জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রুদ্রাক্ষ অত্যন্ত শুদ্ধ

Rudraksh Astrological Tips: আশীর্বাদের বদলে তছনছ জীবন! হিতে বিপরীত এড়াতে জানুন কখন রুদ্রাক্ষ পরবেন, কখন পরবেন না?

বিশ্বাস করা হয় যিনি রুদ্রাক্ষ পরেন, তাঁর উপর ভগবান শিবের বিশেষ আশীর্বাদ থাকে। রুদ্রাক্ষ আমাদের সকল ঝামেলা থেকে রক্ষা করে। শরীরে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে। তবে রুদ্রাক্ষ পরার আগে কিছু নিয়ম জেনে নেওয়া উচিত। এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে যদি ভুল করেও রুদ্রাক্ষ পরিধান করেন তাহলে তিনি অশান্তি ভোগ করবেন। জ্যোতিষী রবি শুক্লার কাছ থেকে আজ আমরা জেনে নেব কোথায় কোথায় রুদ্রাক্ষ পরা উচিত এবং কোথায় উচিত নয়।

ভুল করেও এইসব জায়গায় রুদ্রাক্ষ পরা উচিত নয়

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ঘুমানোর আগে রুদ্রাক্ষ খুলে ফেলতে হবে। কারণ ঘুমালে শরীর অপবিত্র থাকে। আবার, ঘুমোনোর সময় রুদ্রাক্ষ পরলে তা ভেঙে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে ঘুমানোর সময় এটি খুলে ফেলার নিয়ম রয়েছে। এমনটি বিশ্বাস করা হয় যে, রুদ্রাক্ষ বালিশের নীচে রেখে ঘুমোলে আধ্যাত্মিক শান্তি পাওয়া যায়। এর ফলে যাঁদের দুঃস্বপ্ন দেখার অভ্যেস রয়েছে সেটিও সেরে যায়।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রুদ্রাক্ষ অত্যন্ত শুদ্ধ। অতএব, যাঁরা আমিষ খাবার খান তাঁদের এটি পরা উচিত নয় এবং এমনকি ভুল করেও তাঁদের এমন জায়গায় যাওয়া উচিত নয় যেখানে সুরা ও আমিষ খাওয়া হয়। এর কারণে রুদ্রাক্ষ শুভ ফল না দিয়ে অশুভ ফল দিতে শুরু করে।

আরও পড়ুন : বৃহস্পতিবার কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? কোথায় তাপপ্রবাহ? কলকাতাও কি ভিজবে? বর্ষা কি এসেই গেল? জানুন আপডেট

পুরাণে অনেক জায়গায় রুদ্রাক্ষের উল্লেখ আছে। একই ভাবে, শিবপুরাণে বলা হয়েছে যে, রুদ্রাক্ষ পরিধান করে ভুল করেও সন্তানের জন্মের সময় ও সেই স্থানে যাওয়া উচিত নয়। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, এক্ষেত্রে শিশুর জন্ম হয় সূতক বৈধ রূপে। তাই ভুল করেও রুদ্রাক্ষ পরিধান করে এমন জায়গায় যাওয়া উচিত নয়, যেখানে সদ্য সন্তানের জন্ম হয়েছে।

আবার জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রুদ্রাক্ষ এমন স্থানে একেবারেই পরা উচিত নয়, যেখানে সদ্য একজনের মৃত্যু হয়েছে।