উত্তরবঙ্গ: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিসিআরএস) প্রসঙ্গত, এটি কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের অন্তর্গত৷ আজ থেকেই শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব৷ জানা গিয়েছে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় এখনও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতে পারা যায়নি দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়ির সহকারী চালককে। CCRS নিজে কথা বলতে চান তাঁর সঙ্গে। দুই চিকিৎসকের সঙ্গেও কথা বলেছেন তদন্তকারীরা।
অপরদিকে, চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়েছে এনজেপি এডিআরএম দফতরে। প্রথম অবস্থায় ডাকা হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘার লোকো পায়লট, রাঙাপানি স্টেশন ম্যানেজার ও সহকারী স্টেশন ম্যানেজার, ৩ জন গেটম্যানদের।
জানা গিয়েছে, রাঙাপানি রেল দুর্ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করেছে রেল পুলিশ। তদন্তে ৬ সদস্যের SIT কমিটি গঠন করা হয়েছে। জানিয়েছেন, রেল পুলিশ সুপার এস মুরিগন।
ঘাতক মালগাড়ির ইঞ্জিন নম্বর ছিল 43616। WAG 9HC মডেলের এই locomotive গুলি তৈরি হয়েছে Banaras locomotive works এ। এই সিরিজের সমস্ত ইঞ্জিন এ রয়েছে vigilance control device। এই ব্যবস্থায় চালক ও সহকারী চালক কোনও কাজ না করলে সে ধরে নেবে চালক ও সহকারী চালক স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। সঙ্গে সঙ্গে চালকদের সজাগ করার জন্য অ্যালার্ম বাজবে। তাতেও কাজ না হলে ট্রেনের ব্রেক নিজে থেকেই কাজ করবে এবং ফলে ট্রেন থেমে যাবে। এই ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি কাজ করল না কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে।