ভরতপুর: অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল ভরতপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে ভরতপুর থানার বীর পঞ্চানন গ্রামে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভরতপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ভরতপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। মৃত যুবকের নাম পরিচয়ের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে ভরতপুর থানার পুলিশ।
শুক্রবার রাতে ভরতপুর থানার বীর পঞ্চানন গ্রামে কান্দরের বাঁধের ধারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা। কাছে যেতেই দেখা যায় এক যুবকের দেহ দাউ দাউ করে আগুনে জ্বলছে।
আরও পড়ুন- এবার ‘উচ্ছন্নে’ যাচ্ছেন শুভমানও, দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার কারণ ফাঁস, রোহিতকে আনফলো
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভরতপুর থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ভরতপুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
মৃত যুবকের নাম পরিচয় কিছু জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায়, অগ্নিদগ্ধ যুবকের হাত পা বাঁধা ছিল। অভিযোগ, ওই যুবককে খুনই করা হয়েছে। তবে বাঁধের ধারে ওই যুবক কি করে এল তাও ভাবাচ্ছে স্থানীয়দের।
আগুনের শিখা এতটাই বেশি ছিল যে আশেপাশের গাছের পাতা ঝলসে গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীর মধ্যে সুখেন দাস বলেন, রাতে হঠাৎই চোখে পড়ে বাঁধের পাশে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ছুটে গিয়ে দেখি এক যুবকের দেহ আগুনে জ্বলছে। তবে ওই যুবক আমাদের অপরিচিত। হাত পা বেঁধেই ওকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ আশেপাশে কোনো দাহ্য বস্তু ছিল না।
আরও পড়ুন- ব্রায়ান লারার ভবিষ্যদ্বাণী মিলে গেল! বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন!
পুলিশের অনুমান, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছে। জামা প্যান্টের পোড়া অংশ দেখে মনে হচ্ছে হাত পা বাঁধা রয়েছে। দেহের মধ্যে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। এই মৃত্যুর ঘটনা খুন নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখতে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভরতপুর থানার পুলিশ।