে ঋদ্ধি ফাঁস করেছেন তাঁর বাংলায় প্রত্যাবর্তনের রহস্য।

পাপালির কথায়, “বাংলা থেকেই ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলাম। মাঝের দুই বছর ছিলাম না এখানে। স্ত্রী রোমি ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্যই বাংলায় ফিরলাম। জানি না বাংলা দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাব কিনা। তার আগে এখন বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ নিয়েই ভাবছি।” ঋদ্ধিমানের পাশে বসে মেদিনীপুর দলের মেন্টর তথা বাংলা ক্রিকেট দলের হেড কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লাও ঋদ্ধিমান সাহাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন।

লক্ষ্মী বলেন, “ঋদ্ধিমানকে নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। ও আমাদের দলের স্পেশাল ক্রিকেটার। আশা করব, মেদিনীপুর দলকে নয়া দিশা দেবে ঋদ্ধিমান।” ত্রিপুরা থেকে ঋদ্ধিমান ছাড়াও বাংলার আরেক ক্রিকেটার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ফিরেছেন। মেদিনীপুর দলের অধিনায়কের দায়িত্ব রয়েছেন সুদীপ।

Eron Roy Burman

ঘরের ছেলে ফিরল ঘরে! বাংলার ঋদ্ধিমানের বিরাট সিদ্ধান্ত, নেপথ্যে ‘দাদা’!

কলকাতা: ঘরের ছেলে ফিরে এলেন ঘরে!

রাগ-অভিমানের পালা শেষ। দু’বছর ত্রিপুরার হয়ে খেলার পর ফের বাংলায় ফিরলেন ঋদ্ধিমান সাহা।

সিএবি কর্তা দেবব্রত দাসের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলা ছেড়েছিলেন ঋদ্ধি। অভিমান করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ত্রিপুরার হয়ে খেলার। সেই অভিমানের পালা শেষ।

আবার বাংলায় ফিরলেন ঋদ্ধিমান সাহা। সোমবার স্ত্রী রোমিকে নিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন ঋদ্ধিমান সাহা। তার পরেই বাংলায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুন- কেকেআর পরেরবার ধরে রাখবে ‘এই’ চার ক্রিকেটারকে! রয়েছে বড় নাম, থাকবে চমক

কয়েকদিন আগে থেকেই ঋদ্ধি বাংলায় ফেরার ব্যাপারে কথা বলছিলেন বর্তমান কর্তারা। ইতিমধ্যেই আরেক বাংলার ক্রিকেটার সুদীপ চট্টোপাধ্যায় তিনিও ত্রিপুরা ছেড়ে বাংলায় ফিরেছেন।

আরও পড়ুন- কেকেআর-এর জয়ের পর ‘লুট পুট গ্যয়া’ গানে নাচলেন আন্দ্রে রাসেল

ঋদ্ধির বাংলায় ফিরে আসার পিছনে সৌরভের যে বড়সড় ভূমিকা রয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আসলে ঋদ্ধির রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়া আসলে বাংলার ক্রিকেটের জন্য সঠিক বিজ্ঞাপন ছিল না। তবে অবশেষে তাঁর সমস্ত রাগ-অভিমান পর্বের শেষ।

এক, দুই, তিনজন ফিল্ডার একই জায়গায়! ঋদ্ধিমানের ক্যাচ নিয়ে নাটক আইপিএলে

মুম্বই: আইপিএলের ১৬তম মরশুমের ২৩ তম লিগ ম্যাচটি আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গুজরাট টাইটানস এবং রাজস্থান রয়্যালস-এর মধ্যে খেলা হয়েছে। এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। প্রথম ওভারেই ঋদ্ধিমান সাহার ক্যাচ ধরতে গিয়ে চূড়ান্ত নাটক।

আরও পড়ুন- Venkatesh Iyer: বিধ্বংসী শতরান ভেঙ্কটেশ আইয়রের, কেকেআরের হয়ে লিখলেন নতুন ইতিহাস

ট্রেন্ট বোল্টের বলে ঋদ্ধিমান সাহা বড় শট খেলার চেষ্টা করেন। মিস হিট হওয়ায় বল সোজা হাওয়া। ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন, ধ্রুব জুরেল এবং শিমরন হেটমায়ার- রাজস্থানের তিনজন ফিল্ডার ক্যাচ করতে দৌড়ে আসেন। বল স্যামসনের গ্লাভসে লাগার পর বাউন্স করে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন্ট বোল্ট ক্যাচ নেন।

এই ম্যাচে মাত্র ৩ বলে ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর ক্যাচের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। গত মরশুমে এই মাঠেই ফাইনাল ম্যাচে গুজরাটের বিরুদ্ধে হারের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসকে।

আরও পড়ুন- ঈশান, সূর্যের ব্যাটে উড়ে গেল কেকেআর, আইপিএলের দ্বিতীয় জয় তুলে নিল মুম্বই

এদিন প্রথমে ব্যাট করে গুজরাট তোলে সাত উইকেটে ১৭৭ রান। শুভমান গিল ৪৫ ও ডেভিড মিলার ৪৬ রান করেন। জবাবে রাজস্থান ৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়।

রাজস্থানের ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন ৬০ রান করেন। সিমরন হেটমায়ার করেন ৫৬ রান। এবার আইপিএলে লাগাতার দুরন্ত পারফর্ম করছে রাজস্থান। অনেকই বলছেন তারাই এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার। তবে এখনও অনেকটা সময় বাকি।

Mamata Banerjee : মুখ্যমন্ত্রীর বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত কলকাতার তিন প্রধান ক্লাব! সম্মানিত ঋদ্ধি

#কলকাতা: ক্রীড়া জগতে পশ্চিমবাংলা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অনেক কাজ করেছে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। শুধু ক্রিকেট বা ফুটবল নয়, বঞ্চিত গ্রামের খেলোয়াড়দের এবং ছোট ক্লাবদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করা হয়েছে এবং হচ্ছে। যুবভারতী স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলার পাশাপাশি কিশোর ভারতী নতুন করে তৈরি হয়েছে। আর এদিন নজরুল মঞ্চের ক্রীড়া জগতকে আরো একবার সম্মানিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্য সরকারের দেওয়া বঙ্গ বিভূষণ সম্মান থেকে প্রাপ্ত অর্থ সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে লিভার ফাউন্ডেশনকে দিয়ে দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। সোমবার ক্লাবের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। এদিনই মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে বঙ্গবিভূষণ সম্মান পায় তারা।

শুধু ইস্টবেঙ্গলই নয়, কলকাতার বাকি দুই প্রধান মোহনবাগান এবং মহমেডানকেও সম্মান জানানো হয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের তরফে অনুষ্ঠানে ছিলেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার, সচিব কল্যাণ মজুমদার। মোহনবাগানের তরফে সচিব দেবাশিস দত্ত, সহ-সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। মহমেডানের পক্ষ থেকে ছিলেন সভাপতি আমিরুদ্দিন ববি এবং সচিব দানিশ ইকবাল।

বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরা চলে গেলেও ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহাকেও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরস্কার পেয়ে অভিভূত উইকেট রক্ষক। তার কাছ থেকে মমতা জানতে চান কেন তিনি বাংলা ছাড়লেন? ঋদ্ধিমান জানিয়ে দিলেন ভবিষ্যতে সম্ভব হলে আবার ফিরে আসবেন। তার পিঠে হাত রাখছে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।

বাংলার ফুটবলের উন্নতির জন্য তিন প্রধানকে আরো ভালো কাজ করতে হবে ভবিষ্যতে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি সবসময় দরকারে পাশে থাকবেন জানিয়ে দিলেন আর একবার। ইস্টবেঙ্গল এবং ইমামি সমস্যা যে মিটে যাওয়ার পথে সেটা পরিষ্কার হয়ে গেল এদিন মঞ্চে ডিরেক্টর রাধেশ্যাম গোয়েঙ্কা উপস্থিত থাকায়। ইস্টবেঙ্গল সংসদের জন্য এটা ভাল ইঙ্গিত।

Wriddhiman Saha, IPL : বাংলার দুই ছেলের হাত ধরে চ্যাম্পিয়ন গুজরাত! কবে শিক্ষা নেবে কেকেআর ?

#আমেদাবাদ: কথা কম কাজ বেশি। এটাই পরিচয় ঋদ্ধিমান সাহার। ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়া তাকে আঘাত দিয়েছিল ঠিক কথা। কিন্তু নাড়িয়ে দিতে পারেনি আত্মবিশ্বাস। আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দলের তালিকায় এবার থাকবেন ঋদ্ধিমান। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। এবছর শত বিতর্কের মাঝেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। প্রথম দিকে সুযোগ না পেলেও একবার দলে ঢোকার পর তাঁকে আর বাদ দিতে পারেননি হার্দিক।

আরও পড়ুন – Hardik Pandya, Natasha Stankovic : নাতাশাকে আলিঙ্গন এবং উষ্ণ চুম্বন! চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠেই রোমান্টিক হার্দিক

এবছর মোট ১১টি ম্যাচে ৩১.৭০ গড় ও ১২২.৩৯ স্ট্রাইকরেটে ৩১৭ রান করেন ঋদ্ধি। ফাইনালে মাত্র ৫ রান করলেও এবার ৩টি অর্ধশতরান রয়েছে তাঁর নামের পাশে। তাছাড়া আরও বেশ কয়েকটি ভাল ইনিংস খেলে দলকে ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি ম্যাচে। মাঝে যখন শভমন গিল ফর্মে ছিলেন না, তখন দলকে টেনেছেন ঋদ্ধি। দেখি দিয়েছেন ৩৭ বছরেও তিনি ফিট।

জেতার ক্ষিদে তাঁর মধ্যে আছে। আর সেই কথাটাই যেন ফুটে উঠল ম্যাচ শেষে তাঁর সংক্ষিপ্ত বার্তায়। এর আগে ২০১১ সালের আইপিএল ফাইনাল জিতেছিলেন ঋদ্ধি। ২০১৪ সালের ফাইনালে অপরাজিত সেঞ্চুরি করেও দলকে জেতাতে পারেননি। তবে ঋদ্ধি ফের একবার ফাইনাল জয়ের স্বাদ ফিরে পেলেন ১১ বছর পর।

আর জিতেই তাঁর বক্তব্য, এটা আমার পঞ্চম ফাইনাল এবং আমি এই নিয়ে দ্বিতীয় ট্রফি জিতলাম। কেউ কেউ নিলামের পরে বলেছিলেন যে আমাদের দল ভাল ছিল না। কিন্তু আমরা তাঁদের ভুল প্রমাণ করেছি। এই জয়ে সবাই অবদান রেখেছিল এবং এটি একটি দলগত পারফরম্যান্স। নিজের জীবনের পঞ্চম আইপিএল ফাইনালে দ্বিতীয়বার ট্রফি জিতলেন ঋদ্ধিমান সাহা। আর জিতে উঠেই শান্ত পাপালি দৃঢ় কণ্ঠে নিন্দুকদের বার্তা দিলেন।

সাম্প্রতিককালে সময়টা ভাল যাচ্ছে না ঋদ্ধির। শান্ত স্বভাবের এই উইকেটরক্ষক বিগত কয়েক মাসে এত বিতর্কে জড়িয়েছেন যা তাঁর গোটা কেরিয়ারে হয়নি। টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে রাহুল-সৌরভদের নিয়ে মন্তব্য, সিএবি-র সঙ্গে মন কষাকষি, বাংলা দলের থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার, সাংবাদিকের সঙ্গে ঝামেলা… তবে এত কিছুর মাঝেও রয়েছে এক সোনালি রেখা।

চ্যাম্পিয়ন হলেও মাটিতেই পা রাখছেন ঋদ্ধিমান। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন মহম্মদ শামি। বাংলার দুই ক্রিকেটার আজ অনেক কিছুর জবাব দিলেন। শামি বললেন আমি জানি ঋদ্ধিমান সাহার যোগ্যতা এবং লড়াই করার ইচ্ছে। গত কুড়িটা বছর আমরা একে অপরকে চিনি। আমি খুব খুশি ওর সাফল্যে। তারা দুজনেই বাংলার ক্রিকেটার। অথচ তাদের কোনদিন হিসেবের মধ্যে ধরেনি কেকেআর। আজ আর পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটতে রাজি নয় দুজনেই।

IPL, Eden Gardens : খালি হাতে ফেরাবে না ইডেন! প্রিয় মাঠে ফিরেই নস্টালজিক ঋদ্ধি, শামি

কলকাতা: বাংলার ক্রিকেটের হিসেবে এই মুহুর্তটা তাদের কাছে যেমন গর্বের, তেমনই নস্টালজিক। বাংলার কেকেআর আগেই ছিটকে গিয়েছে লড়াই থেকে। কিন্তু বাংলার দুই ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা এবং মহম্মদ শামি গুজরাতের হাত ধরে টিকে রয়েছেন। বলা যায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দাবিদার। অতীতে বহু বার বাংলার হয়ে একসঙ্গে তাঁরা এই মাঠে খেলেছেন। দলকে জিতিয়েছেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে।

কিন্তু মঙ্গলবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচের আগে ইডেন নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে দুই মেরুতে ঋদ্ধিমান সাহা এবং মহম্মদ শামি। গুজরাতের হয়ে ব্যাটিংয়ে ওপেন করেন ঋদ্ধি। আবার বল হাতে প্রথমেই নামতে দেখা যায় শামিকে। এত বড় ম্যাচের আগে ঋদ্ধির লক্ষ্য কী থাকবে?

ঋদ্ধি বলেছেন, আমার ভূমিকা হল পাওয়ার প্লে-তে বড় রান তোলা। সেই ভূমিকা আমি পছন্দ করি। ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলতেও আমার সমস্যা নেই। যদি দলের তাতে সাহায্য হয় তা হলে কোনও অসুবিধা নেই। তখন রান পেয়ে গেলে পরের দিকের ব্যাটারদের সুবিধা হয়ে যায়। প্রতি ম্যাচে যখন খেলতে নামি তখন ব্যাটিং এবং কিপিংয়ে যাতে অবদান রাখতে পারি সেটাই আমার লক্ষ্য থাকে।  তারপর ব্যক্তিগত কিছু হলে সেটাতেই খুশি।

শামি আবার বোলিং ওপেন করে পাওয়ার প্লে-তে এ বার ১১টি উইকেট নিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, অভিজ্ঞতার কারণেই এটা হয়েছে। নিজের বোলিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। লাইন-লেংথে জোর দিয়েছি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলতে গেলে মাথার মধ্যে অনেক কিছু ঘোরে। কখনও মনে হয় স্লোয়ার দেব, কখনও মনে হয় বাউন্সার দেব। বৈচিত্রে বেশি নজর দিই।

মঙ্গলবার বিপক্ষে থাকবে জস বাটলারের মতো নাম। তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে? শামির জবাব, কে বেশি রান করেছে সে সব নিয়ে ভাবি না। সামনে কে ব্যাট করছে তাঁর নাম দেখে খেলি না। প্রত্যেক ব্যাটারের দুর্বলতা দেখে সেই অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করি।

শামি মনে করেন ইডেনে যখন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেছেন বাংলার হয়ে, তার সঙ্গে আইপিএলের প্লে অফ সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু তার লক্ষ্য রাজস্থানকে হারিয়ে ফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করা।