ফ্যানের সঙ্গে ফটো তুলতে দামী গাড়ির কাঁচ নামালেন ধোনি- photo- (Screengrab/X)

MS Dhoni: ফ্যান বলে কথা! ফেলতে পারলেন না অনুরোধ; তারপর যা করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, চোখ ভিজল নেটিজেনদের

রাঁচি: এক ভক্তের সঙ্গে মিষ্টি আলাপচারিতায় মজলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর এভাবেই আরও একবার তিনি জিতে নিলেন নেটিজেনদের হৃদয়। সম্প্রতি পরিবার নিয়ে প্যারিসে বেড়াতে গিয়েছিলেন ধোনি। সদ্য দেশে ফিরেও এসেছেন কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার। আর তারপরেই ভক্তদের সঙ্গে তোলা তাঁর একটি সেলফি তোলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে এক্স প্ল্যাটফর্মে।

ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, নিজের মার্সিডিজ-বেনজ জি-ক্লাস এসইউভি চালিয়ে আসছেন ধোনি। সেখানেই জড়ো হয়েছিলেন তাঁর কিছু ভক্ত। এরপর কালো কাচের ভিতর থেকে ভক্তদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন ধোনি। এরপর ভিডিওটিতে শোনা যায় ভক্তদের আকুতি। বারবার একটা ছবি তোলার জন্য ধোনির কাছে অনুরোধ করতে থাকেন ভক্তরা। বলেন, “দয়া করেন আমাদের সঙ্গে একটা ছবি তুলুন। কয়েক সেকেন্ডই তো লাগবে।” আর ভক্তদের অনুরোধ ফেলতে পারেননি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। ধীরে ধীরে নিজের গাড়ির কাচ নামিয়ে দেন। যাতে তাঁর সঙ্গে ছবি তুলতে পারেন ভক্তরা।

দেখা যায়, কিংবদন্তি ক্রিকেটারের পরনে রয়েছে একটি কালো রঙের ট্যাঙ্ক। আর তাঁর বিলাসবহুল শখের গাড়িটিও ছিল কালো রঙের। সেই চিরচেনা লম্বা চুলেই ধরা দিয়েছিলেন ধোনি। তাঁর ডান হাতে ছিল একটি কালো রঙের ঘড়ি। সব মিলিয়ে একেবারে চিরাচরিত অবতারেই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন প্রাক্তন অধিনায়ক। যা দেখে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস ধরা পড়েছে ভক্তদের মধ্যেও।

—- Polls module would be displayed here —-

আর এই পোস্ট হু-হু করে ছড়িয়ে পড়তেই তাতে উপচে পড়তে থাকে ধোনি-ভক্তদের প্রতিক্রিয়া। অনেকেই বলছেন, ধোনির সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হওয়া স্বপ্ন সত্যি হওয়ার থেকে কোনও অংশে কম নয়!

একজন তো মন্তব্যই করেছেন যে, “প্রত্যেক এমএস ধোনি ভক্তের স্বপ্ন, তাঁর সঙ্গে একবার দেখা করার।” আর এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী আবার জানান যে, এই মুহূর্ত দেখে তিনি সত্যিই আপ্লুত। ওই নেটিজেনের কথায়, “এই ভিডিও দেখে সত্যিই দারুণ লাগছে।” তৃতীয় এক নেটাগরিকের মন্তব্য, “এমএস ধোনি হলেন প্রত্যেক ক্রিকেটপ্রেমীর আবেগ।” তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করে আর এক নেটিজেন লিখেছেন, “থলা হল একটা আবেগ।” আবার একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, “থলার হাসি আমাদের হৃদয়কে আলোকিত করে। তাঁর হাসি যেন ঝড়ের পরবর্তী শান্তিপূর্ণ সূর্যাস্ত। যা নিখাদ এবং মিষ্টি আনন্দের মুহূর্ত তৈরি করে।”