Tag Archives: Rudraksha

Rudraksh: একমুখী রুদ্রাক্ষ সবচেয়ে শক্তিশালী, কীভাবে চিনবেন আসল একমুখী রুদ্রাক্ষ? কত দাম? পড়ুন

কলকাতা: রুদ্র এবং অক্ষ, এই দুটি শব্দ থেকে রুদ্রাক্ষ শব্দের উৎপত্তি। প্রাচীনকাল থেকেই আধ্যাত্মিক চেতনা, আত্মরক্ষা এবং গ্রহের শান্তির জন্য রুদ্রাক্ষের ব্যবহার হয়ে আসছে।

পাহাড়ি এলাকার একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় রুদ্রাক্ষ গাছ হয়। এই গাছের বীজকেই রুদ্রাক্ষ বলে। সাধারণ রুদ্রাক্ষের ২১টি মুখ থাকে। তবে একমুখী রুদ্রাক্ষ সবচেয়ে শক্তিশালী, কিন্তু বিরল। নেপাল, বার্মা, থাইল্যান্ডে প্রচুর রুদ্রাক্ষের গাছ দেখা যায়।

হিন্দু ধর্মে একমুখী রুদ্রাক্ষকে অত্যন্ত শক্তিশালী এবং কার্যকরী বলা হয়েছে। একমুখী রুদ্রাক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্যও খুব উপকারী। কারণ আত্মবিশ্বাস জন্মায়। যে সব জাতক জাতিকার সূর্য দূর্বল, তাঁদের একমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ধার্মিক ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই চাহিদাও অনেক বেশি। কিন্তু একমুখী রুদ্রাক্ষ খুঁজে পাওয়া কঠিন, তাই এর দামও অনেক।

একমুখী রুদ্রাক্ষ চেনার উপায়: ঋষিকেশের জ্যোতিষী অজয় কোঠারি বলেন, একমুখী রুদ্রাক্ষ অত্যন্ত বিরল এবং পবিত্র। অনন্য রূপের কারণেই এটা বিশেষ। ভগবান শিবের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক তাৎপর্যও অপরিসীম। মানসিক শান্তি এবং ইতিবাচক শক্তিকে জাগাতে একমুখী রুদ্রাক্ষ ধারণ করা হয়। সাধারণ রুদ্রাক্ষের শরীরে ১২টি দাগ থাকে। একমুখী রুদ্রাক্ষের একটাই দাগ, তাই একমুখী। এর আকৃতি গোলাকার, দেখতে অর্ধচন্দ্রের মতো। বাজারে লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয়।

একমুখী রুদ্রাক্ষ কোথায় পাওয়া যায়: আসল একমুখী রুদ্রাক্ষ নেপালে পাওয়া যায়। বিশেষ করে নেপালের হিমালয় অঞ্চলে। ইন্দোনেশিয়াতের একাংশের একমুখী রুদ্রাক্ষ মেলে। দাম কয়েক হাজার থেকে কোটি টাকা পর্যন্ত হয়। মান নির্ভর করে, কতটা বিরল এবং আসল, তার উপর। গোলাকার আকৃতির একমুখী রুদ্রাক্ষ অত্যন্ত বিরল। এই ধরণের একমুখী রুদ্রাক্ষ সাধারণত নেপালেই পাওয়া যায়। দাম ২ কোটি থেকে ৩ কোটি টাকা।

Rudraksha Benefits: শরীরের রক্ষাকবচ! কোন মাসে কারা রুদ্রাক্ষ পরবেন? কাটবে কোন কোন দোষ? জ্যোতিষীর বাণীতেই পাল্টাবে জীবন

রুদ্রাক্ষের নিজস্ব বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। রুদ্রাক্ষ যে কোনও দিনে পরা গেলেও শ্রাবণ মাসে ভক্তেরা এটি বিশেষ করে পরিধান করেন। জ্যোতিষশাস্ত্রে এর অনেক উপকারিতা বর্ণিত হয়েছে।
রুদ্রাক্ষের নিজস্ব বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। রুদ্রাক্ষ যে কোনও দিনে পরা গেলেও শ্রাবণ মাসে ভক্তেরা এটি বিশেষ করে পরিধান করেন। জ্যোতিষশাস্ত্রে এর অনেক উপকারিতা বর্ণিত হয়েছে।
কাশীর জ্যোতিষী পণ্ডিত উমেশ মিশ্র বলেন যে, রুদ্রাক্ষ শরীরের জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। শ্রাবণ মাসে এটি পরা আরও বেশি শুভ বলে মনে করা হয়। রুদ্রাক্ষ জীবনের অনেক ধরনের বাধা দূর করে।
কাশীর জ্যোতিষী পণ্ডিত উমেশ মিশ্র বলেন যে, রুদ্রাক্ষ শরীরের জন্য রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। শ্রাবণ মাসে এটি পরা আরও বেশি শুভ বলে মনে করা হয়। রুদ্রাক্ষ জীবনের অনেক ধরনের বাধা দূর করে।
এটি পরিধান করলে জীবনে উন্নতি ও একাগ্রতা আসে। এছাড়াও যে কোনও ধরনের ভয় দূর হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে যাঁদের জন্মের রাশিতে সূর্য দুর্বল তাঁদের এই রুদ্রাক্ষ পরা উচিত। এর পাশাপাশি এটি চোখের রোগ, হাড়ের সমস্যা এবং রক্তচাপের মতো সমস্যায়ও উপকারী প্রমাণিত হয়।
এটি পরিধান করলে জীবনে উন্নতি ও একাগ্রতা আসে। এছাড়াও যে কোনও ধরনের ভয় দূর হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে যাঁদের জন্মের রাশিতে সূর্য দুর্বল তাঁদের এই রুদ্রাক্ষ পরা উচিত। এর পাশাপাশি এটি চোখের রোগ, হাড়ের সমস্যা এবং রক্তচাপের মতো সমস্যায়ও উপকারী প্রমাণিত হয়।
নেতিবাচক শক্তি দূর করে- পন্ডিত উমেশ মিশ্র বলেন, রুদ্রাক্ষ পরলে শরীর ও মন শান্ত হয়। যাঁরা অকারণে রাগ করেন তাঁদের অবশ্যই রুদ্রাক্ষ পরা উচিত, এতে নেতিবাচক শক্তি দূর হবে।
নেতিবাচক শক্তি দূর করে- পন্ডিত উমেশ মিশ্র বলেন, রুদ্রাক্ষ পরলে শরীর ও মন শান্ত হয়। যাঁরা অকারণে রাগ করেন তাঁদের অবশ্যই রুদ্রাক্ষ পরা উচিত, এতে নেতিবাচক শক্তি দূর হবে।
রুদ্রাক্ষ ধ্যানে সহায়ক- পণ্ডিত উমেশ মিশ্র বলেন, এর পাশাপাশি রুদ্রাক্ষ পরা অনেক গ্রহের অন্তর্দশা ও মহাদশায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। শুধু তাই নয়, রুদ্রাক্ষ ধ্যানেও সহায়ক। এটি শরীরের চক্রের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রোগ দূরে রাখে।
রুদ্রাক্ষ ধ্যানে সহায়ক- পণ্ডিত উমেশ মিশ্র বলেন, এর পাশাপাশি রুদ্রাক্ষ পরা অনেক গ্রহের অন্তর্দশা ও মহাদশায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। শুধু তাই নয়, রুদ্রাক্ষ ধ্যানেও সহায়ক। এটি শরীরের চক্রের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রোগ দূরে রাখে।
রুদ্রাক্ষ কত প্রকার? পণ্ডিত উমেশ মিশ্র বলেন, রুদ্রাক্ষ রক্তচাপ ও মানসিক চাপ দূর করতেও বেশ কার্যকর। তাই সকল বয়সের মানুষ রুদ্রাক্ষ পরিধান করা উচিত। তবে একমুখী, পঞ্চমুখী এবং চতুর্দশমুখী রুদ্রাক্ষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
রুদ্রাক্ষ কত প্রকার? পণ্ডিত উমেশ মিশ্র বলেন, রুদ্রাক্ষ রক্তচাপ ও মানসিক চাপ দূর করতেও বেশ কার্যকর। তাই সকল বয়সের মানুষ রুদ্রাক্ষ পরিধান করা উচিত। তবে একমুখী, পঞ্চমুখী এবং চতুর্দশমুখী রুদ্রাক্ষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

Rudraksh Astrological Tips: আশীর্বাদের বদলে তছনছ জীবন! হিতে বিপরীত এড়াতে জানুন কখন রুদ্রাক্ষ পরবেন, কখন পরবেন না?

বিশ্বাস করা হয় যিনি রুদ্রাক্ষ পরেন, তাঁর উপর ভগবান শিবের বিশেষ আশীর্বাদ থাকে। রুদ্রাক্ষ আমাদের সকল ঝামেলা থেকে রক্ষা করে। শরীরে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে। তবে রুদ্রাক্ষ পরার আগে কিছু নিয়ম জেনে নেওয়া উচিত। এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে যদি ভুল করেও রুদ্রাক্ষ পরিধান করেন তাহলে তিনি অশান্তি ভোগ করবেন। জ্যোতিষী রবি শুক্লার কাছ থেকে আজ আমরা জেনে নেব কোথায় কোথায় রুদ্রাক্ষ পরা উচিত এবং কোথায় উচিত নয়।

ভুল করেও এইসব জায়গায় রুদ্রাক্ষ পরা উচিত নয়

জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ঘুমানোর আগে রুদ্রাক্ষ খুলে ফেলতে হবে। কারণ ঘুমালে শরীর অপবিত্র থাকে। আবার, ঘুমোনোর সময় রুদ্রাক্ষ পরলে তা ভেঙে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। যার কারণে ঘুমানোর সময় এটি খুলে ফেলার নিয়ম রয়েছে। এমনটি বিশ্বাস করা হয় যে, রুদ্রাক্ষ বালিশের নীচে রেখে ঘুমোলে আধ্যাত্মিক শান্তি পাওয়া যায়। এর ফলে যাঁদের দুঃস্বপ্ন দেখার অভ্যেস রয়েছে সেটিও সেরে যায়।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রুদ্রাক্ষ অত্যন্ত শুদ্ধ। অতএব, যাঁরা আমিষ খাবার খান তাঁদের এটি পরা উচিত নয় এবং এমনকি ভুল করেও তাঁদের এমন জায়গায় যাওয়া উচিত নয় যেখানে সুরা ও আমিষ খাওয়া হয়। এর কারণে রুদ্রাক্ষ শুভ ফল না দিয়ে অশুভ ফল দিতে শুরু করে।

আরও পড়ুন : বৃহস্পতিবার কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? কোথায় তাপপ্রবাহ? কলকাতাও কি ভিজবে? বর্ষা কি এসেই গেল? জানুন আপডেট

পুরাণে অনেক জায়গায় রুদ্রাক্ষের উল্লেখ আছে। একই ভাবে, শিবপুরাণে বলা হয়েছে যে, রুদ্রাক্ষ পরিধান করে ভুল করেও সন্তানের জন্মের সময় ও সেই স্থানে যাওয়া উচিত নয়। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, এক্ষেত্রে শিশুর জন্ম হয় সূতক বৈধ রূপে। তাই ভুল করেও রুদ্রাক্ষ পরিধান করে এমন জায়গায় যাওয়া উচিত নয়, যেখানে সদ্য সন্তানের জন্ম হয়েছে।

আবার জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রুদ্রাক্ষ এমন স্থানে একেবারেই পরা উচিত নয়, যেখানে সদ্য একজনের মৃত্যু হয়েছে।

North 24 Parganas News: হিমালয়ের দুর্লভ ‘রুদ্রাক্ষ’ গাছের দেখা মিলল সুন্দরবনে

বসিরহাট: হিমালয়ের দুর্লভ ‘রুদ্রাক্ষ’ গাছ এবার সুন্দরবন এলাকায়। আমরা অনেককে গলায় রুদ্রাক্ষের মালা পরতে অনেক দেখি। বিশেষ করে সাধু সন্ন্যাসীরা রুদ্রাক্ষ পরে থাকেন। তবে কী এই রুদ্রাক্ষ! রুদ্রাক্ষ হল গাছের বীজ। সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় এই গাছ দেখা যায়। হিমালয়ের কোলের এই রুদ্রাক্ষ গাছ দেখা মিলল সুন্দরবন এলাকার হিঙ্গলগঞ্জের মাটিতে।

আরও পড়ুন: পুলিশ ভ্যানেই প্রচার এলাকায়, সাইবার প্রতারণা রুখতে বিশেষ পদক্ষেপ

রুদ্রাক্ষ গাছের এই নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে পৌরাণিক কাহিনি। দেবতা শিবের অপর এক নাম রুদ্র, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অক্ষ। যার অর্থ চোখ। শিব দীর্ঘদিন অপলক চোখে যুদ্ধ করার কারণে অবসাদগ্রস্ত চোখ থেকে এক ফোঁটা অশ্রু মাটিতে গড়িয়ে পড়ে আর সেই অশ্রুবিন্দু থেকে জন্ম হয় গাছের, যার নাম হয় রুদ্রাক্ষ। সেই গাছের ফল আদতে অনেকেই মালা হিসাবে পরিধান করেন।

আরও পড়ুন: এবারের নির্বাচনে সাধারণ মানুষের নজর কোন দিকে? দেখুন কী বলছেন সর্বস্তরের মানুষ!

জ্যোতিষীদের কাছে বরাবরই এই রুদ্রাক্ষের কদর অপরিসীম। রুদ্রাক্ষের নানা রঙের সঙ্গে জ্যোতিষীরা গ্রহ ও নক্ষত্রের প্রভাব খুঁজে পান বলে মনে করা হয়। হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুরের জ্যোতির্বিদ শ্রী অমল কৃষ্ণ শাস্ত্রী নিজ বাড়িতে দূর্লভ এই গাছ রোপন করেছেন। ইতিমধ্যে গাছটি বেশ বড় হয়ে উঠছে ফুল ও ফল এসেছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
তাই বাণিজ্যিকভাবে সুন্দরবনের মাটিতে এই গাছ রোপন সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।

জুলফিকার মোল্যা